টাকা অপচয় না করে মানুষের সেবা করুন। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ১৩ই ভাদ্র | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বুধবার | শরৎ-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
আমাদের সমাজে যে সকল মানুষ বসবাস করে তাদের মধ্যে একশ্রেণীর মানুষ খুব বিলাসবহুল জীবন যাপন করে। আরেক শ্রেণীর মানুষ যারা নিজেদের জীবনটাকে স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করে অর্থাৎ যেখানে যতটুকু দরকার ততটুকু সামর্থ্য পূরণ করার চেষ্টা করে। আরেক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা অনেকটা অভাবে অর্থাৎ তারা সমাজের সর্বনিম্ন আয়ের মানুষ। আপাতত দৃষ্টিতে আমাদের সমাজে এই তিন ধরনের মানুষ মিলেই বসবাস করে। আমরা যদি চাই তাহলে আমাদের সমাজের তিন ধরনের এই বৈষম্য দূর করতে পারি। বিশেষ করে যারা সমাজের বিলাসবহুল জীবনযাপন করে তারা এই বৈষম্যটা দূর করার জন্য বড় অবদান রাখতে পারে।
আমরা যদি বাস্তবতা দেখি তাহলে আশপাশের অনেক ঘটনায় আমাদেরকে শিক্ষা দিবে। সমাজের একশ্রেণীর মানুষ দিন এনে দিন খায় নিজের স্থায়ী কোন ঠিকানা নেই ঘর বাড়ি নেই অসুস্থ হলে ভালো চিকিৎসা নেওয়ার মতো সক্ষমতা নেই সেই সমস্ত মানুষগুলো বিপদগ্রস্ত হলে অন্যের কাছে সাহায্য চায় কিন্তু খুব কম ক্ষেত্রেই সেই মানুষগুলো সাহায্য পায়। শুধু তাই নয় তারা যদি অসুস্থ হয়ে একদিন রোজগার বন্ধ থাকে দেখা যাচ্ছে পরের দিন তাদেরকে না খেয়ে থাকতে হয় এমন পরিস্থিতিরও মোকাবেলা করতে হয় তাদের। যারা এই সমস্ত মানুষের কাছ থেকে তাদের মনের কষ্টটা দেখেছে তারাই তাদের এই মনের কষ্ট সম্পর্কে অবগত হয়েছে আর সেই সমস্ত মানুষগুলোই হয়তো প্রতিনিয়ত এমন হতদরিদ্র মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ায়। আপাতত দৃষ্টিতে কিছু মানুষকে এমন হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখেছি তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধনী পরিবারের লোক গুলো তাদেরকে অবহেলার চোখে দেখে।
অন্যদিকে আমরা যদি ধনী পরিবারের লোক গুলোর কথা বলতে যাই সে ক্ষেত্রে তারা নিজেদের ছোট ছোট সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য বড় বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সামান্য একটু অসুস্থ হলেই বিদেশে ডাক্তার দেখাতে কোটি টাকা খরচ করতে দ্বিধাবোধ করে না। বিলাসবহুল বাড়ি থাকতেও আবার নতুন করে ডাকবাংলো তৈরি করতে তাদের মনের ইচ্ছামাত্র। যেখানে একটা গাড়ি নিয়ে চলাফেলা করা যথেষ্ট সেখানে তারা বিলাসবহুল অনেকগুলো গাড়ি ব্যবহার করে নিজেদের বিলাসিতা পূরণ করে যদি তারা চায় সমাজে বৈষম্য দূর করব ধনী গরিবের মধ্যে পার্থক্য রাখবো না সে ক্ষেত্রে তারা বড় পদক্ষেপ নিতে পারে। হতদরিদ্র মানুষ গুলোর প্রতিযোগিতারা একটু সহানুভূতিশীল হয় তাদেরকে একটু সাহায্য করেন হয়তো সমাজের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে।
সাম্প্রতিক বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির কিছু বিষয় দেখার পরে এই কথাগুলো বলার জন্য এলাম। অনেকেই বিভিন্ন সাহায্য সামগ্রী ত্রাণ নিয়ে ফেনী কুমিল্লা সহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়েছে তবে তাদের মধ্যে যারা ইয়াং জেনারেশন আছে তারা বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। কোন উচ্চ পরিবারের সন্তান যদি মনে করে আমার বাবার অর্থ থেকে আমি কিছু অর্থ নিয়ে গিয়ে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াবো বা নিজের ফান্ড