ছোট ছোট ইচ্ছে পূরণ। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ৫ই জ্যৈষ্ঠ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রবিবার | গ্রীষ্মকাল|
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আসলে সারাদিন এত পরিমানে ব্যস্ত ছিলাম যে কমিউনিটিতে সময় দেব সেরকম সুযোগ পাইনি, একটানা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আজকে পরিশ্রম করতে হয়েছে। যদিও বেশিরভাগ সময় ঘোরাফেরা করেই কেটে যায় তবে মাঝে মাঝে দু একদিন এরকম হঠাৎ পরিশ্রম হয়ে যায় যেদিন ব্যস্ততার কারণে আর কমিউনিটিতে ঠিক ঠাক সময় দেওয়া হয় না। সবকিছু শেষ করে সন্ধ্যাবেলায় গোসল খাওয়া-দাওয়া করে কিছু সময় রেস্ট করলাম তবে লোডশেডিং হওয়ার কারণে আবার পোস্ট লেখা শুরু করতে পারিনি। অপেক্ষায় ছিলাম কখন বিদ্যুৎ আসবে আর আমি কমিউনিটিতে পোস্ট করার জন্য একটি পোস্ট লিখব সেই সাথে আজকে যেহেতু রবিবার তাই রবিবারের আড্ডা ঘরেও যুক্ত হব। চিন্তা করতে করতেই হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসলো আর আমিও ভাবতে লাগলাম আসলে কি পোস্ট করা যায়?? গ্যালারির ছবিগুলো খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ একটা বিষয় সামনে আসলো। আগে একটু বলি স্টিমের টাকায় কিন্তু আমরা অনেকেই নিজের ছোট ছোট বা ছোট বড় সব ধরনের ইচ্ছা পূরণ করেছি। কিছুদিন আগে অবশ্য স্টিমের টাকায় ড্রাইভিং লাইসেন্স করেছি তার একটা স্মৃতি ব্লগ চেইনে শেয়ার করেছি। আসলে এই স্মৃতিগুলো স্থায়ী করে রাখার জন্য কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত শেয়ার করি। যাইহোক স্টিমের টাকায় রুমে ছোট্ট একটা পড়ার টেবিল তৈরি করেছি সেটা নিয়েই আজকে পোস্ট শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হলাম।
আমি আমার ছোট ছোট অনেক ইচ্ছাই এই স্টিমেট প্ল্যাটফর্মে এসে পূরণ করতে পেরেছি তার পুরোপুরি ক্রেডিট আমাদের সবার প্রিয় @rme দাদার। এখন স্টিম মার্কেট একটু ডাউনের দিকে আছে তাই হয়তো ছোট ছোট সব ইচ্ছে গুলো পূরণ করতে পারছি। তবে যখন স্টিম মার্কেট বেশ ভালো অবস্থানে যাবে অর্থাৎ দাদা বলেছে ২০২৫ সালে স্টিম এক ডলারের কাছাকাছি হবে সেই সময়ে আমরা চাইলে আমাদের জীবনের বড় বড় ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে পারব। যে কোন ক্ষেত্রেই জীবনের ইচ্ছা পূরণ করতে গেলে সর্বপ্রথম টাকার দরকার পড়ে। স্টিম থেকে কিছু টাকা তুলে পারটেক্সের একটি টেবিল তৈরি করার পরিকল্পনা করলাম। সাধারণত বাড়িতে কাঠের ফার্নিচার গুলাই বেশি কারণ কাঠের ফার্নিচার গুলো দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়। তবে জানতে পারলাম পারটেক্সের মধ্যে অনেকগুলো শ্রেণীভাগ আছে। পারটেক্স এর যে হার্ডবোর্ড সেটা বিভিন্ন কোয়ালিটির হয় সাধারণত আমরা যেগুলো দেখতে পাই সেটা একদম নরমাল কোয়ালিটির আর যেগুলো একটু দামি কোয়ালিটির সেগুলো কাঠের মতোই স্থায়ী হয়। তাই মনে করলাম একটু দামি হার্ডবোর্ড দিয়ে একটা টেবিল তৈরি করে দেখি আসলে কি রকম মজবুত হয়।
প্রথমে আমাদের বাজারে গিয়ে যিনি পারটেক্সের হার্ডবোর্ড সহ পারটেক্সের সব ধরনের কাজ করেন তার সাথে কথা বললাম তিনিও আমাকে একই কথা বললেন। আমি যদি পারটেক্সের ভালো কোয়ালিটির হার্ডবোর্ড দিয়ে টেবিল তৈরি করি তাহলে সেটা কাঠের চেয়ে স্থায়ী হবে। যেহেতু ছোট বাজেটের মধ্যে টেবিল তৈরি করব তাই দোকানদারকে বললাম সবচেয়ে ভালো কোয়ালিটির যে হার্ডবোর্ড আছে সেটা দিয়ে একটি টেবিল তৈরি করতে কি রকম খরচ করবে তার একটা হিসাব আমাকে দিবেন। মোটামুটি তিনি আমাকে হার্ডবোর্ড দেখালেন এবং সেই অনুযায়ী কিরকম খরচ আসবে সেটা বিস্তারিত বললেন। মোটামুটি যে খরচ আসবে সেই খরচে একটি কাঠের টেবিল হয়ে যাওয়ার কথা কিন্তু আমি যে হার্ডবোর্ড দেখলাম সেটা কাঠের মতোই মজবুত। তাই চিন্তা করে দেখলাম, তার সাথে যেহেতু কথা বলেছি তাই একটা পারটেক্সের টেবিল তৈরি করে দেখি আসলে কতদিন সেটা স্থায়ী হয়।
