আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির//তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ প্রতিযোগিতায় আমার অংশগ্রহণ
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৯-০৬-২০২৪)
আশা করছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল মেম্বার নিজ নিজ জায়গা থেকে ভালো এবং সুস্থ আছে। আমার বাংলা ব্লগ শুধুমাত্র একটা কমিউনিটি নয়, এটা আমাদের পরিবারের সমতুল্য।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ফাউন্ডার, কো ফাউন্ডার, এডমিন ,মডারেটর, ও জেনারেল ইউজারদের জানাই আমার পক্ষ থেকে প্রাণ ঢালার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমাদের নিজ মাতৃভাষায় এত সুন্দর একটা কমিউনিটি প্রতিষ্ঠা করে কাজ করার সুযোগ করে দেওয়ার আবারো ধন্যবাদ জানাই।
প্রত্যেক দিনের ন্যায় আজকেও আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। শুধুমাত্র আমার বাংলা ব্লগ একটি কমিউনিটি নয়। এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যত ইউজার রয়েছে সবার কাছে এটি একটা পরিবারের মত। প্রত্যেকদিন এখানে আমরা নিজেদের ক্রিয়েটিভিটি শেয়ার করে আসছি। এটা আমাদের সকল ইউজারের কাছে একটা অনলাইন পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা শ্রদ্ধেয় @rme দাদার কল্যাণে আজকে আমরা একটা অনলাইন পরিবার খুঁজে পেয়েছি। প্রত্যেকটা ইউজার নিজের মাতৃভাষায় মন খুলে আনন্দের সাথে প্রতিনিয়ত পোস্ট লিখে চলেছে সত্যিই এটা বেশ দারুন ব্যাপার। সত্যি বলতে অন্য ভাষার তুলনায় নিজের মাতৃভাষায় যেকোনো জায়গায় লেখালেখি করার মজাটাই বেশ আলাদা। সেই মজাটা আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আসার পরেই খুঁজে পেয়েছি।
আমি স্টিমিট এ কাজ শুরু করার আগে অনলাইনে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে অনেক জায়গায় কাজ করেছি। সত্যি বলতে অন্যান্য জায়গায় আমি নিজের আনন্দটা খুঁজে পাইনি। আপনারা সকলে জানেন স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের মত হাইভ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে সেখানে আমি প্রায় দুই বছর কাজ করছি তবে সেখানে বাংলায় লেখার কোনো সিস্টেম নেই। সেখানে আমি বাংলায় পোস্ট লিখে গুগোল ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে ইংলিশে কনভার্ট করে পোস্ট করতাম তাই মজা খুঁজে পেতাম না। ঠিক অনুরুপ আরেকটি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের মত ব্লাট প্লাটফর্ম রয়েছে সেখানেও আমি প্রায় এক বছর কাজ করেছি সব জায়গায় একই রকম বাংলায় কোন লেখার সুযোগ ছিলো না। তবে নিজের মনের ভাব অন্যের সাথে ঠিকমতো প্রকাশ না করতে পেরেই সেই সব জায়গাতে কাজ ছাড়তে হয়েছিল আমার। তবে আমি হাইভ এবং ব্লাট এই দুই সাইট থেকেও বেশ ভালো আর্নিং করছিলাম। ওই যে ইংলিশে লেখা লেখির প্রতি নিজের ভালোলাগাটা কাজ করেনি সেজন্য কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলাম।
আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন করেছিলাম। আসলে আমি যখন স্টিমিট একাউন্ট খুলে তখনও আমার ধারণা ছিল না স্টিমিট এটা কি। তবে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির মেম্বার @mostafezur001 আমার মামা এই প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে অনেক আগেই বেশ ধারণা অর্জন করেছিল। আসলে মামা ২০১৮ সালের দিকে স্টিমিট এ কাজ শুরু করেছিল। তবে মামা আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির এর সন্ধান পাওয়ার পরেই আমাকে এই কমিউনিটিতে কাজ করার প্রতি উৎসাহ প্রকাশ করেছিল। আমার স্টিমিট অ্যাকাউন্ট মুস্তাফিজের মামা আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছিল। আমি স্টিমিট অ্যাকাউন্ট ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখে খুলে ছিলাম। জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার পরিচয় মূলক পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। এভাবে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে এবিবি স্কুলের লেভেলের ক্লাস গুলো সম্পন্ন করেছিলাম। আসলে আমাকে একজন পরিপূর্ণ ব্লগার হিসেবে গড়ে উঠতে এবিবি স্কুলের ক্লাস গুলো অত্যন্ত সাহায্য করেছিল।