থেকে যদি সে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে বিপদগ্রস্ত মানুষগুলো বড় একটি সাপোর্ট পাবে। আমি যতদূর খোঁজ নিয়েছি সেখানে শুধু ছাত্ররা আর মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা সাহায্যের জন্য গিয়েছে। ধনী পরিবারের সন্তানের যদি সে রকম মন মানসিকতা তৈরি হতো যে টাকা অপচয় না করে একটু হিসেব করে খরচ করব আর কিছু টাকা জমিয়ে দরিদ্র বা বিপদগ্রস্ত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াবো তাহলে হয়তো সমাজের আরো উন্নতি হতো।
মানুষের মনে যদি মানবিকতা তৈরি হয় তাহলেই সে নিজেকে মানবিক কাজে নিয়োজিত রাখতে পারে। বাস্তববাদী একটা কথা বলতে গেলে যারা ছোট থেকে মানুষের কষ্ট দেখে বড় হয় মানুষ এর অভাব অনটন দেখে বড় হয় বা নিজেও অভাব অনটন বুঝতে পারে তারাই সমাজে অভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। স্বাভাবিকভাবেই যারা ছোট থেকেই বিলাসবহুল জীবন যাপন করে তারা অভাব অনটন সম্পর্কে খুবই কম অবগত থাকে তাই বড় হয়ে নিজের বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে ব্যস্ত থাকে তাই সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও দরিদ্র অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর মত মন মানসিকতা তৈরি হয় না। যাই হোক সবশেষে একটি কথাই বলবো অযথা টাকা অপচয় না করে সেগুলো জমিয়ে রেখে বিভিন্ন সময়ে দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে বা অসহায় দরিদ্র মানুষগুলোর পাশে থাকুন।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
https://x.com/KaziRai39057271/status/1828828086751911983
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুব সুন্দর জনসচেতন মূলক একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো আমার। আমাদের উচিত এভাবে সচেতন জ্ঞান নিয়ে এগিয়ে আসা মানুষের পাশে।
ধনী, গরীব এগুলো কোন বিষয় না ভাই। সবচাইতে বড় বিষয় হচ্ছে মনুষ্যত্ব এবং বিবেক। এই দুইটা যাদের থাকবে তারা যেকোনো পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়াবে। সৃষ্টিকর্তা আমাকে আপনাকে সম্পদশালী করে এটা দেখার জন্য আমার সেই সম্পদ মানুষের কোন কাজে লাগে নাকী। সৃষ্টিকর্তা চাইলেই সেটা নিয়ে নিতে পারে যেকোনো সময় যেকোনো ভাবে।
ধনী পরিবারের মানুষদের সবসময় এটাই চিন্তা থাকে যে, তারা আরো কি করে ধনী হবে। গরিবদের সাহায্য করার চিন্তাধারা অধিকাংশ বড়লোকদের ভিতরে থাকে না ভাই। মধ্যবিত্ত এবং ছাত্রসমাজ এরাই সবসময় এগিয়ে আসে বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলা করতে। আমিও এই ব্যাপারটা খেয়াল করেছি যে, বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতিতে অধিকাংশই যারা এগিয়ে এসেছে তারা ছাত্র এবং মধ্যবিত্ত। তবে আপনার এই কথাটা ঠিক যে, বড়লোকরা যদি এসব মানুষদের একটু সাহায্য সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতো, তাহলে সমাজটা আরো অনেক বেশি সুন্দর এবং সাজানো গোছানো হতো।
হয়তো বন্যা কবলিত এলাকায় মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের সাহায্য করতে গিয়েছে কিন্তু এবারের বন্যায় ধনী গরিব সকলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। টিএসসির ত্রাণ সংগ্রহের ভিডিও গুলো দেখলেই বোঝা যায়। অনেকে বেশ বড় বড় অ্যামাউন্ট এর টাকা জমা দিয়েছে। ঠিকই বলেছেন মানুষ মানবিক হলে পৃথিবীটা তখন আরো বেশি সুন্দর হতো। যাই হোক আপনার লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো।