ক্যামেরাবন্দি গ্রামের দৃশ্য ও স্বয়ংসম্পূর্ণ অণুকবিতা। ফটোগ্রাফি পোস্ট।
ফটোগ্রাফি ও কবিতার মিশেল
📷ফটোগ্রাফি পোস্ট📷
আজ আবার একটি পোস্ট নিয়ে এলাম আপনাদের মাঝখানে। তবে আজকের পোস্টটির বিষয়টি একটু অভিনব। এখানে প্রতিটি ফটোগ্রাফির সাপেক্ষে কয়েকটি অনুভবতা শেয়ার করলাম। ছবি ও কবিতা একসাথে পড়লে তবেই প্রতিটি ছবির মধ্যে লুকিয়ে থাকা অন্তর্নিহিত কাব্যটুকু দখল নেবে মস্তিষ্কের। এবং সেইখান থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূরত্ব কমবে হৃদয়ের। আমি সাধারণত শহর কলকাতা এবং তার আশেপাশে ফটোগ্রাফি করি। কিন্তু আজ আর শহর নয়। আজ আমার গন্তব্য এই বাংলারই এক গ্রাম। আজকের এই শহর কেন্দ্রিক সভ্যতার মাঝখানে গ্রাম যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। গ্রাম থেকে দলে দলে মানুষ ছুটে আসছেন শহরের দিকে। পক্ষান্তরে জনসংখ্যা বাড়ছে শহরের এবং যথাযুক্ত মানুষের অভাবে ধুঁকছে৷ গ্রামগুলি। আসলে গ্রাম আমাদের কৃষি ভান্ডার। শহর শিল্পকেন্দ্রিক হলেও মানুষের মৌলিক চাহিদার দিকটি পূরণ করে গ্রাম। আর শহরের দৈনন্দিন জীবনে নিজেকে কখনো খুঁজে না পেলে আমি অস্তিত্বটুকু ছুঁয়ে দেখবার জন্য ছুটে যাই গ্রামেগঞ্জে। তাই গ্রাম আমার কাছে এক টুকরো নিঃশ্বাস এবং পবিত্র হওয়া। আজকে যে গ্রামটির ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম তা পশ্চিমবাংলায় মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত। সবকটি ছবি সেই গ্রামের। আসুন এবার এক এক করে ছবিগুলি দেখে নিই, এবং পড়ে নিই তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লেখা অণুকবিতা গুলি।।
সেই বিচ্ছিন্ন শরতে
আমি তোমার জন্য লুকিয়ে রেখেছি জন্ম দাগ।
যদি বাতাসের গায়ে লেগে যায় মেঘেদের লজ্জাবস্ত্র
আমি তোমার দিকেই এগিয়ে দেব
মেঘলার আরও কয়েকটি দিন...
প্রতিবিম্ব পড়েছে বলে
তুমিও সাহসী হয়েছ আরো...
হয়তো এবার আঙুল ছুঁয়ে
আমার দিকেই এগিয়ে দেবে
অগ্নিদগ্ধ আরো কয়েকটা জীভ...
সেদিন তুমি বিপর্যয়ের কথা বলোনি
কিন্তু গোপন উচ্চতায় বেড়ে উঠেছে
সারিবদ্ধ অযান্ত্রিক পাইনের চারা -
শরতের গোপনীয়তা ঢাকতে
তুমি বারবার আনতে বলেছিলে
গ্রহণযোগ্য কিছু পাপড়ি...
তবে যে নিজের বুককে বিপদজনক আখ্যা দিতে বারবার?
যদি ছুতে পারি তলদেশ
প্রথমেই বেছে আনব জাহাজের নিমজ্জিত নির্ভরতা...
নদীর শোয়ানো পথ সাহসী
এদিকে আমিও নিজেকে সাবালক বলি আজ
যদি জালের সর্বশেষ বিন্দুতে
ধরা পড়ে গোটা শূন্যস্থান
তখন শহরজুড়ে নেমে আসবে কার্ফু
কখনো সংবাদ শিরোনামে উঠে আসবে সাহসী স্বপ্ন।
ধন্যবাদ সকলকে। ছবিগুলি ভালো লাগলে অবশ্যই মন্তব্য করে সঙ্গে থাকবেন।
(৫% বেনিফিশিয়ারি এবিবি স্কুলকে এবং ১০% বেনিফিশিয়ারি প্রিয় লাজুক খ্যাঁককে)
--লেখক পরিচিতি--
কৌশিক চক্রবর্ত্তী। নিবাস পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলায়। পেশায় কারিগরি বিভাগের প্রশিক্ষক। নেশায় অক্ষরকর্মী। কলকাতায় লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত৷ কলকাতা থেকে প্রকাশিত কবিতার আলো পত্রিকার প্রধান সম্পাদক। দুই বাংলার বিভিন্ন প্রথম সারির পত্রিকা ও দৈনিকে নিয়মিত প্রকাশ হয় কবিতা ও প্রবন্ধ। প্রকাশিত বই সাতটি৷ তার মধ্যে গবেষণামূলক বই 'ফ্রেডরিক্স নগরের অলিতে গলিতে', 'সাহেবি কলকাতা ও তৎকালীন ছড়া' জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সাহিত্যকর্মের জন্য আছে একাধিক পুরস্কার ও স্বীকৃতি। তার মধ্যে সুরজিত ও কবিতা ক্লাব সেরা কলমকার সম্মান,(২০১৮), কাব্যলোক ঋতুভিত্তিক কবিতায় প্রথম পুরস্কার (বাংলাদেশ), যুগসাগ্নিক সেরা কবি ১৪২৬, স্রোত তরুণ বঙ্গ প্রতিভা সম্মান (২০১৯), স্টোরিমিরর অথর অব দ্যা ইয়ার, ২০২১, কচিপাতা সাহিত্য সম্মান, ২০২১ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
ধন্যবাদ জানাই আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবন্ধুদের৷ ভালো থাকুন, ভালো রাখুন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য খুবই ভালো লাগে। আর ফটোগ্রাফি গুলো যদি অনেক দক্ষতার সাথে করা হয় তাহলে সৌন্দর্য আরো বেশি ফুটে ওঠে। দাদা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। আমার কাছে খুবই চমৎকার লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
মনমুগ্ধকর সব প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা। এত সুন্দর প্রকৃতি দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল। আর ফটোগ্রাফি করার দক্ষতা দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো। চমৎকার হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো।
মুগ্ধকর দৃশ্য সবগুলো, দারুণ লেগেছে আমার কাছে। অনেক ধন্যবাদ