সাতক্ষীরার মাছের বাজার। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -৪ঠা বৈশাখ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বুধবার | গ্রীষ্ম-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
ইতিমধ্যে আপনাদের মাঝে সাতক্ষীরা ভ্রমণ নিয়ে অনেকগুলো পোস্ট শেয়ার করেছি যেখানে সাতক্ষীরা যাওয়ার ভিন্ন ভিন্ন স্পটগুলো তুলে ধরেছি। তবে একটি স্পট নিয়ে আজকে পোস্ট শেয়ার করার জন্য হাজির হয়েছি। এই স্পটে অনেকগুলো ছবি ক্যাপচার করা ছিল তাই এই বিষয়টা নিয়ে একটি পোস্ট সাজানোর জন্য একটু স্কিপ করেছিলাম। সাতক্ষীরা গিয়ে সেখানকার দর্শনীয় যেসব স্থানগুলো ছিল সেগুলো ঘুরে দেখার চেষ্টা করেছি সাধারণত বাইক ট্যুরে কুষ্টিয়া থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার পরে সবার ক্ষেত্রেই ইচ্ছা থাকবে এত দূরের পথ পাড়ি দিয়ে আসার পর দর্শনীয় যেসব স্থানগুলো আছে সেগুলো অবশ্যই ঘুরে দেখব এমন একটা ইচ্ছা জাগে। যেহেতু সাগর ভাইয়ের খালার বাসা ছিল সেখানে তাই থাকা খাওয়া নিয়ে কোন টেনশন ছিল না শুধু ঘোরাফেরার বিষয়টা নিয়ে আগে থেকে প্ল্যানিং ছিল। সকালবেলা সাতক্ষীরার মাছের আরত গুলোতে বিভিন্ন প্রকারের সামুদ্রিক মাছ দেখা যায়। যেহেতু আমরা সেই মাছের বাজারে মূলত সামুদ্রিক মাছ গুলো দেখার জন্যই যাব তাই একটু সকাল সকাল বাইক নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে আমরা চারজন দুইটা বাইক নিয়ে সেই মাছের বাজারের উদ্দেশ্যে বের হলাম। আমাদের বাসা থেকে মাছের বাজারে যেতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে। তবে সকাল বেলা যখন বাসা থেকে বের হলাম তখন হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল যদিও এই বৃষ্টিতে যাত্রা বিরতি নেইনি হালকা বৃষ্টির কারণে ধীরে ধীরে বাইক নিয়ে সোজা মাছের বাজারে চলে গেলাম। প্রথমে মাছের বাজারে গিয়ে লক্ষ্য করলাম অনেক বড় সাইজের সামুদ্রিক কাঁকড়া আর সেগুলোকে এক ধরনের প্লাস্টিকের রশি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। কাকড়ার এক ধরনের অস্ত্র থাকে যেটা দিয়ে স্বীকার করে এবং নিজেকে রক্ষা করে। সাধারণত সেই অস্ত্রটাকে চিমটি নামেই বেশি পরিচিত আমাদের এলাকায়। তারপরে আমরা বিভিন্ন প্রকারের মাছগুলো দেখতে দেখতে সামনের দিকে যেতে থাকলাম। আবার সেখানে ছোট ছোট সামুদ্রিক চিংড়ি মাছ ছিল যেগুলো দিয়ে চিংড়ির বড়া সহ অনেক রকমের রেসিপি তৈরি করা যায়। তবে আমাদের এলাকায় নদীতে চিংড়ি পাওয়া যায় সেই চিংড়ির তুলনায় সেখানকার সামুদ্রিক চিংড়ি গুলোর দাম অনেকটা কম। সেটা পার দিয়ে সামনে যেতেই পাতা মাছ দেখলাম আমরা শুধু মাছগুলো দেখছিলাম আর সেই মাছগুলোর দাম কেমন সেটা জানার চেষ্টা করছিলাম।