যে হার্ডবোর্ড দিয়ে টেবিল তৈরি করার কথা ছিল সেই হার্ড বোর্ড কেটে টেবিলের কাজ শুরু করা হলো মোটামুটি আমি শুধু দাঁড়িয়ে থেকে তাদের কাজ দেখছিলাম। টেবিল তৈরি করতে প্রায় সারাদিন লেগে গেল। যখন পুরোপুরি টেবিলটি প্রস্তুত হয়ে গেল তখন মনের কাছে খুব ভালো লাগছিল কেননা ছোট ছোট ইচ্ছাগুলো এই স্টিমের মাধ্যমে পূরণ হচ্ছে সেটা যেন আলাদা একটা মজা। চিন্তা করছিলাম স্টিম মার্কেট যদি আরো ভালো হয়, ধৈর্যধারণ করে যদি নিয়মিত কাজ করতে পারি তাহলে হয়তো একদিন বড় ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে পারবে। সুন্দর একটি কমিউনিটিতে সুন্দর একটি পরিবারে কাজের পাশাপাশি মোটামুটি ভালো প্রফিট পেয়ে তার মাধ্যমে ইচ্ছাগুলো পূরণ করা বেশ মজার বিষয়। আমি তখনো বসে বসে চিন্তা করছিলাম আসলে এর পুরো ক্রেডিট আমাদের প্রিয় দাদার কারণ তার জন্যই আমরা আজকে এতদূর এগোতে পেরেছি। তার প্রতি আমরা সব সময় কৃতজ্ঞ থাকব।
টেবিল তৈরি করে একটি গাড়িতে সোজা বাড়িতে নিয়ে এলাম। মেইন দরজার সামনে এসে কলিং বেল চাপতেই আম্মু দরজা খুলে দিল। টেবিল রুমে এনে রেখেই আম্মুকে আমি হাসতে হাসতে বলছিলাম আম্মু এটা আমার স্টিমের টাকায় কেনা। আমার কথা শুনে আম্মু হাসছিল আসলে আমি আবেগ ধরে রাখতে পারছিলাম না। মূলত স্টিমের টাকায় যদি আমি ছোটখাটো কিছু করি সেটা আমি গর্বের সাথে সবার কাছে বলার চেষ্টা করি কারণ আমি এমন একটি কমিউনিটি বা এমন একটি পরিবারে কাজ করি যেটা সবার সাথে শেয়ার করা মানে গর্ব বোধ করা। যাই হোক ল্যাপটপ নিয়ে বিছানায় শুয়ে শুয়ে কাজ করতে হুট করেই ঘুমিয়ে যাই আর বাসায় যে টেবিল আছে সেটা অনেকটাই পুরাতন হয়ে গিয়েছে তাই নতুন একটা টেবিলের প্রয়োজন ছিল যেন চেয়ার টেবিলে অনেকটা স্বাচ্ছন্দে বসে কাজ করতে পারি। আজকে সেই ইচ্ছে পূরণ হওয়ার গল্পটা শেয়ার করলাম। উপরের যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন সেটা সবেমাত্র তোলা।
আসলে কমিউনিটি থেকে প্রাপ্তি ছোট ছোট বিষয়গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ভালো লাগে। আরো বেশকিছু ইচ্ছে পূরণ করেছি তার মধ্যে মাত্র দুইটা বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আর স্টিমের টাকায় বেশ কয়েকটি ইচ্ছা পূরণ সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম সেগুলো নিয়ে অবশ্য মাঝে মাঝে আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করা হয়। মাঝে মাঝেই কেনাকাটা সহ বিভিন্ন টপিক নিয়ে আপনাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করি। আসলে কেনাকাটা করার মূল অর্থগুলো আমার এই প্ল্যাটফর্ম থেকেই আসে আর এজন্য আমি গর্বের সাথে সেটা প্রতিনিয়ত কমিউনিটিতে শেয়ার করি। সবশেষে আপনাদের কাছে দোয়াপ্রার্থী যেন এভাবেই এই প্ল্যাটফর্মে আপনাদের সাথে জীবনের পুরোটা অংশ থাকতে পারি।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | মে,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
![Banner.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV44ipDFZ9PNUMtyufYoaoMvPW4QZqAZUvWi9TkCh9NWx/Banner.png)
![standard_Discord_Zip.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmTvJLqN77QCV9hFuEriEWmR4ZPVrcQmYeXC9CjixQi6Xq/standard_Discord_Zip.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