আমি মনে করি, একজন পরিপূর্ণ ব্লগার হতে হলে এবিবি স্কুলের ক্লাস গুলো করা প্রত্যেকটা ইউজারের জন্য বেশ জরুরী। আমি যখন প্রথম আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন করেছিলাম তখন এবিবি স্কুলের ক্লাস সিস্টেম গুলো চালু ছিল। আমি হয়তো এবিবি স্কুলের চার-পাঁচ তম ব্যস্ত ছিলাম। লেভেল ওয়ান থেকে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক ইউজারকে ক্লাস সম্পূর্ণ করতে হত। আসলে আমার খুব ভালোভাবে মনে আছে এবিবি স্কুলের কোন লেভেলে আমি এক বারো আটকে থাকি নি এক চান্সে প্রত্যেকটা লেভেল অতিক্রম করতে পেরেছিলাম। সত্যি এটা আমার জন্য বেশ ভালো লাগার একটা বিষয় ছিল। আসলে এবিবি স্কুলের এই ক্লাসগুলো সম্পন্ন করে একজন ভেরিফাইড মেম্বার হতে হলে প্রায় তিন থেকে চার মাস সময় লাগতো। প্রত্যেকটা ইউজারের জন্য এই সময়টা ধৈর্য ধরে স্থির ভাবে যে কোন এক জায়গায় থাকাটা সত্যি বেশ দারুন ব্যাপার।এভাবে প্রত্যেকটি ইউজারকে পাঁচটা লেভেল পার করতে হতো তারপরে সে একজন আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভেরিফাইড মেম্বার হতে পারত। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন ভেরিফাইড মেম্বার ট্যাগ পাওয়াটা আমি মনে করি প্রত্যেকটা ইউজারের জন্য বেশ ভাগ্যের ব্যাপার।
আমি মনে করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ডিসকর্ড সার্ভার হচ্ছে প্রাণকেন্দ্র। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির প্রত্যেক ইউজার এ ডিসকর্ড সার্ভারের মাধ্যমে একে অপরের সাথে প্রাণ খুলে কথা বলতে পারে। আসলে দাদা আমাদের বিনোদন দেওয়ার জন্য এ ডিসকর্ড সার্ভারে বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা করে রেখেছে। আমরা যদি কখনো কাজে কোন জায়গায় সমস্যার সম্মুখীন হই তাহলে এখানে দাদা আমাদের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করে রেখেছে। টিকিট কাটার সাথে সাথে এডমিন মডারেটর ইউজারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। আমি মনে করি অন্য কমিউনিটির কোন ইউজার যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন হয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ইউজারদের মতো এত দ্রুত সমস্যা সমাধান পায় না। শুধুমাত্র ডিসকর্ড সার্ভার আছে বলেই এত দ্রুত আমরা প্রত্যেকটা সমস্যার সমাধান পেয়ে আসছি সব সময়। তাই আমি মনে করি যে কোন একটা কমিউনিটি বা প্লাটফর্ম পরিচালনা করতে হলে সব সময় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার জন্য এরকম একটা প্রসেস থাকা প্রয়োজন।
আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ডিসকর্ড সার্ভারে প্রায় ২ মাস ২৬ দিন ক্লাস সম্পূর্ণ করার পর আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভেরিফাইড মেম্বার ট্যাগ পেয়েছিলাম। আমার খুব ভালো মনে আছে ২০২২ সালে ২৫ শে মার্চ রাতে আমি লেভেল ফাইভ এর পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আসলে সেই দিন আমাদের এলাকায় ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে কনসার্টের আয়োজন করা হয় কিন্তু সেখানে আমি প্রথমে থাকতে পেরেছিলাম না আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির লেভেল ফাইভ এর পরীক্ষা দিয়েছিলাম। এজন্যই এই বিষয়টা এখনো