সাতক্ষীরা ভ্রমণ (পর্ব-০৭) ||২৯-০৩-২০২৪|| by @kazi-raihan
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেম @kazi-raihan বাংলাদেশ থেকে। আশা করি সবাই ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করব।
গত সপ্তাহে সাতক্ষীরা যাওয়াকে কেন্দ্র করে ষষ্ঠ পর্ব শেয়ার করেছি। মূলত বাসা থেকে বের হওয়ার পর বাইক ট্যুরে ভ্রমণের প্রতিটা অংশ আপনাদের মাঝে আলাদা আলাদা পর্বে তুলে ধরবো। যেহেতু অনেক দিন আগে গিয়েছিলাম তাই কিছু কিছু টপিক হয়তো বাদ পড়তে পারে তবে তারপরও নিজে সর্বোচ্চ দিয়ে প্রতিটা মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। ষষ্ঠ পর্বে সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী যে পার্ক আছে সেখানে ঘুরেছিলাম আর সেটা নিয়ে শেয়ার করেছিলাম। সকাল বেলা বাসা থেকে বের হয়ে বৃষ্টির মধ্যে সুন্দরবনের শ্যামনগর এবং সাতক্ষীরা জেলার মুন্সিগঞ্জ উপজেলার কিছু অংশ ঘুরে দেখেছিলাম। এই পর্বে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ অঞ্চল এবং তার আশপাশের কিছু সৌন্দর্য তুলে ধরবো এবং সেখানে ঘোরাঘুরির করার কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এই পর্ব নিয়ে একটু আলাদা এক্সাইটমেন্ট ছিল কারণ সুন্দরবনের গভীরে নৌকায় গিয়ে জঙ্গলের সৌন্দর্যটা দেখব এবং সুন্দরবনের কিছু বন্যপ্রাণীও দেখতে পারবো এই আশা নিয়েই মূলত নৌকায় ওঠা।
আমরা সবাই ঘাট থেকে নৌকায় উঠলাম, নৌকায় উঠার পরেই সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভের সৌন্দর্যটা যেন পর্যায়ক্রমে কাছে থেকে উপভোগ করতে পারছিলাম কারণ নৌকা ধীরে ধীরে সুন্দরবনের কাছে যাচ্ছিল আর আমাদের টার্গেট ছিল সুন্দরবনের পাশ ঘেঁষে কিছু অংশ ঘুরে দেখব। যদিও পুরোপুরি অঞ্চলটা ঘুরে দেখা সম্ভব না কিছুটা শুধু ঘুরে দেখব যদি সম্ভব হয় তাহলে একটু ভেতরের দিকে যাব। ঘাট থেকে নৌকা ছাড়ার কিছু সময়ের মধ্যে সুন্দরের ম্যানগ্রোভ অঞ্চল টা দেখতে পেলাম তবে এই অঞ্চলটা লোকালয় এরিয়ার কাছাকাছি বলে তেমন কোন বন্যপ্রাণী দেখতে পাইনি। একটা বিষয় লক্ষ্য করলাম এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে পাখির আনাগোনা রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির অনেক পাখি দেখেছি যেগুলো আগে কখনো দেখা হয়নি। সাদা বকের অনেকগুলো প্রজাতি দেখলাম আবার অনেক রকমের মাছরাঙ্গা পাখি ও দেখলাম যেগুলো পানির উপর থেকে মাছ শিকার করে। এখানে প্রতিনিয়ত জোয়ার ভাটা হয় নদীর পাড়ে সব সময় পানি জমে থাকে। বিভিন্ন কাকরা সহ শামুক উপরে মাঝে মাঝেই দেখা যায়।
সুন্দরবন ম্যানগ্ৰোভ ফরেস্ট।
what3words address.
https://w3w.co/disguises.likability.cookers
চুনা নদী।
what3words address.
https://w3w.co/dealmaker.striking.differently
আমরা যে নদী ধরে এগোচ্ছিলাম সেই নদীর নাম ছিল চুনা নদী। ছোট্ট এই নদীটিতে প্রতিনিয়ত জোয়ার ভাটা হয় । কখনো জোয়ারের পানিতে নদী ভরে ওঠে আবার কখনো ভাটার কারণে নদীর পানি শুকিয়ে যায়। এই নদীর পাশ দিয়ে অনেক জেলেদের ঘরবাড়ি সেই সাথে ছেলেদের নৌকাও রয়েছে কিছু কিছু নৌকা শুধু মাটির উপরে রয়েছে কারণ যখন জোয়ারে পানি ছিল তখন নৌকা উপরে রাখা হয়েছে আর এখন ভাটা শুরু হওয়ার কারণে পানি নিচে নেমে গিয়েছে। আমাদের নৌকা সুন্দরবনের পাশ দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছিল। নৌকার মাঝির সাথে আমাদের কন্ট্রাক্ট ছিল তিনি এই নদীর মোহনা পর্যন্ত আমাদেরকে নিয়ে যাবে। তখন গরমের সিজন ছিল তাই নৌকার সামনে বসে ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করতে পারছিলাম সেই সাথে আমাদের ডান পাশে ছিল সুন্দরবন। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি ফোন ক্যামেরার মাধ্যমে বিভিন্ন গাছের ছবি তুলেছিলাম এখানে কয়েকটি সুন্দরবনের গোলপাতা গাছের ছবিও তোলা আছে। যারা গোলপাতার গাছ চিনেন তারা অবশ্য বুঝতে পারবেন।
নীল ডুমুর।
what3words address.
