কক্সবাজার ভ্রমণ (পর্ব-০৩) ||৩০-০৬-২০২৪|| by @kazi-raihan
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেম @kazi-raihan বাংলাদেশ থেকে। আশা করি সবাই ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করব।
গত সপ্তাহে কক্সবাজার ভ্রমণ নিয়ে দ্বিতীয় পর্ব আবশ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যেহেতু দ্বিতীয় পর্বের গল্পটা অনেকেই পড়েছেন তাই সবার কাছেই দ্বিতীয় পর্বের পরে এখন তৃতীয় পর্ব দেখার বা তৃতীয় পর্বের গল্পটা পড়ার প্রতি একটা আগ্রহ জন্মেছে তাই আজকে আবার আপনাদের মাঝে তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। দ্বিতীয় পর্বে কক্সবাজার পৌঁছানোর পর আমরা কিছু সময় সমুদ্র সৈকতের আশপাশের ঘুরেছিলাম আর সমুদ্র সৈকতের পাশেই একটা হোটেলে সকালের নাস্তা শেষ করেছিলাম তারপর আবার হোটেলে ফিরে গিয়েছিলাম তারপর থেকে এই তৃতীয় পর্বে বিস্তারিত এখন আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। আমরা সকালবেলা কক্সবাজার পৌঁছানোর পরে হোটেলে ব্যাগ রেখে সমুদ্র পাড়ে গিয়ে নাস্তা শেষ করে কিছু সময় সমুদ্র পারে ঘোরাঘুরি করার পরে যখন আবার হোটেলে ফিরে আসলাম তখনো আরিফ ভাই চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এসে পৌঁছায়নি। রুমে গিয়ে রেস্ট করছিলাম। আমরা ছিলাম সপ্তম ফ্লোরে অর্থাৎ আমি আর অংকন। সুমন ভাই আর হাফিজ ভাই ছিল অষ্টম ফ্লোরে। আরিফ ভাই কক্সবাজার পৌছানোর পর হাফেজ ভাই তাকে গিয়ে রিসিভ করে এবং রুমে নিয়ে আসে। তাই কখন আরিফ ভাই এসেছে সেটা বুঝতে পারিনি পরবর্তীতে যখন সবাই একসাথে দুপুরের খাবার খেতে বের হয়েছিলাম তখন বুঝতে পেরেছিলাম। সেই দিন প্রথম আরিফ ভাইয়ের সাথে দেখা, তার সাথে পরিচিত হয়ে ভালো লেগেছিল।
আমরা আবার ঠিক ঘড়ির কাঁটায় যখন দুইটা বাজে তখন বের হলাম। গিয়ে দুপুরের লাঞ্চ করলাম ঢাকা রাঁধুনি নামক এক রেস্টুরেন্টে মোটামুটি সেখানকার খাবারের কোয়ালিটি বেশ ভালোই ছিল। ভালোই ক্ষুধা লেগেছিল তাই মন মত খাওয়া দাওয়া হল সেখানকার শুটকি মাছের রেসিপিটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল এমনকি সেই মাছের রেসিপিটা আরিফ ভাই সবচেয়ে বেশি খেয়েছিল। আবার আমাদেরকে সেই রেস্টুরেন্ট এর পক্ষ থেকে মজাদার আচার দেওয়া হয়েছিল যেটা ভাতের সাথে আরও বেশি মজা লেগেছিল বিশেষ করে ভর্তা ভাতের সাথে বেশি টেস্টি ছিল। সব মিলিয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার সমুদ্র সৈকতের দিকেই রওনা হলাম কারণ হোটেল থেকে অল্প একটু এগুলোই সমুদ্রসৈকত আর আমরা যে হোটেলে উঠেছিলাম সেখান থেকে সমুদ্র সৈকতের কিছু অংশ দেখা যায় বিশেষ করে বারান্দায় গেলে সেখানকার সৌন্দর্যটা উপভোগ করা যায়। ঝলমলে রোদ আর সমুদ্রের ঢেউ সবমিলিয়ে দারুন লাগছিল সময়টা দারুন উপভোগ করেছিলাম। তাছাড়া সবাই অনেক ফ্রেন্ডলি মিলে গিয়েছিলাম যার কারণে সবাই মিলে একসাথে সময়টা ভালোভাবে উপভোগ করতে পেরেছিলাম।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
what3words address.
https://w3w.co/followings.bathers.twirl
সুগন্ধা সি বিচ কক্সবাজার।
what3words address.
