(ক্রিয়েটিভ রাইটিং)//প্রথম সাইকেল চালানো শেখার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২০-০৫-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি প্রথম সাইকেল চালানো শেখার অনুভূতি। আজকে সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে ওঠার সময় হঠাৎ শরীর খারাপ বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। হাতমুখ ধুয়ে বেশ কিছু সময় লেখাপড়া করেছিলাম। আসলে আজকে বাড়িতে একটা কাজ ছিল তাই সব থেকে বেশি চিন্তা হয়েছিল শরীর খারাপ বলে। নাস্তা না খেয়ে বাড়ির কাজের জন্য বাইক নিয়ে বের হয়েছিলাম। বাড়ি থেকে প্রায় সত্তর কিলোমিটার দূরে যেতে হবে। কিছু সময় পথ যাওয়ার পরে হঠাৎ রাস্তায় পানি নেমে গিয়েছে। সেখানে বেশ কিছু সময় বসে ছিলাম। তারপরে একটি হোটেলে অল্প একটু নাস্তা খেয়েছি। কিছু সময় পরে রওনা দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় কাজ শেষ করে আবারও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে বেশ ক্লান্ত মনে হচ্ছিল নিজের কাছেই। তারপরেও পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.....
আমি আজকে আপনাদের মাঝে আমার প্রথম সাইকেল চালানো শেখার অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আসলে ছোটবেলার সেই অনুভূতিগুলো যখন মনে পড়ে তখন প্রত্যেকের কাছেই বেশ ভালো লাগে। আমি পোস্ট লেখার আগ মুহূর্তে যখন সবকিছু মনে করছিলাম তখন কয়েকবার বেশ হাসি পেয়েছিলাম। আমি যখন প্রথম সাইকেল চালানো শিখি তখন আমার বয়স মাত্র ছয় বছর। আমি তখন প্রথম শ্রেণীতে পড়ি। আমার নানা একটি ছাগল বিক্রি করে আমাকে সাইকেল কিনে দিয়েছিল। আসলে আমার নানা যখন সাইকেল কিনে দিয়েছিল তখন আমি সাইকেল চড়তে পারতাম না। সাইকেল বাড়িতে নিয়ে আসার পরে আমার আব্বু বেশ কয়েকদিন আমাকে হাতে ধরিয়ে সাইকেল চালানো শিখিয়েছিল। আসলে অনেক ছোট ছিলাম সেই কারণে ভালো পারতাম না। তারপরেও সাইকেল চালানোর প্রতি আমার প্রবল আগ্রহ ছিল।
আসলে আমার আব্বু সব সময় বাড়িতে থাকে না তাই আমাকে তেমন ভালোভাবে সাইকেল চালানো শেখাতে পেরেছিল না। আমি প্রায় সময় একা একা সাইকেল বাড়ি থেকে বের করে ঠেলে নিয়ে বেড়িয়ে বেড়াতাম সাইকেল চালাতে পারতাম না বলে। আমাদের বাড়ির পাশে একটি পুকুর ছিল। আমি সাইকেল যখন ঠেলে বাড়ি থেকে বের করেছিলাম এবং পুকুরের চারি পাশে সাইকেল নিয়ে হেঁটে বেড়াতাম। একদিন হঠাৎ করে আমার হাত থেকে সাইকেল পুকুরের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। আমি তখন সেখানে বসেই কান্না শুরু করে দিয়েছিলাম। বাড়ির মধ্য থেকে আমার ছোট আব্বু এসে আমার সাইকেল সেই পুকুর থেকে তুলে দিয়েছিল। সাইকেলে অনেক নোংরা হয়ে গিয়েছিল বলে আমি আরো বেশি কান্না করেছিলাম। পরে সেই সাইকেল বাড়িতে নিয়ে আসার পরে আমার ছোট আব্বু আবার অনেক সুন্দর ভাবে ধুয়ে দিয়েছিল। আসলে আমি তখন আমার তিন বাবার একমাত্র সন্তান ছিলাম বেশ আদরের।
