লাইফ স্টাইল // স্বর্ণের দোকানে হালখাতার কিছু অনুভূতি

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

হ্যালো.......
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১৮-০৫-২০২৪)

IMG20240515102425.jpg

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি স্বর্ণের দোকানে হালখাতার কিছু অনুভূতি। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল ঘুম থেকে উঠেই বেশ কিছু সময় লেখাপড়া করেছিলাম। তারপরেই বাড়ি থেকে পুকুরে মাছের খাবার দেওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। আসলে আজকে আমাদের মাঠে ধান মাড়াই করবে সেখানে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কোচিং এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। কোচিং শেষ করে এসে মাঠে গিয়েছিলাম ধান মাড়াই করছে ওখানে, গিয়ে দেখে ধান মাড়াই করা শেষ হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে এসে বেশ কিছু সময় বসে রেস্ট নিয়েছিলাম। তারপরে ভাবলাম বিকেল বেলায় বাগানে যেতে হবে লিচু পাড়তে তাই বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। তখন মনে পড়লো হঠাৎ এখনই পোস্ট শেয়ার করি আপনাদের মাঝে। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.......


আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি যখন দোকানের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম তখন বিপ্লব অনেক সুন্দরভাবে আমার একটি ছবি তুলে দিয়েছিল। আসলে আমরা যেখানে কোচিং করি ঠিক কোচিং এর পাশেই কৃষ্ণ জুয়েলার্স। আসলে জুয়েলার্স এর দোকানে হালখাতার কারণে অনেক সুন্দর ভাবে বিভিন্ন ধরনের মনোমুগ্ধকর ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম। আসলে আমি যখন ছবি তুলেছিলাম তখন বিভিন্ন মানুষ আমাকে জিজ্ঞেস করে এইসব ছবি কি করবা। তখন আমার একটাই উত্তর এই ছবিগুলো দিয়ে আমি কন্টেন্ট তৈরি করব। আমি আশা করছি প্রত্যেকদিন আপনাদের মাঝে একটি করে কনটেন্ট তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।

IMG20240515102429.jpg

IMG20240515102527.jpg

গত কয়েকদিন আগে আমাদের একটা হালখাতার দাওয়াত ছিল গাংনী বাজারে স্বর্ণের দোকানে। আমি যেহেতু প্রত্যেকদিন বাজারে যাই তাই বাড়ি থেকে আমার কাছে দিয়েছিল হালখাতার টাকা। আমি এবং আমার তিন বন্ধু গিয়েছিলাম স্বর্ণের দোকানে হালখাতা করতে। দোকানের মধ্যে প্রবেশ করা মুহূর্তেই দেখে অনেক ভিড় যেহেতু স্বর্ণের দোকান তাই অনেক মানুষের দেনা পাওনা বাকি রয়েছে। দোকানের মধ্যে প্রবেশ করার আগেই আমি অনেক সুন্দর ভাবে দোকানের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। দোকানের নাম হচ্ছে কৃষ্ণ জুয়েলার্স। আসলে এই দোকানদারের সাথে আমার বাবার বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। হালখাতার জন্য দোকানটি বেশ সুন্দরভাবে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল। বিভিন্ন ধরনের ফুলের গন্ধে মন মেতে উঠেছিল। দোকানের মধ্যে প্রবেশ করার পরে অনেক সুন্দর ভাবে গ্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে আমি একটি ছবি তুলেছিলাম।

IMG20240515102433.jpg

আপনারা এবার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি যখন দোকানের কাছে হালখাতার টাকা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম তখন অনেক সুন্দরভাবে বিপ্লব একটি ছবি তুলে দিয়েছিল। বিপ্লব যেহেতু আমার সাথে স্টিমেটে কাজ করে তাই বন্ধুর অনেক ভালো ধারণা আছে কোন সময় ছবিগুলো তুলতে হবে। দোকানে আমাদের বাকি ছিল মাত্র ৩৭০০ টাকা। সব টাকা বুঝে ভালোভাবে দেওয়ার পরে সেখানে টাকাগুলো জমা করে নিয়েছিল। সব মিলিয়ে দোকানে যখন হালখাতা করেছিলাম সবাই বেশ দারুন সময় পার করেছিলাম।