আমার মনে আছে হয়তো সারা জীবন মনে থাকবে। ভেরিফাইড মেম্বার ট্যাগ পাওয়ার পর এই ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম আমি মোস্তাফিজুর মামাকে জানিয়েছিলাম। আসলে এই কমিউনিটিতে আমাকে কাজে নিয়ে আসার প্রতি মুস্তাফিজুর মামার সবথেকে বড় অবদান। হয়তো এই জন্য মামার কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। ভেরিফাইড মেম্বার হওয়ার পর থেকে আমি সব সময় সুপার একটিভ লিস্টে থাকার চেষ্টা করেছি। আজ পর্যন্ত আমি শুধুমাত্র একবার সুপার একটিভ লিস্ট থেকে বাদ পড়েছি সত্যি আমার বেশ খারাপ লেগেছিল এই বিষয়টা। প্রথম সাইফক্স এর ভোট পেয়ে আমি মোস্তাফিজুর মামার সাথে বেশ দারুন আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছিলাম। তখন সম্পূর্ণ এসবিডি পেআউট ছিল সত্যি বেশ ভালো এমাউন্ট আর্নিং করেছিলাম সেই পোস্টটা থেকে। প্রথম আনিং এর টাকা দিয়ে বেশ মজার একটা স্মৃতি ছিল।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভেরিফাইড মেম্বার হওয়ার পরে। আমি প্রথম আমার স্টিমিট আইডি থেকে টাকা তুলেছিলাম। আমি আমার স্টিমিট আইডি থেকে প্রথম টাকা তুলেছিলাম মাত্র ৭৩৭৮। প্রথম টাকা তোলার পর ভেবেছিলাম এতগুলো টাকা আমি কি করব। টাকাগুলো তুলেছিলাম রমজানের ঈদের কিছুদিন আগে। মনে মনে ভেবে ছিলাম এই টাকাগুলো দিয়ে আমি সব এবার ঈদে কেনাকাটা করব। প্রথমত আমি এ টাকাগুলো দিয়ে তিনটা টি শার্ট কিনেছিলাম আমার ছোট ভাইয়ের জন্য একটা আমার নিজের জন্য একটা আর মোস্তাফিজের মামার জন্য। আসলে নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে মামা এবং ছোট ভাইকে গিফট করতে পেরে সত্যিই আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। আরো সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল যার জন্য এই প্ল্যাটফর্মের সন্ধান পেয়েছিলাম তাকে একটা টি শার্ট গিফট করতে পেরেছিলাম।
আমি স্টিমিট এ প্লাটফর্মে ,আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আমার দুইটা স্বপ্ন পূরণ করেছি। আমি অনেক ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি কোন একদিন নিজের টাকায় ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনবো। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির **ফাউন্ডার অর্থাৎ দাদার** কৃতজ্ঞতায় প্রথম ডিএসএলআর ক্যামেরা কেনার স্বপ্ন পূরণ করেছিলাম। আমার ডিএসএলআর ক্যামেরার নাম canon 700d। আমি মনে করি বর্তমানে এটি বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয় একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা। আমার দ্বিতীয় স্বপ্ন ছিল আমি নিজের টাকায় iphone কিনেছি। কিছুদিন আগে আমি আমার এই স্বপ্নটি পূরণ করেছি। আসলে হয়তো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি যদি দাদা প্রতিষ্ঠা না করতো তাহলে হয়তো এই স্বপ্ন দুইটা আমার স্বপ্নই থেকে যেত। আশা করছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করার মাধ্যমে আমি আমার জীবনের এখনো অনেক স্বপ্ন পূরণ করতে পারব। তবে আমার জীবনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নিজেকে একজন সফল উদ্যোগতা হিসেবে গড়ে তোলা।
আর মাত্র কয়েকদিন পর আমরা আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ফাউন্ডার,এডমিন,মডারেটর ও সাধারণ ইউজার মিলে তিন বছর পূর্তি অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছি। ১১ জুন আপনারা সকলেই আমন্ত্রিত আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির তিন বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে। আসলে আমার কাছে মনে হচ্ছে এই তো কিছুদিন আগে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন করলাম। কিন্তু দেখতে দেখতে প্রায় তিন বছর অতিবাহিত হতে চলল আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার জয়েন হওয়া। এই তিন বছরে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে চলার পথে আমি আমার অনেক অভিভাবক পেয়েছি এটা আমার কাছে সব থেকে বড় পাওয়া। এই কমিউনিটিতে আমি আমার অনেক বড় ভাই এবং বড় আপু পেয়েছি যারা আমাকে কাজের প্রতি উৎসাহ প্রকাশ করেছে। আশা করছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি যতদিন আছে সকলের সাথে মিলে মিশে শেষ পর্যন্ত কাজ করতে পারব।