সেদিন বিকেল বেলায় আমার ছোট আব্বু আমাকে বলছে আজকে তোমাকে সাইকেল চালানো শিখতেই হবে। আমি এবং আমার ছোট আব্বু সাইকেল নিয়ে আমাদের ঈদগাহ ময়দানে চলে গিয়েছিলাম সাইকেল চালানো শেখার জন্য। আসলে ঈদগাহ ময়দানে অনেক বড় জায়গা চারি সাইডে প্রাচীর দেওয়া রয়েছে সেজন্য সে জায়গাটি বেশ পারফেক্ট ছিল। আমার ছোট আব্বু প্রথমে আমাকে ধরে সাইকেল চালানো শিখিয়েছিল পরবর্তীতে পেছন থেকে ছেড়ে দিচ্ছে এভাবেই সাইকেল চালানো শিখেছিলাম। সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার ছোট আব্বু আমাকে সাইকেল চালানো শিখিয়েছিল। আমি মনে করেছিলাম হয়তো একদিনে আমি সাইকেল চালানো শিখে গেছি আর কোন সমস্যা হবে না। পরের দিন আমি একা একা সকালবেলায় বাড়ি থেকে সাইকেল বের করে ঈদগাহ ময়দানে চলে গিয়েছিলাম সাইকেল চালানো জন্য।
আমি যখন একা একা ঈদগাহ ময়দানের মধ্যে সাইকেল চালাতে ছিলাম তখন বেশ ভালোই লেগেছিল। আসলে আমার সেই ছোট্ট সাইকেলের দুই সাইডে দুইটা চাকা ছিল সেজন্য শুধুমাত্র এক সাইডে কাত হয়ে যেতাম কিন্তু পড়তাম না। কিন্তু একবার সাইকেল চালাতে চালাতে ঈদগাহ ময়দানের প্রাচীরের সাথে গিয়ে আমার সাইকেল ধাক্কা মেরেছিলাম। সাইকেল প্রাচীরের সাথে ধাক্কা মারার পরে আমার সাইকেলের এক দিকের একটি চাকা ভেঙ্গে গিয়েছিল। আমি তখন সাইকেল সেখানে রেখে দিয়েই বাড়িতে চলে এসেছিলাম কান্না করতে করতে। পরে আমার সাথে আমার আম্মু গিয়ে সাইকেল নিয়ে এসেছিল। তারপরে আমার ছোট আব্বু বাড়িতে এসে আবারো সাইকেল সারানোর জন্য মেকানিক বাড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম আমি এবং আমার ছোট আব্বু।
সাইকেল সারিয়ে বাড়িতে আসার পথে আমার ছোট আব্বু আমাকে ধরে ধরে সাইকেল চালানো শেখাতে শেখাতে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। তারপর থেকে সাইকেল চালাতে আমার আর কোন অসুবিধা হয়নি। এভাবেই পরবর্তীতে আমি একা একা সাইকেল চালানো শিখে গিয়েছিলাম। একা একা সাইকেল চালানো শেখার পরেও ঈদগাহ ময়দানের প্রায় প্রত্যেকদিন সাইকেল চালানো প্র্যাকটিস করতে যেতাম। এভাবেই কয়েকদিন পর থেকে সাইকেল নিয়ে স্কুলে যেতাম। আসলে তখন খুব কম মানুষের সাইকেল ছিল। আমার সাইকেল ছিল বলে বন্ধুরা সকলে আমার সাথে বেশি মেলামেশা করতো সেই সময় একটু সাইকেল চালানোর জন্য। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
https://x.com/GKibreay/status/1792469817041244427
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রত্যেকটি মানুষের কাছে তার অতীতেরঅনেক অভিজ্ঞতা মনে থাকে। আপনি আজকে আপনার জীবনে প্রথম সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন। এই ধরনের স্মৃতিগুলো পড়তে খুবই ভালো লাগে এবং অনেক মজা পাওয়া যায়। আপনার পুরো লেখাটি পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা ছিল।
আপনার কাছে আমার স্মৃতিময় গল্প ভালো লেগেছে জানতে পারে বেশ খুশি হলাম ধন্যবাদ আপু।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া সকল বেলায় উঠে যদি কেউ দেখে শরীর খারাপ লাগছে তখন অনেক চিন্তা বেড়ে যায়। যাই হোক ভাইয়া আপনার সুস্থতা কামনা করছি। আর সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতার কথা শুনে অনেক ভালো লাগলো। ছোটবেলায় আমিও চেষ্টা করেছিলাম চাইতে চালানো শেখার। কিন্তু পারিনি।
