ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ১৫ তম পর্ব

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ১৫ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজকে যেহেতু শুক্রবার তাই কোচিং বন্ধ ছিল। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে প্রথমেই পুকুরে গিয়েছিলাম অল্প কিছু মাছ ধরার জন্য। পুকুরে আমি এবং আমার খালাতো ভাই গিয়েছিলাম মাছ ধরার জন্য। দুইজন দুইটা বড়শি নিয়ে মাছ ধরতে চলে গিয়েছিলাম। আসলে অনেক বড় পুকুর তাই বড়শিতে মাছ ভালো উঠতেছিল না। বেশ কিছু সময় আমরা সেখানে বসে মাছ ধরেছিলাম। প্রায় দুই থেকে তিন ঘন্টা মাছ ধরার পরে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে গোসল শেষ করে জুম্মার নামাজের জন্য আবারো তৈরি হয়েছিল। নামাজ শেষ করে এসে শরীর বেশ ক্লান্ত তাই বিছানায় শুয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......

আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। একটি ছবি হচ্ছে মাধবকুণ্ড ইকোপার্কের মধ্য থেকে তোলা হয়েছিল। অপর ছবিটি হচ্ছে জাফলং থেকে তোলা হয়েছিল। জাফলং থেকে ছবি তোলার সময় আমার দুই বন্ধু একই জায়গায় বসেছিল তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে ছবিটি তুলে দিয়েছিলাম। আসলে জাফলং থেকে ইন্ডিয়ার সীমান্ত একেবারে বেশ কাছে দেখা যাচ্ছিল। সেখানে বাংলাদেশের বিজিবি ক্যাম্প ছিল সেখানে আমরা বেশ কিছু সময় রেস্ট নেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়ার পরে আমরা দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সম্পন্ন করেছিলাম এবং সেখানে বেশ কিছু সময় ঘোরাঘুরি করেছিলাম। দুই বন্ধুর একই কালারের শার্ট গায়ে দিয়ে ছবিটি সত্যি আমার কাছে বেশ দারুন লেগেছিল । আসলে বন্ধুদের সাথে কোথাও যদি লংজারনিতে ঘুরতে যাওয়া যায় সত্যি বেশ মজা হয়।

এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি আবারও শেয়ার করেছি। আমরা বন্ধুরা মিলে যখন নৌকার মধ্যে বসে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর যেতে ছিলাম তখন নদীর মাঝে অনেক সুন্দরভাবে একটি ছবি তুলেছিলাম। আসলে নদীর মাঝে নৌকা যখন চলতেছিল তখন বেশ ভয় লাগছিল মনে হচ্ছে নদীর ঢেলে নৌকা ডুবে যাবে। আমরা প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট নৌকাতে যাওয়ার পরে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর গিয়ে পৌঁছেছিলাম। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর গিয়ে পৌঁছানোর পরে সেখানে আমরা গোসলের জন্য প্রথমেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। গোসল শেষে অনেক সুন্দর ভাবে আমরা বেশ কিছু ছবি তুলেছিলাম বন্ধুরা সকলে মিলে। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর থেকে আমি বেশ কয়েকটি পাথর সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম আমার ছোট্ট খালামণির জন্য। সেখানে পাথরগুলো দেখলে সত্যিই মন প্রাণ জুড়িয়ে যায় এত সুন্দর কাঠামোর পাথর ছিল। সেখানে আমরা প্রায় তিন থেকে চার ঘন্টা বেশ দারুন সময় উপভোগ করেছিলাম।

সবার শেষ আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আপনাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে আবারও দুইটি ছবি শেয়ার করেছি। আমি এই দুটি ছবি আমার নিজের ছবি শেয়ার করেছি আপনাদের মাঝে। একটি ছবি তোলা হয়েছিল ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর থেকে। আপের ছবিটি তোলা হয়েছিল জাফলং থেকে। আসলে সিলেট ভ্রমণের সব থেকে বেশি মজা করেছিলাম আমরা এই দুই জায়গায়। এবং আমার মোবাইলে সব থেকে বেশি ছবি রয়েছে এই দুই জায়গার। আসলে কলেজ থেকে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে কোথাও যদি ঘুরতে যাওয়া যায় সত্যি বেশ মজা হয়। আমরা প্রায় চার দিনের জন্য সিলেট ভ্রমণে বের হয়েছিলাম। আসলেই সিলেট ভ্রমণে শেষ আমারা সকলেই বেশ ভালোভাবে আবারো বাড়িতে ফিরে আসতে পেরেছি। আশা করি আজকের পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।