রেসিপি পোস্ট // ঘরোয়া পদ্ধতিতে বড়া ভাজির রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৩-০৮-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি রেসিপি পোস্ট // ঘরোয়া পদ্ধতিতে বড়া ভাজির রেসিপি। বেশ কিছুদিন আগে আমি বাড়িতে বড়া ভেজেছিলাম। আসলে এই বড়া ভাজা আমি মূলত শিখেছিলাম আমার দুলাভাইয়ের কাছ থেকে। আসলে আমার দুলাভাই বাড়িতে আসলে প্রায় সময় বড়া ভেজে আমাদের সকলকে খাওয়াতো। আসলে সেই দিন বাড়িতে একা একাই বড়া ভেজেছিলাম আসলে খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। সকলের কাছ থেকে বেশ প্রশংসা পেয়েছিলাম। তবে একজন ছেলেমানুষ হিসেবে চুলার পাড়ে বসা যে কতটা কষ্টকর আমি সেই দিন বিষয়টা বুঝতে পেরেছিলাম। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে । তবে চলুন পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......
ক্রমিক নম্বর | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | বেসমের ময়দা | ২ কেজি |
২ | কাঁচা মরিচ | ২৫০ গ্রাম |
৩ | পেঁয়াজ | ৫০০ গ্রাম |
৪ | তেল | ১ কেজি |
৫ | ধনিয়া পাতা | ২০ টাকার |
প্রথমে আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি অনেক সুন্দর ভাবে কাঁচা মরিচ একটি ছুরি দিয়ে কেটে নিয়েছি। তারপরে অনেক সুন্দর ভাবে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে ধনিয়া পাতা ছুরি দিয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি। তারপরে একটি ছবি তুলে আপনাদের সকলের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে ধনিয়া পাতা দেওয়ার কারণে বড় ভাজির রেসিপি খেতে অন্যরকম একটা স্বাদ অনুভব করা যায়।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে পেঁয়াজ গুলো ছুরি দিয়ে কেটে নিয়েছি তারপরে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে একজন ছেলে মানুষের পক্ষে পেঁয়াজ কাটা সত্যি অত্যন্ত কষ্টের ব্যাপার। পেঁয়াজ গুলো কাটার সময় আমার চোখ দিয়ে পানি ঝরে পড়ছিল। তাও চেষ্টা করেছি রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার পরে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। বেসমের ময়দা গুলো আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি গামলার মধ্যে নিয়েছি। তারপরে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ছানা শুরু করে দিয়েছি। বেশ কিছু সময় ছানার পরে অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে ময়দা গুলো ছানতে প্রায় অনেক সময় লেগেছিল।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। ময়দা গুলো অনেক সুন্দর ভাবে ছানা শেষ করে ছবি তোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখেছিলাম। তারপরে একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। প্রত্যেকটি উপকরণ আমি অল্প অল্প করে নিয়ে একটি জায়গায় অনেক সুন্দর ভাবে মাখাতে ছিলাম। কারণ সবগুলো যদি একসাথে মাখিয়ে ফেলি তাহলে নরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই অল্প অল্প করে মাখাচ্ছিলাম এবং ভাজতে ছিলাম তখনই একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। প্রথমে আমি চুলার উপরে অনেক সুন্দর ভাবে একটি কড়া বসিয়ে দিয়েছিলাম। তারপরে অল্প কিছু তেল দিয়েছিলাম তেল গুলো গরম হওয়ার পরেই। বাঁড়া গুলো অনেক সুন্দর ভাবে কড়ার মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি। তারপর একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। কিছু সময় পরে বড়া গুলো আবারো অনেক সুন্দর ভাবে ছাকনা দিয়ে উল্টিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর একটি ছবি তুলেছিলাম সেটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে একজন ছেলে মানুষ হয়ে চুলার পাড়ে বসা সত্যি অনেক কষ্টের ব্যাপার সেইদিন আমি বুঝতে পেরেছিলাম।
আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। বড়া গুলো যখন কড়ার মধ্যে হাওয়া শেষ মুহূর্তে তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে।
সবার শেষে আমি যখন বড়া গুলো অনেক সুন্দর ভাবে কড়ার থেকে নামানোর পরে একটি নির্দিষ্ট গামলার মধ্যে রেখেছিলাম। তারপর একটি ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে নিজের কোন কিছুর প্রশংসা নিজে করলে মানায় না। আসলে বাড়ির প্রায় অনেকেই খেয়েছিল সবাই অনেক প্রশংসা করেছিল। আজকের পোস্ট লেখা এখানেই শেষ করছি আপনাদের সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
x-promotion
আপনি তো দেখছি বেসন দিয়ে খুবই মজাদার একটি বড়ার রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। আমি কখনো এভাবে বেসন দিয়ে বড়া তৈরি করে খায়নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রান্না করা এত সহজ নয় রান্না করা অনেক কঠিন কাজ। তবে যারা প্রতিনিয়ত করে তাদের জন্য একটু ইজি হয়ে যায়। হঠাৎ করে যখন রান্না করতে যাবেন বেশ কষ্ট হবে। যাক আপনি বেশ মজার করে বড়া বানালেন ঝাল ঝাল। বড়ার রেসিপি আমাদের সাথে তৈরি করে শেয়ার করলেন। আপনি যেভাবে তৈরি করেছে অনেক ভালো লাগবে খেতে যা দেখে বুঝতে পারছি। রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
খুব ভালো লেগেছে মামা তোমার এই সুন্দর বড়া ভাজার রেসিপি দেখে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে বেশ দারুণভাবে এর রেসিপি তৈরি করেছে তোমরা। আসলে এমন রেসিপি নিজে হাতে তৈরি করে খেতে খুবই ভালো লাগে। নিজের মত সুস্বাদুভাবে তৈরি করা যায়।
বেসন দিয়ে চমৎকার সুস্বাদু মুচমুচে বড়া রেসিপিটি দেখেই তো লোভ লেগে গেলো।কি দারুণ হয়েছে ভাইয়া আপনার রেসিপি টি।এরকম করে বড়া ভাজলে অনেক মুচমুচে হয়।ধাপে ধাপে চমৎকার সুন্দর ও সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।