ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ১৩ তম পর্ব
আছসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২২-০৩-২০২৪)
আছসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ১৩ তম পর্ব। আসলে আজকে সকাল বেলা থেকেই বাড়িতেই রয়েছি তবে আপনাদের মাঝে এখন পর্যন্ত যুক্ত হতে পারেনি। নামাজ শেষ করে এসে কিছু সময় যুক্ত হয়েছিলাম কিছু কমেন্ট করার জন্য। আজকে যেহেতু শুক্রবার তাই ঘুম থেকে উঠতে একটু লেট হয়েছিল। তারপরে মাঠে গিয়েছিলাম বাড়ির কাজের জন্য। মাঠ থেকে বাড়িতে এসে বাড়ির পাশে একটি দোকান রয়েছে সেখানে বসে ছোট্ট ছেলেদের সাথে বেশ কিছু সময় আড্ডা দিয়েছিলাম। আজকে যেহেতু জুম্মার দিন তাই নামাজের কিছু সময় আগে মাঠে গিয়েছিলাম ছাগলের জন্য ঘাস নিয়ে আনতে। তারপরে বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে মসজিদে নামাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তারপর বাড়িতে এসে বেশ কিছু সময় বসে ছিলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। প্রথম ছবিটি হচ্ছে জাফলং থেকে তোলা হয়েছিল। জাফলং একটি ঝর্ণা ছিল সেই ঝরনাতে অল্প পরিমাণে পানি থাকার কারণে আমরা পানির নিচে থেকে দেখতে পেয়েছিলাম না তাই ঝর্নার বইয়ে অনেক উপরে উঠে পড়েছিলাম। সেখানে ওঠার পরে আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম সেটিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। দ্বিতীয় ছবিটি হচ্ছে আমরা যখন নৌকায় করে লালাখালে গিয়েছিলাম তখন ছবিটি আমি তুলেছিলাম। আসলে লালাখাল দেখতে বেশ অপূর্ব সুন্দর। আমার কাছে এই জায়গাটি দেখতে বেশ দারুন লেগেছিল। সত্যি সিলেট ভ্রমণের তিন দিন বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে আচারের ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে আচার গুলো দেখার পরে আমি অনেক দূর থেকেই সেখানে আচার খাওয়ার জন্য চলে এসেছিলাম। সেখানে এসে অল্প একটু আচার কিনে খেয়েছিলাম। প্রথমে ১০০ গ্রাম আচার কিনেছিলাম আমরা বন্ধুরা মিলে খেয়েছিলাম ৫৫ টাকা দিয়ে। তারপরে আমি বাড়িতে ফোন দিয়েছিলাম আমার আপু বলেছিল অল্প করে আচার নিয়ে আসতে আমি সেখান থেকে আধা কেজি আচার নিয়েছিলাম ২৭৫ টাকা দিয়ে। আসলে আচার গুলো খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছিল।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে আবারও আমার দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। এই দুইটি ছবি হচ্ছে জাফলং থেকে তোলা হয়েছিল। একটি ছবি জাফলং বিজিবি ক্যাম্প এর পাশ থেকে তোলা হয়েছিল। অপর ছবিটি বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্তের সাথে দাঁড়িয়ে আমি তুলেছিলাম। আসলে এই জায়গায় বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনীরা দুই দেশের সীমান্ত বেশ সুন্দরভাবেই পাহারা দিচ্ছিল। মাইক নিয়ে তারা সব সময় সতর্কবার্তা জানাতে ছিল জনগণের মাঝে। আসলে এই সব কিছু এবং পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য দেখে আমি বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। সিলেট ভ্রমণের মধ্যে আমরা সবার প্রথমেই জাফলং এ গিয়েছিলাম। পুরো একদিন জাফলং ঘুরে দেখেছিলাম আমরা। জাফলং নদীর ওপারে দারুণ একটি চা বাগান রয়েছে সেখানেও আমরা গিয়েছিলাম। সেখানে আমাদের উপজাতিদের সাথে দেখা হয়েছিল সত্যি তারা আমাদের চাইতেও বেশ শক্তিশালী এবং সুন্দর চেহারার অধিকারী আমার কাছে মনে হয়েছে। সবকিছুই বেশ দারুন ভাবে উপভোগ করেছিলাম।
সন্ধ্যার দিকে আমরা জাফলং থেকে রওনা দিয়ে সিলেট শহরের মধ্যে চলে এসেছিলাম। রাত ৯ টার দিকে আমরা যখন হযরত শাহজালালের মাজারে এসে পৌঁছেছিলাম। সেখানে এসে বেশ কিছু সময় ঘোরাফেরা করার পরে আমরা একটি হোটেল বুক করেছিলাম রাতে থাকার জন্য। হোটেলে যাওয়ার পরে সেখান থেকে ফ্রেশ হয়ে এসে হাতমুখ ধুয়ে জামা কাপড় চেঞ্জ করে খাবার জন্য নিচে নেমে এসেছিলাম। বন্ধুদের সাথে রাতে খাওয়ার সময় বেশ দারুন একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম সেটিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আশা করি আজকের লেখা পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সিলেট আসলে অনেক সুন্দর একটি জায়গা। আপনার পোস্টে দেখে বেশ ভালো লাগলো। আচারটা বেশ লোভনীয় লাগছে। কেমন আচার দেখলে লোভ সামলানো যায় নাকি? সেজন্যই তো আপনার দূর থেকে চলে এসেছেন। আপনার ভ্রমণ পোস্টটা পড়ে আমারও ভ্রমণের কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি সত্যি আচার দেখে আমিও লোভ সামলাতে পারছিলাম না।
