অবশেষে ভোট দিয়েছি। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ -২৭শে বৈশাখ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | গ্রীষ্ম-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
এর আগে ভোটের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে আপনাদের সাথে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম আর আজকে ভোট দেওয়া কে কেন্দ্র করে এই পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচনের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে আর প্রথম ধাপেই আমাদের এলাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল আর সঠিকভাবে ভোট দিতে পেরেছি। নির্বাচন শুরু হওয়ার প্রথমদিকে যে পরিমাণে গরম ছিল তাতে ইচ্ছে ছিল এই গরমের মধ্যে আর ভোট দিতে যাব না তবে হঠাৎ সৃষ্টিকর্তা রহমতের বৃষ্টি হওয়ার কারণে পরিবেশটা অনেকটাই ঠান্ডা হয়ে গিয়েছিল তাই ভেবেছিলাম যেহেতু আবহাওয়া টা তুলনামূলক ঠান্ডা হয়েছে সেক্ষেত্রে ভোট দিতে যাওয়া যায়। তাছাড়া ভোট দিতে গেলে আবার সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনাদের সাথে একটি পোস্ট শেয়ার ও করা যাবে। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই আবহাওয়াটা দেখলাম অনেকটা মেঘলা বুঝতে পারছিলাম হয়তো আজকের দিনটাও আবহাওয়া অনেকটাই ঠান্ডা থাকবে অর্থাৎ তাপমাত্রা অনেকটা কম থাকবে। গরমের প্রভাব কম থাকার কারণে দুপুর বেলায় ভোট দিতে যাওয়ার প্ল্যানিং করেছিলাম তবে ঘুমিয়ে যাওয়ার কারণে সেটা লেট হয়ে গিয়েছিল। বিকেল তিনটের সময় আমরা সবাই রেডি হয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
ছোট চাচা বাড়িতে ফোন দিয়েছিল তখন ভাইয়া নাকি বলেছিল আমাদের যখন সময় হবে তখন আমরা ফোন দিব সেই মুহূর্তে গাড়ি পাঠিয়ে দিবেন তাই আমি আবার ছোট চাচাকে ফোন করে বললাম এখন গাড়ি পাঠিয়ে দেন আমরা সবাই রেডি হয়ে অপেক্ষা করছি। আমরা সবাই রেডি হয়ে ভোট কেন্দ্রে যাব সেই সময় আমাদের বাসার ছোট্ট পিচ্চি কান্না শুরু করল তখন তাকে নিয়ে যেতে হবে। প্রতিবার ভোট দেয়ার চেয়ে এবারের মজাটাই বেশি হবে কেননা প্রতিনিয়ত পরিবারের সবাই একই গাড়িতে একসাথে হয়ে তো কোথাও যাওয়া হয় না। ভাই ভাবি আম্মু সহ পরিবারের সবাই একসাথে ভোটকে দূরে যাব যেহেতু আমাদের পরিবারের ছয়টি ভোট আছে তাই সবাই একসাথে ভোট দিতে যাওয়ার মজাটাও উপভোগ করা যাবে। তবে আব্বু সকালবেলা গিয়ে ভোট দিয়েছে। যাইহোক কিছু সময় পরেই গাড়ি চলে আসলো আর গাড়িতে আমরা সবাই ভোটকেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই আমরা ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম কেন্দ্রের চারিপাশটা বিভিন্ন প্রতীকের পোস্টার দিয়ে সাজানো হয়েছে যদিও রাতের বেলায় ঝড় বৃষ্টির কারণে পোস্টারগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে তবে হয়তো এগুলো সকালবেলায় লাগানো হয়েছে। মোটামুটি ভোটকেন্দ্রে লোকজনের আনাগোনা ভালোই ছিল তারপর শেষ বিকেলে আরো কিছুটা চাপ বেড়েছে বলে জানতে পারলাম।
আমরা সবাই সেখানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের ভোটার সিরিয়াল নাম্বার একটি স্লিপে লিখে দিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। স্লিপের ওপরে সিরিয়াল নাম্বার নিয়ে সোজা নির্দিষ্ট কক্ষে যাওয়ার কথা বলল। আমি প্রথমে আম্মুর সিরিয়াল নাম্বারটা নিয়ে যে কক্ষে যাওয়ার কথা ছিল সে কক্ষে পৌঁছে দিলাম। স্কুল মাঠে আলাদা আলাদা লাইন তৈরি করে রাখা হয়েছিল আর সেখানে কত নম্বর সিরিয়াল থেকে ভোট দেওয়া শুরু হয়েছে সেটা উল্লেখ করে রাখা হয়েছিল আর স্লিপার নম্বর অনুসারে খুঁজে নিতেও সুবিধা হয়েছিল। দেখলাম তুলনামূলক মহিলাদের সিরিয়াল টা একটু বেশি আম্মুর সামনে চার পাঁচ জন মহিলা ছিল তারপরে আম্মু গিয়ে দাঁড়ালো। আমি নিজের সিরিয়াল বের করে সোজা ভেতরে গিয়ে দেখলাম আমার সামনে আরো দুজন লোক আছে। তারা দুজন ভোট দেওয়া শেষ করল তারপর আমি স্লিপ জমা দিয়ে ব্যালেট পেপার সহ সিল গুলো নিয়ে ভেতরে গেলাম এবং নিজের ইচ্ছে মতো প্রতিক সিলেক্ট করে সিল দিলাম। বেলোট পেপার ভাঁজ করে বক্সে দিয়ে ভোট দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করলাম। সেখানে যারা এজেন্ট ছিল তারা সবাই পরিচিত তাই সবাইকে নিয়ে ছবিও তুলেছিলাম। আপাতত ভোট দেওয়া শেষ তখন বাইরে এসে আম্মুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম যদিও সেখানে দাঁড়ানো নিষেধ তবে পুলিশ সদস্য যখন জানতে পারল আমি আম্মুর জন্য অপেক্ষা করেছি তখন আর কিছু বলল না।
