ছোটদের ভালোবাসা। || by @kazi-raihan
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ - ৩১শে আষাঢ় | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সোমবার | বর্ষা-কাল |
আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
স্বাভাবিকভাবেই একজন মানুষ সব সময় বাচ্চাদের প্রতি আলাদা একটা অনুভূতি প্রকাশ করে। প্রতিটা ক্ষেত্রেই বাচ্চাদের নিষ্পাপ চাহনি আর তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বড়দেরকে দুর্বল করে। ছোটদের মুচকি হাসিতে সব দুঃখ কষ্ট ভুলে যায় যেন সেই হাসির মাঝেই পৃথিবীর সব সুখ খুঁজে পাওয়া যায়। একটা পরিবারে যখন একটা শিশুর জন্ম হয় যখন অনেক ছোট থাকে তখন সেই পরিবারের আলো হিসেবে সেই শিশুটি বড় হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয় পরিবারের প্রতিটা সদস্যের কাছে সেই শিশুটা চোখের মনি হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই দেখবেন অচেনা কোন মানুষ যদি কোন বাচ্চাকে দেখে তাহলে কাছে এসে ভালোবাসার চেষ্টা করে আসলে এটা মনের আবেগ থেকে করে থাকে। একজন অচেনা অপরিচিত মানুষ যখন নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেনা তখন কাছে এসে তার মনের আবেগটা ভালোবাসার মাধ্যমে প্রকাশ করে।
পোষ্টের কভার ফটোতে দেখতে পাচ্ছেন আমি এবং আমার ভাতিজা সাফওয়ান একসাথে ছবি উঠেছি। আরেকটা বিষয় বলি দেখবেন ছোট বাচ্চারা যেখানে ভালোবাসা পাবে সেখানেই ছুটে যাবে। একটা অবুঝ শিশু ভালোবাসা পেলে সেখানে ছুটে যাবে স্বাভাবিক। শুধু শিশুদের ক্ষেত্রে নয় প্রতিটা মানুষ যেখানে ভালোবাসা খুঁজে পায় সেখানেই বারবার ছুটে যেতে চায়। আপনার বাড়িতে যদি কোন গৃহ পালিত পশু থাকে সেক্ষেত্রে দেখবেন সেই পশুটা যেখানে বেশি ভালোবাসা পায় সেখানেই বারবার গিয়ে ঘোরাফেরা করে। আসলে পৃথিবীর নিয়মটাই এমন সবাই ভালবাসার পেতে চায় ছোট থেকে বড় সবাই ভালোবাসার জন্য মাতোয়ারা। যে কথাটি বলতে চাচ্ছিলাম ছোট বাচ্চাদের যদি আপনি একটু বেশি ভালোবাসেন সবসময় আপনার কাছে এসে থাকতে চাইবে আপনার সাথে সময় কাটাতে চাইবে। আসলে এই কথা বলার মূল কারণ আমি সাফওয়ান কে প্রচন্ড ভালোবাসি এজন্য সে প্রতিটা সময় আমার সাথে থাকতে চায়।
চলতি মাসের ৫ তারিখে ভাইয়া একটি কাজের জন্য দিল্লি গিয়েছে যার কারণে ওর বাবার কে খুব মিস করছে। একটা বিষয়ের লক্ষ্য করেছি আমি যখনই বাইরে থেকে বাসায় ফিরি তখন সে রুম থেকে বের হয়ে আমার পিছে পিছে দৌড়ায়। আমি খেতে বসলে আমার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এখনো পুরোপুরি কথা বলা শিখেনি তবে আমার কাছে কিছু একটা বলতে চায়। তার মুখের দৃষ্টিভঙ্গি তার মুখের হাসি আরও মায়া বৃদ্ধি করে। তাছাড়া বর্তমান ছেলে মেয়েরা জানে বড়দেরকে কিভাবে আকৃষ্ট করতে হয়। কথা বলতে না পারলেও ইশারার মাধ্যমে অনেক কিছুই সে বোঝানোর চেষ্টা করে। ফ্রী সময়ে তার সাথে খেলা করে সময় পার করতে হবে সেটাও সে বোঝাতে পারে। এজন্যই অনেকেই বলে বর্তমান ছেলে মেয়েরা জন্মের পর থেকেই অনেকটা অ্যাডভান্টেজ থাকে।
