গরমে মানুষের জীবন। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ৬ই বৈশাখ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | গ্রীষ্ম-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
বেশ কয়েকদিন ধরে সারাদেশে গরমের প্রভাব বেশ ভালো ভাবে বোঝা যাচ্ছে। বলতে গেলে প্রচন্ড গরমে মানুষের জনজীবন অতিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে আজকে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে রেকর্ড করছে পরবর্তী দিনে সেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে নতুন করে আবার রেকর্ড করছে। হয়তো আমরা যারা গ্রামে বাস করি তারা এই গরমে প্রভাবটা তুলনামূলক একটু কম বুঝতে পারছি তবে যারা শহরে বসবাস করে তারা এই গরমে প্রভাবটা বেশি বুঝতে পারছে। যখন লোডশেডিং হয় বা গরমের প্রভাব বাড়তে থাকে তখন গ্রামের মানুষগুলো বাগানের আশেপাশে গিয়ে কিছুটা স্বস্তি বোধ করতে পারে কিন্তু শহরের লোকজনের ক্ষেত্রে তেমন কোন সুযোগ থাকে না। তাই শহরের লোকজন গরমের প্রভাবে বেশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে।
তবে বেশ কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছি রোদের তাপ এত পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে যে ফাঁকা মাঠের বাতাস যখন গায়ে লাগে তখন মনে হয় যেন চুলার পাশে বসে আছি আর সেই চুলার গরম বাতাস গায়ে লাগছে। পুরোটা গা শুকিয়ে যায়। ঈদের পরবর্তী সময়ে আমাদের একটা বাইক ট্যুর দেয়ার কথা ছিল কিন্তু এই প্রচন্ড গরমের কারণে সেটা ক্যানসেল করা হয়েছে তাছাড়া বাইক চালাতে গেলে রাস্তার তাপটা শরীরে এসে লাগে আর যখন রোদ গায়ে লাগে মনে হয় গা যেন পুড়ে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম বেশি বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে তবে আমাদের কুষ্টিয়া অঞ্চলে এখন পর্যন্ত তেমন কোন বৃষ্টি বা ঝড় কোন কিছুই হয়নি যার কারণে হয়তো গরমের প্রভাবটা আমাদের এলাকায় তুলনামূলক একটু বেশি। মাঝে মাঝে আকাশে মেঘ জমে কিন্তু বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায় না।
সারাদেশে তাপমাত্রার রেকর্ড করে চুয়াডাঙ্গায় সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। আজকে খবরে জানতে পারলাম চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করে সতর্কতা জারি করা হচ্ছে যেন বিশেষ কোনো কাজ ছাড়া বাইরে বের না হয়। তাছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে একটু বাড়তি যত্ন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে কোন ক্ষেত্রে যেন বাচ্চাদের রোদের মাঝে বাইরে বের করা না হয়। তবে যেহেতু বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের কাজের জন্য বাইরে বের হতেই হবে তাই রোদের তাপ উপেক্ষা করেও দিনমজুর মানুষ গুলো শ্রম বিক্রি করতে বেরিয়ে পড়েছে। তাদের মতামত এমন দুবেলা দু মুঠো খেয়ে পড়ে বাঁচতে হলে রোদ-বৃষ্টি সবকিছু উপেক্ষা করেই কাজ করতে হবে। তাই যতই গরম আবহাওয়া হোক না কেন আমাদের কাজ করে খেতে হবে। যারা দিনমজুর মানুষ তারা সারাদিন এই গরমের মধ্যেও শ্রম বিক্রি করে নিজেদের ছেলে মেয়ে সন্তানদের দুবেলা মুখে ভাত তুলে দিচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি হয় না তারপরে প্রচন্ড রোদ যার কারণে কৃষকের ফসল অনেকটাই ঝুঁকির মুখে পড়েছে আবার সেচ প্রকল্প কাজে লাগিয়ে সেই ফসলে সেচ দিবে সে ক্ষেত্রেও ঝামেলার শেষ নেই। প্রতিনিয়ত লোডশেডিং হচ্ছে যার কারণে চাইলেও তারা