হঠাৎ করেই বাইকের টানে। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -১৮ই চৈত্র | ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | সোমবার | বসন্তকাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আমাদের অনেক বড় একটা গ্যাং আছে সেখানে আমরা ছোট ভাই বড় ভাই সহ ১৪ জন মেম্বার আছি। যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে আমরা সবাই একসাথে অংশগ্রহণ করি এবং সবার সুখে-দুখে একে অপরের পাশে থাকার চেষ্টা করি। আমাদের মধ্য একজন বড় ভাই হঠাৎ করেই বাইক কেনার কথা বলল। যদিও আমাদের গ্রুপে বেশ কয়েকটি বাইক আছে তবে সবাই তো চায় তার নিজস্ব স্বাধীনতায় ব্যক্তিগত একটা বাইক থাকুক। কেননা প্রতিটা ছেলের স্বপ্ন থাকে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে তার নিজের একটা বাইক থাকবে আর সেই বাইকে সে পুরো অঞ্চলটা ঘুরে দেখবে। হ্যাঁ এমনটা স্বপ্ন দেখে যারা একটু ভ্রমণ প্রিয় মানুষ বা সুখ বিলাসী মানুষ তারা। আর আমাদের গ্রুপে যারা আছে তারা বলতে গেলে সবাই ভ্রমণ প্রিয় বা সুখ বিলাসী মানুষ। কয়েকদিন ধরে ভাইয়া বলছিল সে বাইক কিনবে কিন্তু কোন বাইক কিনবে সেই ডিসিশনে ভুগছিল। মামার পরামর্শ অনুযায়ী সে তার বাজেট অনুযায়ী ইউটিউবে বাইকের রিভিউ দেখছিল।
ইউটিউবে সে বিভিন্ন বাইকের রিভিউ দেখতে দেখতে প্রায় এক সপ্তাহ সময় পার করে দিল। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে হঠাৎ করেই ফোন করে বলল সে নাকি বাইক কিনতে যাবে। তবে বাইক কেনার জন্য তার কাছে যে টাকা ছিল সেই টাকা ছাড়াও ২০ হাজার টাকা কম পড়েছিল। কিন্তু আমি যে তাকে টাকা দিব এমন অবস্থা ছিল না। যেহেতু ভাইয়া ডিসিশন নিয়েছে বাইক কিনবে তাই যেভাবেই হোক আজকে টাকা ম্যানেজ করে বাইক কিনে বাসায় ফিরব তারপরে একটা ব্যবস্থা হবে। একজন বড় ভাইয়ের কাছে টাকার কথা বললাম তিনি বললেন ১ তারিখে বেতন ঢুকবে তখন টাকা দিতে পারব এখন তো কাছে টাকা নেই। তখন আমি হুট করেই আমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে সোজা আমাদের নিজস্ব লোকেশনে চলে গেলাম সেখানে গিয়ে বললাম আমি বাসা থেকে বিশ হাজার টাকা নিয়েছি সামনের এক তারিখে সজিব ভাই টাকা দিলে সেটা বাসায় দিয়ে দিব তারপর আপনি সজীব ভাইয়ের টাকা ধীরে ধীরে দিবেন। তখন সবাই বলছিল তাহলে তো কাজ হয়েই গেল চলো এবার বাইক কেনার উদ্দেশ্যে রওনা হই। কথা বলতে দেরি কিন্তু কাজে কোন দেরি নেই আমরা সবাই যার যার বাইক নিয়ে রওনা হলাম। রাত আটটার সময় আমরা আমাদের এলাকা থেকে রওনা হলাম আর যে শোরুম থেকে আমরা গাড়ি নিব সেই শোরুমে ফোন করে জানিয়ে দিলাম আমরা একটি বাইক নিব আপনারা শোরুম খোলা রাখবেন। ও একটি কথা বলা হয়নি যে ভাইয়া বাইক কিনবে সে টিভিএস রাইডার বাইকটি পছন্দ করেছিল কারণ তার যে পরিমাণে বাজেট তার সাধ্যের মধ্যে টিভিএস রাইডার বাইকটি তার ভালো লেগেছিল। আমরা সবাই কুমারখালী গিয়ে পাম্প থেকে বাইকে তেল নিলাম কাকতালীয়ভাবে সবার বাইকেই তেল দেওয়া প্রয়োজন ছিল তাই পর্যায়ক্রমে সবাই বাইকে তেল নিয়ে নিলাম।