গতদিন আমি রাতের বেলায় বাসায় ফেরার পর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যখন কমিউনিটিতে টুকটাক কাজ করতে বলবো তখন সাফওয়ান আমার রুমে এসে ফোন নিতে লাগলো। ইশারায় তার বাবাকে ফোন দেওয়ার বিষয়টি বোঝাচ্ছিল। আসলে একটা মানুষ দূরে থাকলে তার সাথে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যায় এই বয়সে সে বিষয়টি বুঝতে পারে। সবচেয়ে মজার বিষয় আপনি যখন ফোনের ক্যামেরা অন করবেন সে বিভিন্নভাবে নিজের ছবি তোলার ইঙ্গিত দেয়। বিভিন্নভাবে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়। আসলে এই বয়সে একটি ছোট্ট ছেলে এত কিছু বুঝতে পারে এই বিষয়টা আসলেই অবাক করার মতো। রাতের বেলায় আমি যখন তার সামনে ফোনের ক্যামেরা অন করে দিলাম সে বিভিন্নভাবে দৃষ্টিভঙ্গি বদলিয়ে অনেকগুলো ছবি উঠেছিল দেখলাম ছবিগুলো বেশ ভালই হয়েছে তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছিলাম। দেখুন ছোট্ট একটি পিচ্চি যদি এতটা কিউট হয় তাহলে তার প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে এটা স্বাভাবিক।
যাদের বাসায় এরকম ছোট্ট পিচ্চি আছে তারা বিষয়টা উপলব্ধি করতে পারবেন বর্তমান সময়ে ছোট্ট বাচ্চারা কতটা বুদ্ধিমত্তার সাথে বড় হয়ে উঠছে। এতটা বুদ্ধিমত্তার সাথে বড় হয়ে ওঠার পাশাপাশি তাদেরকে যদি সঠিক গাইডলাইন দেওয়া যায় তাহলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আরও সুন্দর হবে আরো নতুন কিছু করে দেখাবে। তবে তাদের ক্ষেত্রে একটা বিষয় নিয়ে গুরুত্ব দিতে হবে সেটা হচ্ছে সঠিক গাইডলাইন। একজন স্বাভাবিক সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এরকম একটা ছোট্ট বাচ্চার প্রতি ভালোবাসা দেখাবে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কমিউনিটিতে যখন কেউ ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে পোস্ট করে যেমন ধরুন ইমরান হাসান ভাইয়ের কথা বলি তার ছেলে এবং মেয়েদেরকে নিয়ে যখন পোস্ট করে আসলে তার সেই পোস্টগুলো পড়ার প্রতি আগ্রহ কেন জানি বেড়ে যায়। হয়তো ছোটদের প্রতি আলাদা একটা ভালোবাসা মনের মধ্যে কাজ করে যার কারণে এরকম আগ্রহ তৈরি হয়
এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।
সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
https://x.com/KaziRai39057271/status/1812654492762227129
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ছোট ছোট শিশুরা আসলেই পবিত্র, শুদ্ধ। তাদের মনে কোন পাপ নেই, নিজের লাভের হিসেব নেই; মনে এবং বাহিরে সম্পূর্ণ এক- একারণেই শিশুদের হাসি বড়দের ও এতটা টানে৷ বড় হতে হতে আমরা অনেক রকমের প্রবঞ্চনা শিখে যাই কিনা, তাতে ছোটবেলার সেই মাধুর্য আমরা হারিয়ে ফেলি। আর বর্তমানের শিশুরা আসলেই বেশ এডভান্স! আপনার ভাতিজার আরো কিছু ছবি শেয়ার করতেন! এমন দুষ্টু মিষ্টি মজার হাসির কি খালি কভার ফটোর ছবি দেখে মন ভরে নাকি! ওর জন্য ভালোবাসা রইলো।
ছবির কভার ফটো টা দেখতে আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে, আপনার আর আপনার ভাতিজার ফটোটি। সত্যি আপনি একটা কথা ঠিক লিখেছেন ,শিশুরা যেখানে ভালোবাসা পাই সেখানে বারবার ছুটে যাই, শুধু শিশুর না প্রতিটা মানুষের ক্ষেত্রেও এমন যেখানে ভালোবাসা পাই সেখানেই বারবার ছুটে যাই। ভালো লাগলে সুন্দর একটি পোস্ট দেখে ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সাফওয়ান এর ছবিগুলো দেখলেই বোঝা যায় আপনারা দুজন একসাথে থাকলে বেশ ভালো সময় কাটান। সাফওয়ানের হাসিখুশি ছবিগুলো দেখতে সত্যিই ভালো লাগে। আসলে বাচ্চারা নিষ্পাপ হয় এবং খুব সহজেই তারা মানুষ কে মায়ায় আটকিয়ে ফেলে।