ভাইয়া এই এই স্টিমিটের টাকায় আপনার ছোট ছোট ইচ্ছে গুলো পূরণ করছেন দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগছে। আসলে আমরা সবাই আমাদের ছোট ছোট ইচ্ছে গুলো এখন পূরণ করতে পারছি। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আমাদের বড় ইচ্ছে গুলোও পূরণ হবে। আমিও আপনার মত আশা রাখছি। আর সবই সম্ভব হচ্ছে আমাদের প্রিয় দাদার জন্য। দাদার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা থাকবে আমাদের সবার পক্ষ থেকে সব সময়। আর আপনার পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল। সব সময় ভালো থাকবেন।
https://x.com/KaziRai39057271/status/1792225755621191808
এখন বিয়ের সময় তো তাই ঘরটা একটু সাজাতে হবে। আসলে এমন ছোট ছোট ইচ্ছে পূরণ করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। সেই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেয়ার পর এমন অনেক ইচ্ছে পূরণ করতে পারি আমরা। আরো অনেক কিছু কিনতে হবে তোমাকে কারণ সামনে তোমার বিয়ে
এটা অনেক আগে তৈরি করা 🙄🙄
আর এসব তৈরির সাথে বিয়ের কি সম্পর্ক?? তুমিতো বন্ধু দুষ্টু হয়ে গিয়েছো।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া স্টিমের টাকায় আমরা অনেকেই অনেক ইচ্ছে পূর্ণ করতে পারছি। যদিও ইচ্ছে গুলো ছোট ছোট। আসলে ক্ষুদ্র থেকে বৃহত্তরের সৃষ্টি। সত্যি একমাত্র দাদার জন্য সব সম্ভব হচ্ছে। যাইহোক যখন যেমন তেমনি আমাদের চলতে হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট পড়ে। আমরা সকলে চাই আমাদের নিজের ইনকামের টাকা দিয়ে ইচ্ছা পূরণ করে। তবে দেখা যাক ২০২৫ সালে সত্যি কি স্টিমের দাম বৃদ্ধি পায় কিনা। অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই কেনাকাটার আর অনুভূতি পড়ে।
ঘন ঘন লোডশেডিং হলে আসলে কাজ করতে অনেক ঝামেলা হয় । তারপরও আপনার কারেন্ট চলে এসে আপনার অপেক্ষার পালা শেষ হলো । ফোন ঘাটলে কিন্তু অনেক কিছুই সামনের উপর ভেসে ওঠে তখন অনায়াসে পোস্ট দেওয়া যায় । আপনি ভালো একটা টপিক পেয়েছেন এবং সেটা নিয়ে ভালোই লিখেছেন । ঠিকই বলেছেন এখন ছোট ছোট ইচ্ছাগুলো পূরণ হচ্ছে আগামীতে দাম বাড়লে হয়তো বড় বড় ইচ্ছা সকলেই পূরণ করতে পারবে । সেদিনের অপেক্ষায় আমরা রয়েছি ।সবাই ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে মাঝে মাঝে কয়েকটা দিন এরকম ব্যস্ততা চলে আসে। যাই হোক সব ব্যস্ততা শেষ করে আমাদের মাঝে যুক্ত হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আজকে আপনি আপনার স্টিম এর থেকে উপার্জিত অর্থ দিয়ে একটি টেবিল তৈরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে নিজের টাকা দিয়ে কোনো কিছু তৈরি করা বেশ আনন্দের। তবে স্টিমের টাকা দিয়ে কিছু করতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগে। আর এটার জন্য অবশ্যই দাদা ধন্যবাদ প্রাপ্ত। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
স্টিমিটের টাকায় ছোট ছোট ইচ্ছে পূরণ করতে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনার মতো আমার ও ইচ্ছে স্টিমের দাম বৃদ্ধি পেলে বড় বড় ইচ্ছে গুলো পূরণ করার।এজন্য এই কমিউনিটিতে দাদার অবদানের কথা আমরা সব সময় স্মরণ করি।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে ভাইয়া।
সত্যি বলতে দাদার কাছে আমরা সকলেই চির কৃতজ্ঞ। কারন দাদার চমৎকার উদ্যোগ এর ফলে আমরা সকলেই কাজ করে। সেখানে থেকে আমাদের বিভিন্ন ধরণের চাহিদা গুলো পুরন করার চেষ্টা করতেছি। টেবিলটি অনেক সুন্দর লাগতেছে। আপনার অনূভুতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। শুভ কামনা সব সময়ই ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।