https://w3w.co/spooned.smug.warblers
সমুদ্র সৈকত থেকে ঘুরে আমরা আবার কিছু জিনিস কেনাকাটা করার জন্য উপরের দিকে আসলাম। অনেক দোকানে বিভিন্ন রকমের শামুকের জিনিস রাখা হয়েছে সেগুলো দেখতে ভালোই লাগছিল। তবে আমি আর অংকন সেখানে গিয়েছিলাম সেন্ডেল কেনার জন্য। চামড়ার জুতা পানিতে নষ্ট হয়ে যায় যার কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পুরোটা এরিয়া ঘুরে দেখার জন্য অল্প দামের স্যান্ডেল কিনলাম। দাম দর করে সবশেষে ১৩০ টাকা করে দাম রাখল। সেখানে শুধু মেয়েদের জন্য সব ধরনের জিনিস ছিল তবে আমরা শুধু সেই জিনিসগুলো দেখছিলাম আর সেটা নিয়ে কথা বলছিলাম যেহেতু আরও কক্সবাজার কয়েকদিন থাকবো তাই শেষ দিন সবকিছু কেনাকাটা করব। তবে হঠাৎ করে আমার মনে হল কখন কোন জিনিস পছন্দ হয় সেটা তো বলা যায় না যখন যেটা পছন্দ হবে সেটা নিয়ে নিব। যাই হোক সেখান থেকে বেরিয়ে আবার যখন সমুদ্র সৈকতের দিকে যাচ্ছিলাম তখন লক্ষ্য করলাম আকাশে প্রচন্ড মেঘ হয়তো বৃষ্টি নামবে। এর আগেও কক্সবাজার এসেছি কিন্তু এরকম কালো মেঘের ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য দেখা হয়নি।
লাবনী পয়েন্ট।
what3words address.
https://w3w.co/clarifies.attends.blanking
একদিকে উপরে কালো মেঘ আর অন্যদিকে সমুদ্রের বড় ঢেউ সবমিলিয়ে দারুন একটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। আমরা নিজেরাই বলছিলাম আসলে এরকম সৌন্দর্য সব সময় তো উপভোগ করা যায় না স্বাভাবিকভাবেই কক্সবাজার আসলে শুধু সমুদ্রের ঢেউ দেখতে পারবেন কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের পূর্ব মুহূর্তে কক্সবাজার যাওয়ার কারণে তুলনামূলক বড় বড় ঢেউ আর কালো মেঘের সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করতে পারছি। তাছাড়া এরকম ভয়ংকর সৌন্দর্য দেখে সবাই তো ছবি তোলায় ব্যস্ত তবে আমরাও কম নয় সবাই মিলে অনেকগুলো ছবি তুলেছিলাম যার মধ্যে আমার আর অংকনের একটা ছবি এখানে শেয়ার করেছি। আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করেছিলাম প্রচন্ড বাতাস হওয়ার কারণে হয়তো বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছিল উপরে যে বিমানের ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন সে বিমানটি আকাশে উড়ে যাওয়ার পর কিছু সময় পর আবার বাতাসের কারণে হয়তো বা এয়ারপোর্টে ফিরে গিয়েছিল।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
what3words address.
https://w3w.co/swatted.engraving.shall
আবহাওয়া যখন এমন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছিল তখন ছোট্ট একটা ছেলে প্লেটের উপরে অনেকগুলো কানের দুল একটি প্লেটের উপরে রেখে বিক্রি করছিল। সবার কাছে গিয়ে বলছিল ভাইয়া আপুর জন্য এক জোড়া কানের দুল নিয়ে যান। আমি আবার ভাবছিলাম কানের দুল নিয়ে আবার কি করব তবে হঠাৎ করে মনে হলো পছন্দ করে নিয়ে যাই কাজে লাগানো যাবে হি হি হি। তাকে ফোন করে অনলাইনে আসতে বললাম বেশ কয়েকটি কানের দুলের ছবি পাঠালাম। সে তিন জোড়া কানের দুল পছন্দ করলো আমি তাকে কিছু না বলেই তিনজন কানের দুল নিয়ে নিলাম। পরবর্তীতে অবশ্য জিজ্ঞাসা করেছিল তখন আমি বলেছিলাম এটা সারপ্রাইজ কোনটা নিয়েছি বা কোনটা না নিয়েছি সেটা বলা যাবে না। যাই হোক তারপর মেঘ আরো ভয়ঙ্কর হচ্ছিল তাই আমরা হোটেল রুমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে আমরা হোটেল রুমে পৌঁছানোর আগেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল। বৃষ্টিতে ভিজে সবাই হোটেল রুমে পৌঁছালাম।
বন্ধুরা, এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজনে, আশাকরি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লেগেছে।এই ভ্রমণ কাহিনী পড়ে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাবেন। আর আমার ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🙏
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান।আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাবির জন্য কানের দুল কিনেছিলেন এবং এটা সারপ্রাইজ রেখেছিলেন।ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে চমৎকার লাগছিল।ঝড়ের সময় ফ্লাইট গুলো বাতিল রাখা হয় দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে।অসাধারণ সময় কাটিয়েছিলেন আপনারা।ভালো লাগলো পোস্টটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনারা সবাই মিলে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। সত্যি বলেছেন ভাইয়া কক্সবাজার কেন যেকোন জায়গায় মেয়েদের জিনিস বেশি পাওয়া যায়। আপনি তিনটি কানের দুল এনেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আরিফ ভাই, হাফিজ ভাই আপনারা সবাই মিলে বেশ আনন্দ করেছেন নিশ্চয়। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনার কক্সবাজার ভ্রমণের তৃতীয় পর্বটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বগুলো পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনার কক্সবাজার ভ্রমণের তৃতীয় পর্বটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আপনারা সবাই মিলে সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলা দেখতে বেশ চমৎকার লাগছিল। ঝড়ের সময় ফ্লাইটগুলা বাতিল রাখা হয় দুর্ঘটনা যাতে না হয়।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
স্বাগতম।