তেল দিয়ে আমরা সোজা যে শোরুম থেকে বাইক নেওয়ার কথা হয়েছিল সেই শোরুমের সামনে গিয়ে অবস্থান করলাম। আমরা যখন শোরুমের সামনে গিয়েছি তখন রাত বাজে ৯ টা শহরের দোকানপাট গুলো বন্ধ হতে শুরু করেছে। আমরা বেশ কয়েকটি বাইক দেখলাম, বাইক দেখলাম বলতে বাইকের কালার গুলো দেখছিলাম আসলে কোন কালার টা পছন্দ করব সেটাই ভাবছিলাম। তবে আমরা সবাই ব্লু কালারটা পছন্দ করেছিলাম। মনে মনে ভাইয়া নিজেও ব্লু কালার টাই পছন্দ করেছিল তাই সবশেষে ব্লু কালার টাই কনফার্ম করলাম। সবাই কমবেশি সহযোগিতা করে পুরোপুরি টাকাটা পেমেন্ট করলাম। এখানকার ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন আমরা যে শোরুমে গিয়েছিলাম সেখানে টিভিএস এর অনেকগুলো বাইক ছিল। সবশেষে ব্লু কালার টা কনফার্ম করে টাকা পেমেন্ট শেষ করে ভাইয়ের ভোটার আইডি কার্ড, ছবি সহ প্রয়োজনীয় সব কাগজ তাদের কাছে জমা দিলাম। তারা অবশ্য বাইকের সাথে আমাদের ছবি নিয়ে তাদের পেইজে পোস্ট করেছিল। সেখান থেকে বাইক সার্ভিস পয়েন্টে নিয়ে গিয়ে ছোটখাটো কিছু সরঞ্জাম লাগিয়ে দেয়ার কথা বলল। বাইক শোরুম থেকে নামানোর সময় আমি চাবি নিয়ে প্রথম চালিয়ে দেখলাম। যদিও টিভিএস রাইডার বাইকটি এর আগেও চালিয়েছি তবে নতুন বাইক চালানোর ক্ষেত্রে আগ্রহ তো থাকেই কি বলেন?? বাইক সার্ভিস পয়েন্টে নিয়ে গিয়ে ছোটখাটো কাজগুলো কমপ্লিট করে আমরা সেখান থেকে রওনা হলাম।
বাইকের কাজ শেষ করে যখন আমরা সেখান থেকে রওনা হলাম তখন রাত ঘড়ির কাঁটায় ১১ টা। তারপরে আসল মজা শুরু হল বাইক নিয়ে আমরা সোজা কুষ্টিয়ার নাম করা একটি হোটেলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। বাইক কিনেছি আর ট্রিট নিব না এটা তো হয় না সবাই বলছিলাম প্রয়োজনে আরো টাকা ধার দিব তারপরও আজকে রাতেই ট্রিট দিতে হবে। এক পর্যায়ে হোটেলের ভেতরে সবাই বসে ভরপুর খাবার অর্ডার করলাম আর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাসায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তখন রাত বারোটা বাজে। সবাই আবার বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে বাইক নিয়ে রওনা হলাম তবে একটা মজার বিষয় হচ্ছে বাইক নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সবাই ভাগাভাগির করে বাইক চালিয়ে ছিলাম কারণ নতুন বাইক চালানোর প্রতি সবারই কিন্তু একটা আগ্রহ থাকে। বাইক নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় কয়েকটি ছবি তুলেছিলাম তার মধ্যে দুইটা ছবি উপরে শেয়ার করেছিলাম। সবশেষে বাড়িতে এসে ঘড়ির কাটায় দেখলাম রাত প্রায় একটা বাজে তখন আবার মেসেঞ্জার গ্রুপে আড্ডা শুরু হল যাইহোক সেই বিষয়টা আর নাই বলি। এই ছিল আমাদের সেই বাইক কেনার গল্প।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | মার্চ,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