ইচ্ছামত সেচ দিতে পারছে না। প্রচন্ড রোদের কারণে পানির স্তর অনেকটাই নিচে নেমে গিয়েছে তাই কৃষকেরা চেষ্টা করলেও জ্বালানি তেলের মাধ্যমে সেচ প্রকল্প কাজে লাগাতে পারছে না। অনেক ক্ষেত্রে স্বল্প পরিসরে পানি উঠলেও সেটা জমির জন্য যথেষ্ট না নিমিষেই পানি হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। কৃষকের জমি একদম খড়খড়ে হয়ে আছে যেন পানি পড়লেই সেটা চুষে নিবে যার কারণে তাদের ফসলগুলো দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ যেমন রোদের তাপে অতিষ্ঠ তেমনি কৃষক তার ফসলের ক্ষতি দেখে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের চলাচলে অব্যাহত হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে জীবন পরিচালনা করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সৃষ্টিকর্তার কাছে দুহাত তুলে অনেকেই দোয়া করছে যেন গরমের প্রভাবটা কিছুটা কমে যায়। মানুষ যেন স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসতে পারে তার জন্যই অপেক্ষায় আছে। কিছুটা বৃষ্টির আশায় আছে কেননা বৃষ্টি হলেই আবহাওয়াটা অনেকটা ঠান্ডা হতে পারে। যদি আমি নিজের কথাই বলি রাতে যখন লোডশেডিং হয় তখন আর রুমের মধ্যে থাকা যায় না প্রচন্ড রোদের কারণে রুম গরম হয়ে থাকে মাঝরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তবে সৃষ্টিকর্তার একটা রহমত আছে সেটা মাঝরাতের পর থেকে মোটামুটি আবহাওয়া ঠান্ডা হতে শুরু করে তখন কিছুটা সময় শান্তিতে ঘুমানো যায়। দুঃখের সংবাদ এই পুরো মাসটা এরকম গরমের প্রভাব থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে তারপরেও সৃষ্টিকর্তা যদি রহম করে একটু বৃষ্টির দেয় বা তাপমাত্রার কিছুটা কমে আসে সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ স্বস্তি ফিরে পাবে।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চুয়াডাঙ্গায় নাকি শীত অনেক বেশি হয় আবার গরমও অনেক বেশি হয়। তবে এই গরমে সব জায়গাতেই জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শহরে তো অবস্থা আরো বেশি খারাপ। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে নিজের অনুভূতি থেকে এই লেখাগুলো লিখেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
চুয়াডাঙ্গাতে সারা বছর সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে থাকে। এবারও এখানে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে দিনদিন যে অবস্থা হয়েছে আমাদের সকলের নিরাপদ স্থানে থাকা প্রয়োজন। কারণ এমন মুহূর্তে মানুষ অসুস্থ হয় বেশি।
আসলে বেশ কয়েকদিন অনেক গরম পড়ছে। এই গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। গ্রামের দিকে গাছপালা থাকায় তাও মানুষ একটু স্বস্তি পাচ্ছে কিন্তু শহরের যারা আছে বিদ্যুৎ না থাকলে তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। আরে গরমের কারণে বিভিন্ন রকম অসুস্থতার ভুগছে। সময় উপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজ দুপুরে দেখলাম চুয়াডাঙ্গায় একজন কৃষক অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোক করা মারা গেছে। পুরো বাংলাদেশের মধ্যে ওখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়া যশোরে অতিরিক্ত গরমে রাস্তায় দেওয়া বিটুমিন অর্থাৎ পিচ গলে গিয়েছে। ব্যাপার টা কতটা ভয়াবহ শুধুমাত্র চিন্তা করেন। চিন্তা করলেই তো আমার ভয় লাগছে। জানি না গরমের এই তীব্রতা আরও কতদিন চলবে। সৃষ্টিকর্তা যেন দ্রুতই রহমতের বৃষ্টি দেয়।