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির তৃতীয় বছর পূর্তি উপলক্ষে আমি আমার নিজস্ব আইডিয়া থেকে মাদকদ্রব্য সম্পর্কে একটি কন্টেন্ট তৈরি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে এই কনটেন্ট এর মাধ্যমে আমি সবাইকে বোঝাতে চেয়েছি মাদকদ্রব্য আমাদের সমাজের জন্য এবং দেশের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই কিভাবে মাদকদ্রব্য আমাদের সমাজ থেকে এবং দেশ থেকে নির্মূল করা যায় সবাইকে সেই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। আসলে আমি এই গল্পটি পুরোপুরি নিজেই সাজিয়েছিলাম। আসলে এই গল্পটি সাজাতে আমার প্রায় দুই থেকে তিন দিন সময় লেগেছিল। এবং পাড়ার ছোট্ট ছেলেদের সাথে এভাবে দুইদিন শুধুমাত্র অভিনয় করেছিলাম। শেষ দিন আমরা যখন ভিডিও করার প্রিপারেশন নিয়েছিলাম তখন ছেলেরা বেশ লজ্জা পাচ্ছিল। সবকিছু মিলিয়ে আপনাদের মাঝে চেষ্টা করেছি একটি শিক্ষামূলক ভিডিও ধারণ করে শেয়ার করার জন্য।
আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন । আমি যখন ভিডিও ধারণ শুরু করেছিলাম তার আগেই সবাইকে যার যার যেখানে অভিনয় আছে সেগুলো একটু ভালোভাবে দেখতে বলেছিলাম। এবং প্রত্যেকটি অভিনয়ের আগে আমি অনেক সুন্দর ভাবে আবারও সেই কথাগুলো রিপিট করছিলাম। সব মিলিয়ে চেষ্টা করেছি একটি শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করার জন্য।
এবার আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আবারো অনেক সুন্দর ভাবে আমি দুটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে মাদকদ্রব্য সম্পর্কে এই ভিডিওটি তৈরি করার জন্য আমাকে বিভিন্ন জায়গায় ভিডিও করতে হয়েছিল। এইসব জায়গা গুলো অনেক আগে থেকেই নির্ধারণ করে রেখেছিলাম আমরা। তবে এরকম একটি ভিডিও তৈরি করতে সত্যিই অনেক সময় ব্যয় করেছিলাম আমরা। অতি কষ্ট করে হলেও আমি চেষ্টা করেছি সকলের মাধ্যমে শিক্ষামূলক একটি মেসেজ দেওয়ার জন্য।
আসলে ভিডিও গুলো যখন আমরা মোবাইল ফোনে এবং ডিএসএলআর ক্যামেরায় ধারণ করেছিলাম সত্যি ছেলেরা বেশ কষ্ট করেছিল। বিভিন্ন স্টাইলে যখন ভিডিও ধারণ করছিলাম কয়েক জায়গায় একটু ভিডিও একটু খারাপ আসছিল। বাঁশ গাছের উপর থেকেও কয়েকটি স্টেপের ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল। আসলে ভিডিও করার সময় আমরা সত্যিই বেশ মজা পেয়েছিলাম। সত্যি বলতে আমার সাথে সকল ছেলেরা বেশ পরিশ্রম করেছিল এই ভিডিওটা তৈরি করা জন্য।
মাদকদ্রব্য সম্পর্কে কনটেন্ট তৈরির একেবারে শেষ পর্যায়ে যখন আমার চলে এসেছিলাম, তখন বেশ কয়েকজন ছেলে তাদের অভিনয় ভুলে গিয়েছিল। আমি আবারো আমার মোবাইল ফোন দেখে তাদের মাঝে কথাগুলো রিপিট করেছিলাম। সত্যি বলতে সকলেই বেশ দুর্দান্ত অভিনয় করেছিল। আসলে আমি নিজে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমি ক্যামেরাম্যানের দায়িত্বে থাকার কারণে অভিনয় করতে পারেনি। তাই চেষ্টা করেছি সবার শেষে নিজ কন্ঠে শপথ বাক্য পাঠ করার জন্য। আশা করি শিক্ষামূলক এই ভিডিওটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।
ভিডিও লিংক
