কক্সবাজার ভ্রমণ (পর্ব-০৭) ||২০-০৮-২০২৪|| by @kazi-raihan
আসসালামুআলাইকুম
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আমি কাজী রায়হান। আমার ইউজার নেম @kazi-raihan বাংলাদেশ থেকে। আশা করি সবাই ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার একটি ভ্রমণ কাহিনী শেয়ার করব।
কক্সবাজার ভ্রমণের ছয়টি পর্ব ইতিমধ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যখন কাজের ধারাবাহিকতা ছিল তখন প্রতি সপ্তাহে একটি করে পর্ব ব্লগে শেয়ার করতাম তবে মাঝে কিছুদিন কাজের ধারাবাহিকতায় একটু এলোমেলো হয়েছিল যার কারণে এই মাসে এ পর্যন্ত মাত্র একটি পর্ব শেয়ার করেছি। যাই হোক যেহেতু সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করছি তাই চলতি সপ্তাহে সপ্তম পর্ব নিয়ে হাজির হয়েছি। ইতিমধ্যে ছয়টি পর্বে কক্সবাজার ভ্রমণের বিভিন্ন স্পটগুলো তুলে ধরেছি আর এই পর্বে কক্সবাজার শেষদিনের কিছু স্মৃতি আপনাদের সাথে পুনরায় তুলে ধরব।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ঘুরে এসে যখন আমরা হোটেলে ফিরব অর্থাৎ যেদিন আমরা ঢাকায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম অর্থাৎ রাতের বেলায় যে ট্রেনের টিকিট বুকিং দেয়া ছিল সেই ডেট অনুযায়ী শেষ বিকেলের পরে সমুদ্র সৈকত থেকে উঠে এসে নিজেদের শখের কিছু জিনিস কেনাকাটা শুরু করলাম। সেখানে সখের সব জিনিসের অনেকগুলো দোকান রয়েছে বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন আইটেমের বিভিন্ন সৌন্দর্যের জিনিসগুলো লক্ষ্য করা যাচ্ছিল তবে আমরা যে দোকানের মধ্যে ঢুকেছিলাম সেই দোকানটা তুলনামূলক অনেক বড় আর সেখানে অনেক ভিন্ন ভিন্ন রকমের শখের জিনিসগুলো ছিল যেগুলো দেখে পছন্দ হওয়ার স্বাভাবিক। সেখানকার জিনিসগুলো পছন্দ সই হলেও দাম অন্যান্য দোকানের তুলনায় একটু বেশি। আমরা যখন দোকানের মধ্যে গেলাম তখন খুব বেশি কাস্টমার ছিল না তাই যে জিনিসগুলো ক্রয় করেছিলাম সেগুলো পর্যায়ক্রমে আসতে ধীরে দেখে নিয়ে দাম দর করে নিতে পেরেছিলাম।
কক্সবাজার।
what3words address.
https://w3w.co/followings.bathers.twirl
কক্সবাজার।
what3words address.
https://w3w.co/spooned.smug.warblers
পরবর্তী দোকানে গিয়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন ধরনের শামুক সংগ্রহ করে রাখতে দেখলাম। বিভিন্ন দামে বিক্রি হচ্ছে এমনকি শামুকের উপরে বিভিন্ন নাম খোদাই করে বিক্রি করা হচ্ছে। আমাদের গ্রুপে যারা ছিল তাদের মধ্যে কে কি নাম লিখে শামুক নিয়েছিল সেটা আর উল্লেখ করলাম না এটা গোপন থাক হা হা হা। মূলত বড় সাইজের শামুক গুলো সেখানে আশি থেকে নব্বই টাকায় বিক্রি হয় আর যদি নাম খোদাই করে নেয়া হয় সেক্ষেত্রে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা নেয়া হয়। আমার তো আর তেমন কোন স্পেশাল মানুষ নাই যে আমি তার জন্য নাম লিখিয়ে নিব তাই আমি শুধু শামুকের সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করছিলাম। কিছু কিছু শামুক দেখে চিন্তা করছিলাম আসলে সৃষ্টিকর্তার কি অলৌকিক সৃষ্টি এই শামুক গুলোর সৌন্দর্য কতটা আকৃষ্ট করতে পারে। এই শামুক গুলো পুরোপুরি সমুদ্র থেকে তুলে এনে পরিষ্কার করে বিক্রি করা হয় যার কারণে সহজে এই শামুক গুলোর কালার নষ্ট হয় না। জেলেদের জালে এই শামুক গুলো যখন ধরা পড়ে তখন দোকানদার রা জেলেদের কাছে থেকে এই শামুকগুলো সংগ্রহ করে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
what3words address.