ভোট দেওয়ার কারনে আঙ্গুলের উপরে একটি দাগ দিয়ে দেওয়া হয় যেন একই ভোটার দ্বিতীয়বার ভোট দিতে না পারে। স্কুল মাঠে দাঁড়িয়ে আমি আমার আঙ্গুলের ছবি তুলছিলাম আর এই স্কুল মাঠের স্মৃতিটা নতুন করে মনে করছিলাম কেননা এই প্রাইমারি স্কুলেই আমি লেখাপড়া করেছি। ছোটবেলায় এই স্কুল মাঠে কত খেলাধুলা করেছি সেগুলো আবার নতুন করে মনে করছিলাম। কিছু সময় পর আম্মুর ভোট দেওয়া শেষে ভাবি আবার ভোট দিতে গেল সে সময় আমাদের ছোট্ট পিচ্চিটা আবার আমার কাছে আসলো। ছোট্ট পিচ্চি অর্থাৎ আমার ভাতিজা সে এবার প্রথম ভোটকেন্দ্রে এসেছে তাই তাকে নিয়ে স্মৃতিটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। একই সেলফিতে চাচা ভাতিজা ❤️ কিছুক্ষণের মধ্যেই সবার ভোট দেওয়া শেষ হলো, আপাতত ভোট দেওয়া শেষে সেখানে আর কোন কাজ নেই তাই এবারে বাড়ি ফিরে আসার পালা। আমরা সবাই একসাথে আবার গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম কেননা সেদিনে চাচা আলাদা একটা গাড়ি রিজার্ভ করে রেখেছিল। গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতেই হঠাৎ আমার এক ফুফাতো ভাইয়ের সাথে দেখা তিনি আবার কিছু চিপস এবং কোমল পানীয় কিনে আমাদেরকে দিলেন। তার পর বেশীক্ষণ আর অপেক্ষা করতে হলো না, গাড়ি চলে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। শেষ বেলায় সবাই ভোটকেন্দ্রে গিয়েছে নির্বাচনের ফলাফল গণনা সহ নির্বাচনী দৃশ্যপট গুলি উপভোগ করার জন্য। রাস্তা একদম পুরোপুরি ফাঁকা তবে আসার পথে মজার একটি বিষয় লক্ষ্য করলাম, একটি ঘোড়া গাড়ি নিয়ে আসছে সেই সঙ্গে তার বাচ্চাও দৌড়াচ্ছে। সাধারণত এমন সৌন্দর্য তো সব সময় দেখা যায় না তাই ফোন ক্যামেরায় ক্যাপচার করেছিলাম।
⬇️📥 | ⬇️📥 |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy A52 |
ফটোগ্রাফার | @kazi-raihan |
লোকেশন | |
সময় | মে,২০২৪ |
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/KaziRai39057271/status/1788788919582286103
হ্যাঁ ভাই বেশ কিছুদিন ধরে ভোটের কথাবার্তা চলছে আমাদের এলাকার মধ্যে। ইতোমধ্যে মেহেরপুরেও ভোটের কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে। তবে আমাদের এখানে ভোট হতে এখনো ১৫ দিন দেরি হয়েছে। তার পূর্বে আপনাদের ওখানে হয়ে গেছে জেনে ভালো লাগলো। আমি বর্তমান সময়ে ভোটের যে পরিস্থিতি। ভোট দিতে ভালো লাগে যদি প্রতিযোগিতা সুন্দর হয় এবং সবাই ভোট দিতে পারে। জানিনা কেমন সুস্থ পরিবেশ ছিল সব জায়গায়। তবে আপনার অনুভূতি যেন বেশ অনেক কিছুই জানতে পারলাম ও ভালো লাগলো।
সব শেষ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রতিযোগিতামূলক ভোট হয়েছিল সেখানে ভোট দেওয়ার একটা আলাদা আগ্রহ ছিল।
পরিবারের সবাই মিলে একসাথে ভোট দিতে গিয়ে বেশ ভালই আনন্দ উপভোগ করেছেন দেখছি । চাচা আর ভাতিজাকে একই ফ্রেমে ভালই লাগছে দেখতে। আপনি এই স্কুলে পড়তেন ছোটবেলায়, তাহলে তো ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ার ই কথা। যাইহোক সবমিলিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা ছিল আপনার।
গুছিয়ে সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি ভাই।
বাহ আপনার ভোট দেওয়ার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। রাস্তাঘাটে ,মাঠে,ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ভালোই দেখলাম। লোকে লোকারন্য, এত মানুষের ভিড় আগে কোন নির্বাচনে দেখি নাই। ভোটারের ধীর্ঘ সাড়ি দেখেই বুঝতে পারছি,সবাই আনন্দের সাথে ভোট দিয়েছে। এখন ভোট দিলে বাসা থেকে গাড়ি দিয়ে নিয়ে যায়,কোমল পানীয় পান করাই,এই জন্যই এত ভোটারের উপস্থিতি দেখতে পেলাম। ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।