কিছুটা যাওয়ার পরেই লক্ষ্য করলাম সামুদ্রিক শিং মাছ। আগের দিন যেহেতু আমরা সুন্দরবন ঘুরে ছিলাম তাই সুন্দরবনের এলাকার আশপাশে যে সব জেলেদের বসবাস তারাই মাছ শিকার করে এই বাজারে বিক্রি করতে এসেছে সেটা জানতে পারলাম। তবে এই বাজারের মাছগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কুড়াল মাছের আগ্রহ টাই বেশি দেখলাম কারণ অন্যান্য মাছের চেয়ে কুড়াল মাসের টেস্ট আলাদা এবং সামুদ্রিক মাছের পুষ্টি গুনাগুন বেশি। আমরা নিজেরা প্ল্যান করছিলাম এখান থেকে যদি সম্ভব হয় কিছু মাছ কিনে কুষ্টিয়া নিয়ে যাব তবে আবার চিন্তা করলাম যদি বরফ সহকারে মাছ নিয়ে যাই তাহলে সেটা অসম্ভব হয়ে যাবে কেননা এক কেজি মাছ কিনলে তার সাথে তিন কেজি বরফ নিতে হবে আর এই ৩০০ কিলোমিটার পথ বাইকের পেছনে বসে এত ভারী কিছু ধরে রাখা তো অসম্ভব। তাই মাছ কেনার প্ল্যানিংটা ক্যানসেল করে দিলাম। তাছাড়া সেখানে আরও বেশ কয়েক প্রজাতির মাছ ছিল সেই সাথে বড় সাইজের চিংড়ি মাছ ও ছিল যেগুলোর দাম তুলনামূলক মিঠাপানের মাছের চেয়ে অনেকটা কম ছিল। সাগর ভাই বলছিল সব সময়ই সামুদ্রিক মাছের চেয়ে মিঠা পানির মাছের দাম বেশি থাকে। যেহেতু আমরা সবসময় কম বেশি মিঠা পানির মাছ খেয়ে থাকি তাই আমাদের সামুদ্রিক নোনা পানির মাছ খাওয়ার আগ্রহটা একটু বেশিই থাকে।
বাজারে শেষ প্রান্তে গিয়ে দেখতে পেলাম আরতের এক পাশে প্রচুর পরিমাণে ফাইসা মাছ রেখে দেওয়া হয়েছে। এই মাছটা আমাদের সবার কাছেই স্পেশাল ছিল কারণ আমরা রাতের বেলায় এই মাছ খেয়েছি আর এর টেস্ট আমাদের সবার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। মাছের টেস্ট অসাধারণ ছিল, মাছ খেতে গেলে ইলিশ মাছের মত একটা ঘ্রাণ পাওয়া যায় আর মাছের সাথে প্রচুর পরিমাণে তেল যার কারণে আরো বেশি ভালো লাগে। যাই হোক রাতের বেলায় এরকম মজাদার মাছ খেয়ে সকাল বেলা প্রশংসা তো করতেই হয়। তবে এই মাছগুলো দেখতে অনেকটাই চাষ কৃত বাটা মাছের মত দেখা যায়। সত্যি বলতে এই মাস দেখে যখন আমরা কাছে গেলাম তখন লোকটির কাছে জিজ্ঞেস করছিলাম এই মাছটার নাম কি?? এটা কি বাটা মাছ?? তখন লোকটি মাসের নাম বলার পরে আমরা বুঝতে পারলাম এই মাছ রাতে খেয়েছি। যাই হোক পর্যায়ক্রমে সবগুলো মাছের নাম জানার পরে আমরা আবার বাসায় ফিরার সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে সেখানকার বাজারের এরিয়াটা বেশ বড় প্রতিদিন সকাল বেলায় নাকি এরকম মাছের বাজার বসে আর দূর দূরান্ত থেকে বিভিন্ন লোক এখান থেকে মাছ কিনে নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেয়। সাতক্ষীরার এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায় সেটা এ বাজারে এসে বুঝতে পেরেছিলাম। শ্যামনগর বাজার ঘুরে দেখা শেষে আবার বাইক নিয়ে আমরা সবাই বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | এপ্রিল,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ইতোমধ্যে আমরা আপনার পোস্টের মাধ্যমে সাতক্ষীরার বেশ কয়েকটি বিখ্যাত জায়গা সম্পর্কে জেনেছি। আজকে আপনি সাতক্ষীরার একটি মাছ বাজারের কিছু ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আমি ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার সাতক্ষীরার মাছ বাজার সম্পর্কে শুনেছিলাম, কিন্তু আজকে আমি আপনার পোস্টের মাধ্যমে সাতক্ষীরার মাছ বাজারের সম্পুর্ন তথ্য জানতে পারলাম।