https://x.com/KaziRai39057271/status/1774829395469013156?s=20
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাইক কেনা স্বপ্ন সব ছেলেরি থাকে। সবাই চাই নিজের নিজস্ব একটা বাইক থাকবে এবং সে ঘুরে বেড়াবে ।আপনার ভাইয়া বাইক কিনতে চান কিন্তু ২০ হাজার টাকা কম পড়ার কারণে একটু দেরিতে বাড়ি কিনলো। ধন্যবাদ ভাইয়া বাইক কেনার কিছু ঘটনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটা ছেলের স্বপ্ন থাকে তার নিজের একটা ব্যক্তিগত বাইক থাকবে।
এটা ঠিক বলেছেন প্রাপ্তবয়স্ক হলে প্রায় সব ছেলেরাই বাইক কেনার স্বপ্ন দেখে। আমারও সেই ইচ্ছা আছে ইনশা-আল্লাহ একদিন সেই ইচ্ছাটা পূরণ করতে পারবো। তো যাই হোক হঠাৎ করে আপনারা সবাই সেই ভাইটার জন্য বাইক কিনতে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। আর ওনার কিছু টাকা শর্ট পরেছিল এতে আপনারা হেল্প করেছিলেন সেটাও জানতে পারলাম আপনার পোস্টের মাধ্যমে। যাইহোক সব মিলিয়ে দেখে মনে হচ্ছে আপনারা বাইক কিনতে গিয়ে বেশ ভালই মজা করেছিলেন। আবার শেষে দেখছি ওনার কাছ থেকে ট্রিটও নিয়েছিলাম। যাহোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আরে ভাই বলুন বাইক কিনেছে আর তার কাছে থেকে ট্রিট না নিয়ে পারা যায় নাকি।
বাইকের প্রতি আলাদা একটি ভালোবাসা কাজ করে। তাইতো বাইক কিনতে গেলেই সাথে যেতেও অনেক ভালো লাগে। বেশ ভালো সময় পার করেছি হঠাৎ করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বাইক ক্রয় করার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আসলে আমাদের দ্বারা সবই সম্ভব হুটহাট প্লানিং করে বাইক নিয়ে চলে আসলাম হা হা হা।
বড় ভাই বাইক কিনেছে আর যদি গ্যাং এর সবাই উপস্থিত না হয় তাহলে কি হয়। তবে এই দিন খুবই মজা করেছি সবাই মিলে। হুটহাট বুদ্ধি করে বাইক কিনতে যাওয়া আসলেই দারুন একটি ব্যাপার। যদিও বাইকটি অনেকদিন আগে কেনা তুমি আজ সেই পোস্ট করেছ পুরাতন কথাগুলো মনে পড়ে গেল। তবে বাইক কেনার মুহূর্ত টা দারুন ছিল।
পুরনো দিনগুলো আবার নতুন করে ঝালাই করার জন্য পোস্ট শেয়ার করেছি।
বাইক লাভার রয়েছে তারা বাইক আসল মর্ম টা বুঝে। আমি নিজেও বাইক লাভার তাই বাইক অনেক ভালোবাসি। হঠাৎ করে বাইক কেনার অনুভূতিটা আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ সেদিন বড় ভাই বাইক কিনেছিল সেই অনুভূতিটাই শেয়ার করেছি।