আজ রইল কিছু প্রাকৃতিক স্বনির্বাচিত ফটোগ্রাফি।
ফটোগ্রাফি পোস্ট
ছবি অ্যালবামে স্বাগত জানাই
আজ আপনাদের সামনে কিছু পছন্দের ছবি নিয়ে একটি অ্যালবাম বানাতে এলাম। ছবিগুলি একেবারেই হঠাৎ করে পাওয়া কিছু মুহূর্ত। এই মুহূর্তগুলো বন্দী করে রেখে পরে দেখতে নিজেরই খুব ভালো লাগে। আসলে ছবি হল সময়ের দলিল। যে সময় হারিয়ে যায়, তাকে স্মৃতির মনিকোঠা থেকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলার একটি পন্থা হলো ফটোগ্রাফি। আর এই ফটোগ্রাফি যখন শিল্পে পরিণত হয় তখন তা এক নতুন সৃজনশীলতার জন্ম দেয়। বর্তমানে ফটোগ্রাফি একটি বিজ্ঞানের শাখা। ফোকাস এবং লেন্থ ঠিক রেখে সঠিক অ্যাঙ্গেলে ছবিটিকে ক্যাপচার করলে তার রূপ বদলে যেতে পারে। যদিও এই বিষয়ে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। তবু বিভিন্ন মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে ভালোবাসি। পরবর্তী সময়ে সেই ছবিগুলি নিয়েই চলে মুহূর্তগুলির স্মৃতি রোমন্থন। আসুন আজ আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিই সেইরকম কিছু ভালোলাগার ছবি। এইসব ছবিগুলি বিভিন্ন সময় সংগ্রহ করেছি। প্রকৃতি এবং তার সৌন্দর্যগুলিকে ছবি তুলে সকলকে দেখাতে এক অদ্ভুত সুন্দর অনুভূতির জন্ম হয়। আজ সেই রকমই প্রকৃতি থেকে সংগ্রহ করা কিছু ছবি নিয়ে এই অ্যালবামটি সাজালাম।
এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলতো...
সত্যিই যদি এই পথ না শেষ হয়, তবে সে চলার অনন্ত ভালোলাগা রয়ে যেত স্মৃতির মনিকোঠায়। রয়েও গেছে তাই। সমুদ্র থেকে এই পথ চলে গেছে সোজা প্রধান সড়কের দিকে। গন্তব্য তাজপুর থেকে কাঁথি। মনোরম পরিবেশে এই পথ ধরে যখন ফিরছিলাম, সূর্য ধীরে ধীরে ঢলে পড়ছে পাটে। আর প্রশস্ত রাস্তা সেই কোন দূরে মিলিয়ে গেছে দিকচক্রবালের গা ঘেঁষে।
প্রাত্যহিক দিনের পথ। তবু যেন কত অচেনা। অপার ভালোলাগা ঘিরে ধরে প্রত্যেকদিন। জলপথে বেশ কিছুটা অতিক্রম করার পর আবার উঠতে হয় স্থলভাগে। আর সেই পথে প্রত্যেকদিন সাড়া দেয় এই জেটির পথটি। যেন কত কথা বুকে নিয়ে শূন্যভাবে দাঁড়িয়ে আছে সকলকে স্বাগত জানাবে বলে। একেকদিন তার এক এক রূপ কত অচেনা লাগে। নতুন করে চিনতে ইচ্ছে করে এই পথের প্রতিটি ধাপ।
পুরনো শহর কলকাতা। ব্রিটিশদের হাতে নির্মিত এক স্বপ্নীল নগরী। আজও তার ছাপ পড়ে আছে চারপাশে। আর আমি যেখানেই সেই ইতিহাসের ফিসফিস কথা শুনতে পাই, ছুটে যাই নির্দ্বিধায়। কিছুটা সময় ব্যয় করে হলেও কথা বলে আসি সেইসব কলোনিয়াল আঁতুড়ঘরে। এভাবেই একটি পথ চলতি দিনে এই বাড়িটি আমাকে আহ্বান জানায় নিজগুণে। তারপর ভেতরে ঢুকে সেই ইতিহাসের পদধ্বনি। বাঙালি বাবুয়ানার ইতিউতি চিত্র যেন আজও সজীব করে রেখেছে বাড়ির ইটগুলোকে।
ও নদীরে, একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে...
কি কথা জানিনা। তবে বহু কথা বলে দিতে চাই নদীকে। নদী জীবনের প্রতিফলন। জোয়ার ভাঁটায় বলিয়ান হয়ে সে অহরহ স্রোতে ভেসে যাচ্ছে মানুষের মতোই। আর পিছনে পড়ে থাকছে সব না বলা ইতিহাস। ভাগীরথীর দুই তীরে কত শহর কত গ্রাম গড়ে উঠেছে আপন খেয়ালে। তবু তার রূপে গুণে সে বলিয়ান। রাজকীয়তায় তার জুড়ি মেলা ভার। তাই নীল আকাশে ভেলা ভাসিয়ে জোয়ার ভাঁটার টানে হারিয়ে যেতে যেতে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসি নদীর পারেই।
রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি
মূর্তি ভাবে আমি দেব, হাসে অন্তর্যামী।
এই অন্তর্যামীর হাসিকে বুকে ধরেও আমরা দেবতা নির্ধারণে সচেষ্ট হয়নি কোনদিন। দেবতা তো অন্তর্যামীই। তাই রথচক্রে গতি এলে বদলে যায় প্রকৃতির ধারাও। সেই চক্রের ছবি আজ যুক্ত হল অ্যালবামে। নির্মীয়মান রথে তখন তৈরি হয়েছে শুধু চাকাটুকুই। এরপর জগন্নাথ সেই রথে আসীন হবেন এবং নীলগিরির প্রান্তরে বিরাজ করবেন রাজঐশ্বর্যে।
সূর্যমুখীর কথা আর কি বলবো। আকাশের বাণী বুকে ধরে সে চুপি চুপি সাড়া দেয় প্রতিটি মানুষকে। অনাবিল সুন্দর এই প্রকৃতির সৃষ্টি যেন তাকিয়ে রয়েছে প্রতিটি মানুষের চোখের দিকে। তাই সে সুন্দর। তাই সে সৌন্দর্যের প্রলেপ লাগায় প্রতিদিন।
(৫% বেনিফিশিয়ারি এবিবি স্কুলকে এবং ১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
Valo
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দেখতে বেশ অসাধারণ ছিল। নদীর ফটোগ্রাফিটি দেখতে সত্যি বেশ চমৎকার ছিল। আপনি প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফির বেশ সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে বর্ণনা দিয়ে তুলে ধরেছেন। আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে সূর্যমুখী ফুলের ফটোগ্রাফি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার ভালো লাগলো বলে খুব ভালো লাগছে ভাই। আপনি আমার পোস্ট পছন্দ করেন এ আমার প্রাপ্তি। অনেক ভালোবাসা জানবেন