আমার বাবা এবং ছোট আব্বুর মতো যদি একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক থাকতো তাহলে আপনি সাইকেল চালানো শিখতে পারতেন আপু। ধন্যবাদ মতামত দেওয়ার জন্য।
ভাইয়া আপনি তো খুব অল্প বয়সে সাইকেল চালানো শিখে গেলেন। আপনার বয়স যখন ছয় বছর ছিল তখন থেকে আপনি সাইকেল চালানোর চেষ্টা করেছেন। তবে আপনার নানার ভালোবাসা অনেক ছিল আপনার জন্য। ছাগল বিক্রি করে আপনাকে সাইকেল কিনে দিয়েছে। তবে প্রথমে সাইকেল চালাতে একটু কষ্ট হয় ভয় ভয় লাগে। আর ছোটকালের স্মৃতি মনে পড়লে এমনিতে বেশ মজা লাগে। যাই হোক খুব সুন্দর করে সাইকেল চালানোর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছ। তুমি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ প্রথম সাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা। আসলে বন্ধু প্রথম কোন কিছু শেখার অভিজ্ঞতার মজাই আলাদা। যদি তোমার আব্বু তোমার সাথে সময় দিতে পারতো না তবে তোমার ছোট আব্বুর মাধ্যমে তুমি সাইকেল চালানো শিখতে পেরেছো বিষয়টা খুব ভালো লাগলো। এভাবে তুমি সাইকেল চালানো শিখে গেলে। অসংখ্য ধন্যবাদ তোমার এমন একটি স্মৃতিচারণ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ বন্ধু পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
মামা অনুভূতিটা কিন্তু বেশ দারুন ছিল। তোমার এই অনুভূতি পড়তে গিয়ে আমি আমারও সেই ছোটবেলার স্মৃতি মনে করে ফেললাম। তবে যাই হোক সাইকেল চালাতে গিয়ে কোনদিন পড়ে যায়নি বা হাত-পা কাটেনি। খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছ দেখে ভালো লাগলো।
হাত পা ভেঙেছিল না কিন্তু হাতে একবার বেশ ব্যথা পেয়েছিলাম।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাসায় কোন কাজ থাকলে আর সেইদিন যদি ঘুম থেকে উঠে দেখি শরীর ভালো নেই তবে খুবই চিন্তা হয়। কিভাবে কাজগুলো শেষ করব। যাই হোক আপনি সাইকেল চালানো সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি খুবই অল্প সময়ে সাইকেল চালানো শিখেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য
আসলে আপু সাইকেল চালানোর বেশ চেষ্টা ছিল, তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে সাইকেল চালানো শিখেছিলাম।
আপনার সাইকেল চালানোর শেখার গল্পটি বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। ছোটবেলার কথা গুলো মনে হলে সত্যিই হাসি পায়। আপনার ছোট আব্বু আপনাকে যত্নসহকারে সাইকেল চালানো শিখিয়েছে জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ গল্পটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে ছোটবেলার স্মৃতিময় সময়ের কথাগুলো মনে পড়লে সত্যি বেশি হাসি পায়।
ভাইয়া তো আসলেই অনেক ছোটবেলা তেই সাইকেল চালানো শিখেছিলেন দেখছি! মাত্র ৬ বছর বয়সে সাইকেল চালানো শেখা চারটিখানি কথা তো না! সেই স্মৃতি আবার আপনার মনেও আছে!! তবে একদিনে তো আর কেউ সাইকেল চালানো শিখে না। আপনার ও সাইকেল চালানো শেখা নিয়ে নানা অভিজ্ঞতা হয়েছে! তবুও আপনি বয়স অনুযায়ী বেশ দ্রুতই শিখেছেন বলে আমার ধারণা।