https://w3w.co/defects.dampening.fleshly
সাতক্ষীরার যেখানে এই চুনা নদীর মোহনা মিলিত হয়েছে সেই জায়গাটিকে নীল ডুমুর বলা হয় আর মোহনার বিপরীত পাশে ছিল নীল ডুমুর বাজার আমরা সেখানে গিয়ে কিছু খাবার কিনেছিলাম আর নৌকার উপর বসেই খাবার গুলো খেলাম। যেহেতু নৌকার মাঝির সাথে আমাদের কন্টাক ছিল সে মোহনা পর্যন্ত নিয়ে যাবে তাই মোহনার সামনে থেকেই নৌকা আবার ঘুরিয়ে নেওয়া হল তবে নৌকা ঘুরিয়ে নেওয়ার আগে আমরা নদীতে নেমে কয়েকটি ছবিও তুলেছিলাম। লক্ষ্য করলাম অনেকেই সেখানে চিংড়ি মাছ ধরছে মূলত এই লবণাক্ত পানিতে গলদা চিংড়ির পোনা পাওয়া যায় যেগুলো বাজারে বেশ ভালো দামে বিক্রি করা যায়। তাই সুন্দরবনের এই এলাকার মানুষ নদীতে গলদা চিংড়ির পোনা ধরার জন্য সারাদিন এক ধরনের ঠেলা জাল ব্যবহার করে। দিনশেষে চিংড়ি পোনা গুলো বাজারে বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। যদি উপরের কয়েকটি ছবি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন মহিলা মানুষ সেখানে গলদা চিংড়ির পুনা ধরার জন্য এক ধরনের জাল টানছে। চিংড়ির পোনার পাশাপাশি লবনাক্তা পানির অনেক মাছ জালে ধরা পড়ে। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন ভাটা চলছিল। যদি জোয়ার শুরু হতো তাহলে আমরা সুন্দরবনের একটু ভেতরে প্রবেশ করতে পারতাম কেননা সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে বেশ কয়েকটি খাল রয়েছে আর যখন জোয়ারের পানি আসে তখন খালগুলোতে পানি ভরে ওঠে তখন নৌকা নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করা যায়। তবে তারপরও আমরা নৌকা নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিলাম যেহেতু ভাটা চলছিল তাই নৌকা আর বেশি ভেতরে যেতে পারেনি তখন আবার নৌকা ঘুরিয়ে আমরা ঘাটের দিকে রওনা হলাম। এক পর্যায়ে সুন্দরবনের পুরোপুরি এরিয়াটা কভার করে আবার বাসায় ফিরে আসলাম।
কৈখালি।
what3words address.
https://w3w.co/stunner.entitles.slathering
সুন্দরবনের এরিয়া শেষ করে আমরা দুপুর ২ টার দিকে বাসায় আসলাম। বাসায় এসে গোসল খাওয়া-দাওয়া শেষ করে এক ঘন্টা রেস্ট নিয়ে বিকেলের দিকে আবার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের দিকে রওনা হলাম। সকালের দিকে হালকা বৃষ্টি হয়েছিল তাই আবহাওয়া টা মোটামুটি ঠান্ডাই ছিল। সেখানে গিয়ে আমরা দারুণ একটি মাঠ পেয়েছিলাম যে মাঠের দুই পাশ দিয়ে সামান্য পানি ছিল আর মাঝ দিয়ে অনেক বড় রাস্তা। বিকেল বেলায় সূর্য হেলে পড়েছিল আর সূর্যের আলো এসে পানিতে যখন পড়ছিল তখন দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগছিল। সেখানে আমরা বেশ কিছু সময় কাটানোর পরে আরো সামনের দিকে এগোতে লাগলাম। কিছু সময় যাওয়ার পরে গুগল মাপে দেখতে পেলাম সামনে একটি বিজিবি ক্যাম্প আছে আর সেই বিজিবি ক্যাম্প পার হলেই বাংলাদেশের এরিয়া শেষ। বাংলাদেশ আর ভারতের মাঝামাঝি শুধু রয়েছে একটি নদী। নদীর পাড়ে গিয়ে অনেকটা সময় কাটালাম। আমরা যখন শেষ বেলায় নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম তখন জোয়ারের পানি বাড়তে শুরু করেছিল আর তাই নদীর তীরবর্তী লোকেরা কাঁকড়া ধরার জন্য ফাঁদ তৈরি করে পানিতে ডুবিয়ে রাখছিল। আবার কেউ কেউ নদীর পাড়ে কিছুটা খাল কেটে কিছু ডালপালা রেখে দিয়েছে যখন জোয়ারের পানি এসে ভরে যাবে তখন মাছ এসে সেই খালের মধ্যে আশ্রয় নিবে আর যখনই জোয়ারের পানি নেমে যাবে তখন তারা পানি সেচে মাছগুলোকে ধরে নেয়। কিছু সময় সেখানে থাকার পরে লক্ষ্য করলাম নদীর বিপরীত পাশে ভারতের বিএসএফ চলাচল করছে সেই সাথে কিছু জায়গায় মন্দিরসহ ভারতের মানুষের জীবিকার মাধ্যমে দেখলাম। তবে ভারত আর বাংলাদেশের মাঝে যে নদী ছিল সেই নদীর পারে বেশিরভাগ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আর তারা বলল রাতের বেলায় নৌকা নিয়ে আমরা ভারতে চলাচল করি তেমন কোনো সমস্যা হয় না। অনেক সময় তাদের সাথে গল্প করে আমরা সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
