রমজানের কাজের ধারা। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১লা চৈত্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | বসন্ত-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
পবিত্র মাহে রমজান আমাদের মাঝে চলে এসেছে আর তাই সবাই নিজেদের দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছে। মূলত রমজান মাসটা সবাই এবাদতের মাধ্যমে পার করে তাছাড়া ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী রমজান মাসের ফজিলত সবচেয়ে বেশি। প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সবাই এই মাসটায় রোজা রাখার চেষ্টা করে। বছরের অন্যান্য মাসগুলোর তুলনায় রমজান মাসের জীবন যাত্রা পুরোপুরি ভিন্ন বলা চলে কেননা এই মাসের মুসলিম বিশ্বের প্রায় সব মানুষ শুধু সৃষ্টিকর্তার এবাদতে মগ্ন থাকে আর রোজা রেখে সৃষ্টিকর্তার এবাদত করতে থাকে। যদি আমাদের দেশের কথাই বলি তাহলে দেখবেন এই মাসে অনেক হোটেল রেস্তোরাঁ দুপুরবেলায় বন্ধ থাকে কারণ বেশিরভাগ মানুষ দুপুরে রোজা রাখে তাই রেস্টুরেন্ট গুলো বন্ধ রাখা হয়। তবে এ মাসে আরো একটা ভিন্ন দৃশ্য লক্ষ্য করা যায় সেটা হচ্ছে প্রতিটা হোটেল রেস্টুরেন্টে বিকেল বেলায় নানা রকমের ইফতারের সমাহারের সাজিয়ে তোলা হয়। আবার রমজান মাসের রুটিনের সাথে যেন নিজেদেরকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে তার জন্য স্কুল-কলেজ ছুটি ঘোষণা করা হয়। যাইহোক আমি আজকে আমার নিজের কিছু কথা শেয়ার করার জন্য এই পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
যেহেতু রমজান মাস তাই অন্যান্য মাসের তুলনায় এ মাসে আমার নিজের কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছি। রমজান মাসে রোজা রাখতে হচ্ছে তাই নিজের কাজের ক্ষেত্রে একটু পরিবর্তন এনেছি। নিজের কাজ বলতে আমাদের সবার প্রিয়, আমাদের সবার পরিবার "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে যতটুকু কাজ করি সেটা আমার নিজের কাজ বা নিজের পারিবারিক কাজও বলতে পারি। অন্যান্য সময়ে সকালবেলায় কমিউনিটিতে কাজ করতাম কিন্তু সেহরি খাওয়ার পরে রমজান মাসে আর কোন কিছুই ভালো লাগেনা তাই ভোর রাত্রে সেহরি খাওয়া শেষ করে নামাজ আদায় করার পরে সবাই কিন্তু একটু শুয়ে বিশ্রাম নেয় বা ঘুমানোর চেষ্টা করে। আবার রাতের বেলায় তারাবির নামাজ শেষ করে সবাই একটু বিশ্রাম নেয়ার চেষ্টা করে। তবে এই রুটিনের মধ্যেও নিজের কাজগুলো কিন্তু ঠিকই কমপ্লিট করতে হয়। তাই আমি কমিউনিটির কাজগুলো করার জন্য রমজান মাসটা আলাদা একটা সময় বের করেছি। আসলে এই কাজের বিষয়টা শেয়ার করছি কারণ আমার এই আইডিয়াটা যদি কারো কাজে লাগে বা সে যদি কোন প্রেসার ছাড়াই কাজগুলো করতে পারে তাহলে আমার এই পোস্ট করা যেন বড় সার্থকতা।
সবার বাড়িতেই কিন্তু সেহরির নির্দিষ্ট সময় হাতে রেখে ঘুম থেকে উঠে রান্নাবান্না সহ খাবার দাবার গুলো রেডি করে। আমাদের বাসায় আম্মু সেহরির আগে উঠে রান্না বান্নার কাজ গুলো কমপ্লিট করে। প্রথম রোজার আগে আমি যেহেতু কাজগুলো কিছুটা অগ্রিম করে রেখেছিলাম তাই প্রথম রোজায় আর কাজ নিয়ে তেমন ভাবতে হয়নি কিন্তু দ্বিতীয় রমজান থেকেই আমি আম্মুর সাথে সাথেই রাত তিনটার সময় ঘুম থেকে উঠে কাজে বসে যাই। অন্যদিকে সুবিধা হয় আমি ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে রাখি সেই অনুযায়ী আম্মুকে ডেকে দিতে পারি আবার নিজেও নিজের কাজটা স্বল্প সময়ে কমপ্লিট করতে পারি। মনে করুন সারাদিন রোজা রেখে যদি কাজের প্রেসার থাকে তাহলে আপনার কাছেও সেটা ভালো লাগবে না। আর ভোররাত্রে যদি আপনি সেহরির আগেই কাজটা কমপ্লিট করে রাখেন তাহলে সারাদিন আপনি একদম ফ্রি থাকতে পারলেন। যদিও আমি রাত তিনটার সময় যখন পোস্ট পড়া শুরু করি তখন অনেকেই পোস্ট শেয়ার করে তবে সংখ্যাটা খুবই কম। আসলে যে যার সুবিধামতো কাজ করে যেহেতু এখানে কোন বাধ্যবাধকতা নেই এখানে সবাই তার স্বাধীনতা অনুযায়ী কাজ করতে পারবে। তবে আমি এই কথাটা শেয়ার করছি কারণ যদি আইডিয়াটা কারো ভালো লেগে সে তার কাজটা এই রুটিন অনুযায়ী করে তাহলে হয়তো তার কাছে অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।