IMG20240515102522.jpg

IMG20240515102514.jpg

এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি। হালখাতার জন্য দোকানটি বিভিন্ন ধরনের ফুল এবং বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছিল। আসলে দোকানটি আগের থেকেও সাজানোর কারণে দেখতে বেশি ভালো লেগেছিল। আমি অনেক সুন্দর ভাবে বেলুনের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। সবার শেষে যখন টাকা দেওয়া শেষ হয়েছে আমাদের এক প্যাকেট মিষ্টি দিয়েছিল। তারপরে সবার শেষে আমি অনেক সুন্দর ভাবে দোকানের মধ্যেই আমরা তিন বন্ধু একটি সেলফি তুলে ছিলাম। আসলে কলেজ লাইফে কোচিং থেকে শুরু করে সবকিছু আমরা একসাথে করে থাকি। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨


IMG_20240213_153009.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Steem_Pro.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

আপনাদের বন্ধুত্ব অমর হোক। এরকম বন্ধু পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার যারা সব সময় পাশে থাকে। তবে দেখলাম আপনি আজকে ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন সকাল থেকেই। আর দোকানে বা যখন কোন ফাংশনে পিকচার উঠাই তখন মানুষের একটাই কথা এগুলো দিয়ে কি করবে শুধু ঢং। মেজাজটা একদম খারাপ হয়ে যায় তাও কিছু না বলে চুপচাপ নিজের কাজ করে থাকি আমি। কৃষ্ণ জুয়েলার্স হালখাতা খাওয়া এবং বন্ধুদের সাথে কাটানো সুন্দর মুহূর্তের বর্ণনা দিয়েছেন আপনি খুব ভালো লাগলো।

 2 months ago 

ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে, উৎসাহ প্রদান করার জন্য।

 2 months ago 

বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে দারুণ একটি অনুভূতি শেয়ার করেছ। বন্ধু তুমি যেদিন এই স্বর্ণের দোকানে হালখাতা করেছিলে ঐদিন আমিও তোমার সাথে ছিলাম। স্বর্ণের দোকানে হালখাতা শেষে তোমাকে স্বর্ণের দোকান থেকে মিষ্টি দিয়েছিল। সাথে আমরাও ছিলাম। আর এই অনুভূতিটি আজকে আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

 2 months ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু তোমাকে সব সময় আমার পাশে থাকার জন্য।

 2 months ago 

হালখাতা উৎসবটা বাঙ্গালীদের ঐতিহ্য। তবে এখন এই হালখাতা উৎসব হয়তো গ্রামের দিকেই দেখা যায়। শহরে খুব একটা চোখে পড়ে না। হালখাতা উপলক্ষে তারা খুব সুন্দর ভাবে দোকানটাকে সাজিয়েছে। ‌ আপনার বন্ধুরা মিলে বাকি টাকা গুলো পরিশোধ করে এসেছেন। ভালো লাগলো আপনাদের মুহুর্তগুলো দেখে।

 2 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে হালখাতার এই উৎসব গ্রামের দিকেই বেশি দেখা যায়।

 2 months ago 

তিন বন্ধু মিলে জুয়েলারির দোকানে হালখাতা করতে গিয়েছিলেন। আপনাদের কাছে অল্প কিছু টাকা পেতে আপনারা পরিশোধ করে দিয়েছেন। স্বর্ণের দোকানে হালখাতা হলে অনেক সুন্দর ভাবে দোকানটা কে সাজায়। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দোকান টা দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

আসলে দোকানটি এমনভাবে সাজানো হয়েছিল দেখতে আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছিল।

 2 months ago 

স্বর্ণের দোকানে মাত্র ৩৭০০ টাকা বাকি ছিল ভাই....? তাহলে তো খুবই কম বলা চলে। তবে আপনারা টাকা পরিশোধ করে কি কি মিষ্টি খেলেন, সেটা তো আর দেখালেন না আমাদের। হা হা হা... আমার অবশ্য হালখাতা করার অভিজ্ঞতা আছে, কিন্তু স্বর্ণের দোকানের হালখাতা আমি কখনো করিনি। যাইহোক, অনেক ভালো লাগলো ভাই আপনার এই পোস্ট টি পড়ে।

 2 months ago 

আসলে ভাই স্বর্ণের দোকানে হালখাতা করার পরে দুই ঢপ মিষ্টি দিয়েছিল বেশ মজা করে খেয়েছিলাম।

 2 months ago 

ওয়াও! তাহলে তো অনেক মিষ্টি খেয়েছিলেন ভাই এই হালখাতা করে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 63782.14
ETH 3146.14
USDT 1.00
SBD 2.55