সিলেট ভ্রমণের কয়েক পর্ব আমি দেখেছিলাম। সত্যি ভাইয়া অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন।সত্যি ভাইয়া আচার গুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল।কয়েক বন্ধু মিলে বেশ ভালোই খাবার খেয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু সিলেট এর জায়গা গুলো সত্যি দেখতে বেশ সুন্দর আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল।
সিলেটে জাফলাং ভ্রমণের মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ। এখানে আমিও ভ্রমণ করেছি। আসলে জাফলাং এত সুন্দর জায়গা সেখানে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। আপনাদের ভ্রমণের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে গিয়ে আপনারা এত সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন এবং দরবার শরীফের ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল।
আপনি সিলেট জাফলং ভ্রমণ করেছেন জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো ভাই। এই জায়গাগুলোর ফটোগ্রাফি সত্যি বেশ অসাধারণ ছিল।
বাংলাদেশের অনেক জায়গা ঘুরাঘুরি করে সৌভাগ্য হয়েছে। ইনশাল্লাহ এই বছরের মাঝামাঝি সময় সিলেট অঞ্চলে ঘুরতে যাব । যেখানে এখন পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। আপনি পর্ব আকারে সিলেটে কাটানো মুহূর্ত খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করছেন। আসলেই অনেক সুন্দর বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য যেটা উপভোগ করতে সবাই পছন্দ করে। ভালো লাগলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল ভাই আপনি যেন অতি দ্রুত সিলেট ঘুরে আসতে পারেন।
আপনার ছবি এবং ভ্রমণের গল্প আমাদের সিলেটের অপার সৌন্দর্যের এক ঝলক দেখিয়েছে। আপনার পোস্ট আমাদের সিলেটের সৌন্দর্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করার অনুপ্রেরণা দেয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে ভাগ করার জন্য।
ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপুর প্রতি আপনার ভালোবাসা দেখে খুব ভালো লাগলো। এত দূরে গিয়েও আপুর জন্য ২৭৫ টাকা দিয়ে আচার কিনেছেন বেশ ভালো হয়েছে। সিলেট ভ্রমণের আজকের পর্ব দেখে খুব ভালো লাগলো। বন্ধুরা সবাই মিলে বেশ চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন প্রকৃতির মাঝে। এত সুন্দর মুহূর্তের অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে আমাদের ভাই বোনের মধ্যে বেশ মধুর সম্পর্ক আছে আমরা দুজন সব সময় মারামারি এবং ভালোবাসায় মেতে থাকি। ধন্যবাদ ভাই মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনি প্রতিনিয়ত সিলেট ভ্রমনের খুব সুন্দর সুন্দর কিছু পর্ব শেয়ার করে আসছেন। আজকেও খুবই সুন্দর একটি পর্ব শেয়ার করেছেন৷ আর সবগুলা পর্বের মধ্যে আপনি এই সিলেট এর যেসকল সৌন্দর্যপূর্ণ জায়গা রয়েছে সে জায়গাগুলো সম্পর্কে আমাদের মাঝে শেয়ার করে যাচ্ছেন৷ আজকেও খুবই সুন্দরভাবে এই জায়গা সম্পর্কে অনেককিছু আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
চেষ্টা করি ভাই প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
সিলেট ভ্রমণের ১৩ তম পর্ব আপনি আজ শেয়ার করেছেন। সিলেট আসলে অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর। আপনার করা ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি কত সুন্দর। আপনারা খুবই সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছিলেন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে ভাই সিলেটে আমরা প্রায় চার দিন অবস্থান করছিলাম। সেই চার দিন বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম। ধন্যবাদ আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/GKibreay/status/1772082006488178822?s=20