দেখবেন আমাদের সমাজের অনেক শ্রেণীর মানুষ তাদের কাজের রুটিনে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে শুধুমাত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে তাই আমিও কমিউনিটিতে কাজ করার ক্ষেত্রে একটু পরিবর্তন নিয়ে এসেছি আর সেই কথাটাই আপনাদের কাছে বারবার বলছি। অনেকেই হয়তো চায় রমজান মাসটা পুরোপুরি ফ্রি থাকবো শুধু সৃষ্টিকর্তার এবাদতে মগ্ন থাকব তবে আপনি যদি রোজা থেকে মাথায় কাজের প্রেসার না নিয়ে এদিকে ভোর রাত্রে কাজগুলো কমপ্লিট করে সারাদিন কোন টেনশন ছাড়াই বিশ্রাম নিয়ে কাটিয়ে দেন তাহলে আমার মনে হয় সেটা আরো আপনার ক্ষেত্রে বেশি ভালো হবে। তাছাড়া অনেকের কাছেই কাজের উপর থাকলে সময়টা যেন দ্রুত পার হয়ে যায় তাই এই মাসটা ডিসকোডে আমি একটু বেশি সময় দিচ্ছি। ডিসকোডে সবার সাথে গল্প করতে করতেই যেন অনেক সময় পার হয়ে যায় সেক্ষেত্রে একটা বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায় বলা চলে।
আবার যদি আমি ইফতারের পরবর্তী সময়ের কথা বলি তাহলে সারাদিন রোজা রেখে ইফতার শেষে আপনি মাগরিবের নামাজ আদায় করার পরে তখন কিন্তু মন চাইবে একটু রেস্ট করি বা বাইরে একটু হাঁটাহাঁটি করি তাহলে মনের কাছেও বেশ ভালো লাগবে। কিছু সময় পার হওয়ার পরেই আবার এশার আযান হয়ে যাবে। এশার নামাজ আদায় করে তারাবির নামাজ পড়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে আপনার প্রায় রাত দশটা বাজবে তখন শরীরটা বেশ ক্লান্ত থাকে। ক্লান্ত শরীর নিয়ে আবার পোস্ট লিখতে বসা বা পোস্ট পড়ার ক্ষেত্রে একটু অসুবিধা হতেই পারে তাই ঠিক ঘড়ির কাটায় রাত দশটার সময় ঘুমিয়ে পড়ে আপনি যদি ভোর রাত্রে তিনটার আগে উঠে কাজ শুরু করেন দেখবেন অল্প সময়ে অনেক কাজ কমপ্লিট করতে পারবেন। যাইহোক হঠাৎ মনে হল এই আইডিয়াটা শেয়ার করা দরকার তাই কিছু কথা লিখলাম। নিজে যেহেতু এই আইডিয়া অনুযায়ী বা এই রুটিন অনুযায়ী কাজ করছি তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি যদি কারো উপকারে আসে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
https://x.com/KaziRai39057271/status/1768553034471403853?s=20
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অন্যান্য মাসে তুলনায় রমজান মাসের দিনগুলো একটু অন্যরকম ভাবেই অতিবাহিত হয়। রমজান মাসে রোজা রাখার জন্য সবাই কমবেশি কাজ গুছিয়ে রাখে। সবাই কমবেশি রমজান মাসে ফ্রি থাকতে চাই। রমজানের কাজে ধারা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন আজকে ভাইয়া। পোস্ট পড়ে সত্যি খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
রমজান মাসে আসলেই অনেকের দৈনন্দিন কাজের শিডিউল পরিবর্তন হয়ে যায়। একে তো সারাদিন রোজা রেখে শরীর কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পরে। আবার অনেকেই ইবাদতেই বেশি ফোকাস রাখেন। তাই আপনি সবদিক বিবেচনা করে আপনার সময় মতো কাজটাকে রি-শিডিউল করে নিয়েছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
হ্যাঁ আপু দিনশেষে নিজের কাজের মাধ্যমে তো টিকে থাকতে হবে।
কথাটা ঠিকই বলেছেন ভাই রমজান মাস কে কেন্দ্র করে সবাই তাদের রুটিন জীবনযাপন কাজ সবকিছুতে পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। সবাই যেন একটা নির্দিষ্ট মাপকাঠিতে চলে এসেছে। বছরের সবসময় আমি আমার অন্য কাজের বিপরীতে সময় বের করে কমিউনিটির কাজ করে থাকি। এখনও ব্যাপার টা ঐরকমই। তবে সত্যি বলতে ইফতার এবং সেহেরির পর মনে হয় না কিছু করি।
আসলে সত্যি কথা বলতে কি পেট ভরে খাওয়ার পরে কোন কিছুই আর ভালো লাগেনা।