ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ২৪ তম পর্ব

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ২৪ তম পর্ব। গতকালকে থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আসলে গতকাল পোস্ট করেছিলাম ভোর পাঁচটার দিকে। আসলে বাংলাদেশের নেটওয়ার্কের পরিচিতি খুবই খারাপ। দিনের বেলায় নেটওয়ার্ক পায়না বললেই চলে। আসলে দিনের বেলায় হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকার পরেও প্রত্যেকদিন সকালবেলায় পোস্ট করতে হচ্ছে কারণ শুধুমাত্র দিনের বেলায় নেটওয়ার্ক আমাদের এলাকায় চলে না। রাত তিনটা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত নেটওয়ার্ক মোটামুটি চলে। তবে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক দিনের বেলায় হালকা চলে। তাই আজকেও ভোর পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠে আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করার জন্য চলে আসলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে পর্যায়ক্রমে শেয়ার করা যাক........

আমি আপনাদের মাঝে আজকে সিলেট ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে আমি বেশ কিছুদিন সিলেট ভ্রমণের পোস্টগুলো শেয়ার করে আসছি। আসলে কলেজ থেকে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার মজায় সত্যি বেশ আলাদা। তাই এই পোস্টের অনুভূতি গুলো লিখে মনে হচ্ছে শেষ করা যাচ্ছে না। তাও চেষ্টা করছি প্রত্যেক সপ্তাহে আপনাদের মাঝে কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি সিলেট ভ্রমণের লালাখালের কয়েকটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। লালাখাল জায়গাটি দেখার জন্য যেতে হয়েছিল নৌকায় পানি পথ পাড়ি দিয়ে। আমরা নৌকায় যখন গিয়েছিলাম আমাদের সাথেও এবং আমাদের আশেপাশে অনেক নৌকা যাচ্ছিল সেই লালাখাল দেখার জন্য। প্রত্যেক নৌকার মাঝি বেশ দারুণভাবে গানের তালে তালে নৌকা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লাগছিল। কিন্তু আমাদের পাশের নৌকায় এক যাত্রী শিল্পী ছিল সে দারুন গান ধরেছিল সত্যিই আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আমরা সকলেই গানের তালে তালে করতালির মাধ্যমে উৎসাহ জানাতে ছিলাম।

লালাখাল দেখা শেষ করে আমরা সন্ধ্যায় সেখান থেকে বাসে উঠে আবারো সিলেট শহরের মধ্যে রওনা দিয়েছিলাম। আসরের আজানের কিছু সময় আগে আমরা হযরত শাহজালাল এর মাজারে এসে পৌঁছে ছিলাম। সেখানে একটি পুকুর ছিল এবং আরো অনেক কিছুই ছিল আমরা বেশ দারুন ভাবে সবকিছু উপভোগ করেছিলাম। সন্ধ্যায় আমরা সকলে একটি আবাসিক হোটেল ভাড়া নিয়েছিলাম। সন্ধ্যার পরে আমরা সেখানে গোসল শেষ করে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দেয়ার জন্য নিচে হোটেলে নেমেছিলাম। আমরা সেখানে কয়েকজন বন্ধু কাচ্চি বিরিয়ানী খেয়েছিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবারও রাতে রুমে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে সকলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুম থেকে সকালে উঠে আবারো আমরা আমাদের নির্দিষ্ট স্পট দেখার জন্য রুম ছেড়ে বের হয়ে পড়েছিলাম। সিলেট ভ্রমণে আমরা মোট তিন দিন সিলেটে কাটিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে বেশ দারুন সময় অতিবাহিত করেছিলাম।

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে পাহাড়ের ঝর্ণার উপরে উঠে কয়েকটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে সিলেটের বেশ কয়েকটি পাহাড়ের ঝরনা দেখতে পেয়েছিলাম। এটি হচ্ছে জাফলং থেকে তোলা হয়েছিল। আমি এবং আমার বন্ধু পারভেজ দুজন মিলে পাহাড়ের ঝর্ণার উপর উঠেছিলাম। সেখানে পাহাড়ের মধ্য থেকে হালকায় পানি বের হচ্ছিল সেখানে গিয়ে পানি সংগ্রহ করে নিয়ে এসেছিলাম আমরা। সত্যি সেখানে ওঠা বেশ সহজ কাজ ছিল না। তারপরে দুজন মনে সাহস রেখে নিচ থেকে উপরে উঠতে শুরু করেছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।