বন্ধুরা, এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজনে, আশাকরি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লেগেছে।এই ভ্রমণ কাহিনী পড়ে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাবেন। আর আমার ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🙏
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান।আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/KaziRai39057271/status/1773580546683121957?s=20
যখন এই ছবিগুলো দেখি যেগুলো বর্তমানে স্মৃতি। মনে হয় আবার ফিরে যাই। অনেক জায়গা ঘোরাঘুরি করেছি তার মধ্যে সেরা ছিল এই সুন্দর মুহূর্তগুলো। যেটা কখনোই ভুলবো না এরকম সুন্দর মুহূর্ত যাতে আরো উপভোগ করতে পারি সেটাই কামনা করি। সেই স্মৃতিচারণ ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করে চলেছেন ভালো লাগলো।
তাহলে আবার যেতে হবে শ্যামনগরের ভেটখালীতে 😜
বোঝাই যাচ্ছে সাতক্ষীরা ভ্রমণ করতে গিয়ে দারুণ একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন গত পর্বগুলো কয়েকটা দেখা হয়েছে। নতুন আরেকটা পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগলো বিশেষ করে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন অঞ্চলের দারুণ একটা মুহূর্ত অতিবাহিত বিবাহিত করেছেন। ঘোরাঘুরি করতে যে আপনি অনেক বেশি পছন্দ করেন সেটা আপনার পোস্ট দেখলেই বোঝা যায়। ধন্যবাদ আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তটুকু আমাদের মাঝে চমৎকার ভাবে তুলে ধরার জন্য।
আসলেই সময়টা দারুন ভাবে উপভোগ করেছিলাম এখনো স্মরণীয় হয়ে আছে।
ঐ এলাকায় বেশ ভালো পরিমাণে গলদা চিংড়ি পাওয়া যায়। অর সুন্দরবনের নদীর চিংড়ি হওয়াই আলাদা একটা ডিমান্ড আছে। নৌকা ভাড়া করে চুনা নদী ধরে সুন্দরবনে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছিলেন। তবে যে প্রাণী দেখার একটা আশা ছিল আপনাদের মাঝে সেটা আর হয়নি আফসোস। বেশ দারুণ ছিল আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ।
আসলে প্রথম থেকে মনে আশা ছিল হয়তো বাঘ বা হরিণ দেখতে পারবো কিন্তু সেগুলো দেখতে পাইনি।
দেখেই বুঝা যাচ্ছে আপনি সাতক্ষীরা গিয়ে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন৷ এর মধ্য দিয়ে আপনি খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন৷ সব সময় আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি এবং মুহুর্ত দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ একই সাথে আজকে এর সপ্তম পর্ব দেখে খুবই ভালো লাগলো৷ আশা করি পরবর্তীতে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে নতুন নতুন পর্ব দেখতে পারবো৷
আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ৷
যদিও আমি সুন্দরর্বন ভ্রমন করেছিলাম। তবে আপনার সাতক্ষীরা ভ্রমণ সপ্তম পর্বে এসে অনেক কিছু দেখতে পারলাম। আমরা যখন গেয়েছিলাম তখন পানি বেশি ছিল। আপনারদের সময় মনে হয় বাটা ছিল। যার ফলে অনেক সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেয়েছেন। ধন্যবাদ।
ভাইয়া ছোট্ট একটু বানান ভুল আছে কষ্ট করে ঠিক করে নিবেন ধন্যবাদ।