https://w3w.co/invitingly.poetic.unbuckles
শামুকের দোকানের পরবর্তী দোকানে গিয়ে দেখতে পেলাম সেখানে দারুণ কিছু শোবিজ রয়েছে। আমি প্রথমে গিয়েই একটি হারিকেন পছন্দ করলাম জিনিসটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল তাই সেটা নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলাম আবার একই ধরনের একটি হারিকেনে আলো লাগানো ছিল যেটা আরো বেশি সুন্দর ছিল। নীল রঙের ছোট ছোট এক ধরনের পাথরের মত হারিকেনের মধ্যে ছোট ছোট পাথর দিয়ে পানির মতো তৈরি করে রাখা হয়েছিল যেটা নীল রঙের হারিকেন গুলোতে বেশি ফুটেছিল যদিও সেখানে পিংক কালার এবং বেগুনি কালারের আরো দুইটা হারিকেন ছিল তবে আমার কাছে নীল টা ভালো লেগেছিল বলে নীল তাই আমি পছন্দ করে নিয়েছিলাম। যেহেতু আমি নীল হারিকেন টা নিয়েছিলাম এজন্য শুধু নীল হারিকেনটার ছবি তুলেছিলাম। মজার বিষয় হচ্ছে তারা আমাদের কাছ থেকে দাম বেশি নিচ্ছে না কম নিচ্ছে সেটা দেখার জন্য আবার daraz এ গিয়ে এই জিনিসের দাম কিরকম সে সম্পর্কে একটা আইডিয়া নিয়েছিলাম হি হি হি।
কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন।
what3words address.
https://w3w.co/swatted.engraving.shall
আপাতত কেনাকাটা শেষ করে আমরা সোজা হোটেলে গেলাম। হোটেল থেকে বাইরে বের হয়ে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। যারা প্রথম থেকে আমার শেয়ার করা পর্বগুলো দেখেছেন তারা অবশ্য জানেন আমরা যখন কক্সবাজার গিয়েছিলাম তখন আবহাওয়া খুবই খারাপ ছিল আর যখন কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম তখন আকাশে প্রচন্ড মেঘ ছিল আর ভালোই বৃষ্টি হচ্ছিল। আবহাওয়ার এরকম পরিবর্তন হওয়ার কারণে আমরা কক্সবাজার যাওয়ার সময় এই টিকিট পরিবর্তন করে এসি বগিতে টিকিট ট্রান্সফার করেছিলাম। কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছানোর কিছু সময়ের মধ্যেই ট্রেন চলে আসলো। যথাসময়ে ট্রেনে উঠে পড়লাম ভেতরে এসি চালু করা ছিল বাইরে বৃষ্টি শুরু হল তবে বাইরে ঝড়-বৃষ্টি যাই হচ্ছিল ভেতর থেকে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না ট্রেনের ভিতরের পরিবেশটা দারুন ছিল। মাঝে মাঝে ট্রেনের গতি কমে যাচ্ছিল আর বাইরের বিদ্যুৎ চমকানো দেখে বুঝতে পারছিলাম প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে তবে এসি বগির মধ্যে থাকার কারণে বাইরের আবহাওয়াটা কেমন ছিল সেটা খুব বেশি বুঝতে পারিনি। ঢাকায় ফেরার পরে বুঝতে পারলাম সারারাত ভালোই ঝড় হয়েছিল।
বন্ধুরা, এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজনে, আশাকরি আপনাদের সবার কাছেই ভালো লেগেছে।এই ভ্রমণ কাহিনী পড়ে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে সেটা কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাবেন। আর আমার ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 🙏
আমার পরিচয়
আমি কাজী রায়হান।আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
https://x.com/KaziRai39057271/status/1825715635315507444
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ওয়াও বন্ধু দেখতে দেখতে কক্সবাজার ভ্রমণের সপ্তম পর্বে চলে আসলাম। আমিও কিছুদিন পরে কক্সবাজার ভ্রমণের কাহিনী শেয়ার করবো। কক্সবাজার ছেড়ে আসার সময় সত্যিই ভীষণ কষ্ট হচ্ছিলো মনের ভিতরে, এমনটা মনে হচ্ছিলো যদি আর কয়েকটা দিন থাকতে পারতাম তাহলে বেশ হতো। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।