আমি বেশ কয়েক বছর যাবত লক্ষ্য করছি আমাদের সমাজ এবং দেশের যুবক ছেলেরা মাদকদ্রব্যের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছে, সেই চিন্তা-ভাবনা মাথায় রেখে আমি আজকের এই ভিডিওটি তৈরি করেছি। আমি মনে করি দেশের যুব সমাজ যদি পদক্ষেপ নয় অবশ্যই দেশ থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব। আসলে এই ভিডিওটি তৈরি করার পরে ভিডিওটি এডিটিং এবং এভাবে সেট করতে সত্যি আমার অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। তারপরেও সবার মাঝে এই মেসেজটি পৌঁছাতে পেরে সত্যি আমি বেশ আনন্দিত। আশা করি সকলের কাছেই বেশ ভালো লাগবে।
আমরা সবাই শপথ গ্রহণ করছি যে। জীবনের লক্ষ্য স্থির রেখে সফল মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে এবং শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা ধরে রাখতে কৌতুহলবশত আমরা মাদক গ্রহণ করব না। মাদকের ধ্বংসাত্মক ম্যানেজ নিজেকে জড়াবো না। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবো। বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত করতে সব সময় সশস্ত্র থাকব। বেকারত্ব যুব সমাজকে অনলাইন মুখে কাজের প্রতি উৎসাহ প্রকাশ করব। আসুন আমরা সবাই মিলে স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করি। আমার বাংলা ব্লগ এটি শুধুমাত্র একটি বাক্য নয়, এই বাক্যের সাথে মিশে আছে আবেগ ভালোবাসা ও পারিবারিক বন্ধন। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির এই স্বপ্নের যাত্রা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ফাউন্ডার সহ সকল মেম্বার শুরু করেছিল একটি স্বপ্ন নিয়ে। বাংলা ভাষায় মানসম্মত কনটেন্ট সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তিন বছরের ভালোবাসায় সমর্থনে এবং অনুপ্রেরণায় আমরা তৈরি করেছি এক শক্তিশালী কমিউনিটি। প্রত্যেকের ভালোবাসা এবং সমর্থন ছাড়া এই কমিউনিটি তৈরি করা সম্ভব হতো না। আসুন হৃদয়ের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করি বাংলায়, হৃদয়ের অনুভূতি প্রকাশ করি বাংলায়, হৃদয়ের আবেগ প্রকাশ করি বাংলায়, সব হবে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/GKibreay/status/1799670132329050436
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই কনটেস্ট অংশগ্রহণ করার জন্য। আরো ধন্যবাদ জানাই খুবই চমৎকার একটা বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। বর্তমান সমাজে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মাদকদ্রব্যের জন্য। আর মাদকদ্রব্য থেকে নিজেকে দূরে রাখা এবং সেখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার করণীয় কি করতে হবে এই সবগুলো খুবই চমৎকার বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর অবশ্যই প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা রইলো।
চেষ্টা করেছি মামা বর্তমান সমাজের কথা মাথায় রেখে নিজের জায়গা থেকে একটি কন্টেন্ট তৈরি করে শেয়ার করার জন্য। ধন্যবাদ মামা মতামত প্রদান করার জন্য।
আপনার কাজটা পুরোপুরি অন্যরকম ছিল। বিশেষ করে ভিডিও টার কথা বলতেই হয়।মাদক এর প্রভাব এখন খুবই ভয়াবহ আমাদের সমাজে। ভিডিও টা করার জন্য বেশ পরিশ্রম করেছেন। আর আপনার প্রতিটা অনূভুতি স্মৃতি বেশ ভালো লাগল। চমৎকার এককথায় ভাই। ধন্যবাদ আমাদের সাথে মূহূর্তটা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি আসলে ভিডিও লেখা থেকে শুরু করে ভিডিওর সবকিছু করতে অনেক পরিশ্রম হয়েছিল আমার।
বাহ খুব সুন্দর একটি বিডিও করেছেন ভাইয়া। মাদক শুধু একজন মানুষকে নয়, একটি পরিবার, একটি সমাজ ও একটি দেশকে ধ্বংস করে। আপনার বিডিও বানাতে অভিনেতা ও ক্যামেরা ম্যান অনেক কষ্ট করেছে। বাশঁ গাছের উপরে উঠেও বিডিও করেছে। ধন্যবাদ।
ভাই ভিডিও বানানে বেশ কয়েক জায়গায় ভুল রয়েছে আশা করি ঠিক করে নিবেন। আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।