পরিবারের সদস্যদের সাথে মুড়ি মাখা খাওয়ার অনুভূতি।

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন আমি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

Beige Blue Illustration Happy World Art Day Poster_20240712_235907_0000-01.jpeg

Canva অ্যাপ দিয়ে তৈরি

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। আজকের পোস্টটি কি নিয়ে হতে চলেছে আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। কিছুদিন আগেই আপুরা বাড়িতে এসেছিল। আপুরা বাড়িতে আসার শুরুর দিকে একবার মুড়ি মাখিয়ে খাওয়া হয়েছিল এবং শেষের দিকে একবার মুড়ি মাখিয়ে খাওয়া হয়েছিল। শুরুর দিকে মুড়ি মাখিয়ে খাওয়ার অনুভূতিটা আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। তবে আপুরা চলে যাবার কয়েকদিন আগে আবারো মুড়ি মাখিয়ে খাওয়া হয়েছিল আর আজকের পোস্টটি সেই বিষয় নিয়ে হতে চলেছে। তো চলুন এবার মূল বিষয় আসা যাক।

আপুরা এবারে প্রায় এক মাসের ছুটিতে এসেছিল। মাঝে তাদের সাথে অনেক কিছুই খাওয়া-দাওয়া করা হয়েছে অনেক আড্ডায় দেওয়া হয়েছে। তবে অনেক কিছু খাওয়া হলেও কোনটার আয়োজন আমি নিজে করি নাই। আর সেগুলোতে আমার তেমন অনুভূতিও জন্ম নেয়নি। তবে মুড়ি মাখিয়ে খাওয়ার আয়োজনটা যেহেতু আমি নিজে করেছি তাই এটা নিয়েই মূলত কিছু অনুভূতি তৈরি হয়েছে আর তার জন্যই সেই বিষয় নিয়েই আপনাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করছি।

আপু আগে থেকেই বলে রেখেছিল আমরা যাওয়ার আগে একবার মুড়ি মাখানোর আয়োজন করতে। আমারও বিষয়টা মনে ছিল এবং একদম শেষের দিকে অর্থাৎ আপুরা যাওয়ার আগে সেই আয়োজনটা করেছিলাম। যদিও বা ঐদিন আয়োজন করতে আপুই বলেছিল। যাই হোক সকালে উঠে আমাকে কাজে যেতে হয় তাই সকালেই ভাগ্নের হাতে কিছু টাকা দিয়ে বললাম গতবার যেখান থেকে আমি ছোলা এবং মুড়ি মাখানোর তেল কিনে এনেছিলাম সেখান থেকেই ওগুলো কিনে আনতে। তো ও আমার কথামতো সেগুলোই করেছিল তবে একটু দেরিতে। যাই হোক রাতে খাবার খাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর মুড়ি মাখিয়েছিলাম।

IMG_20240625_220604-01.jpeg

প্রথমে একটি বড় গামলা ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়েছিল। এরপর মুড়ি মাখানোর জন্য কিছু ঝাল পেঁয়াজ কাটা হলো। প্রথমে আমি ঝাল পেঁয়াজ গুলো গামলাটিতে ঢেলে নিলাম।

IMG_20240625_220722-01.jpeg

IMG_20240625_220801-01.jpeg

এরপর এর মধ্যে চানাচুর দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছিলাম। চানাচুরের সাথে ঝাল পেঁয়াজ মাখানোর পর এর মধ্যে ভাগ্নের কিনে আনা সিদ্ধ ছোলা দিয়ে দিলাম তারপরের মধ্যে এক প্যাকেট নুডুলসের মসলা দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছিলাম।

IMG_20240625_220913-01.jpeg

IMG_20240625_220949-01.jpeg

এরপর মুড়ি মাখানো তেল দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছিলাম

IMG_20240625_221028-01.jpeg

IMG_20240625_221204-01.jpeg

তারপর মুড়ি দিয়ে ভালোমতো মাখিয়ে আমাদের মুড়ি মাখানোর ধাপগুলো কমপ্লিট করেছিলাম।

মুড়ি মাখানো শেষ এবারে সবাই মিলে খাওয়া শুরু করে দিলাম। গতবার মুড়ি খাওয়ার শেষে ভাগ্নে বলেছিল আরেকটু খেতে পারলে ভালো লাগতো তাই এবার কোনো কিছুতেই কমতি না করে যতটুকু সম্ভব মাখানোর চেষ্টা করেছিলাম। একে একে সবাই খাওয়া শুরু করে দিলাম।

সবাই সবার মতো মুড়ি মাখানো খেয়েছিলাম। তবে মুড়ি মাখানোর পরিমাণটা বেশি হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে হাল ছেড়ে দিতে হয়েছিল। তবে পরিবারের সাথে কোন কিছু খাবার মজাটা বেশ উপভোগ করতে পেরেছিলাম। আর এটা বেশ ভালোও লাগে। যাইহোক যতটুকু সম্ভব মুড়ি খেয়ে নেওয়ার পর আমাদের মুড়ি খাওয়ার আড্ডাটা শেষ করেছিলাম।

তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে কমেন্টে জানাতে পারেন। আর পরিবারের সাথে কোনো কিছু খেতে আপনাদের কাছে কেমন লাগে সেটাও কমেন্টে জানাতে পারেন পারে। তো আজকের মত এটুকুই।আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 hours ago 

এক মাসের ছুটিতে বাড়িতে এসে মুড়ি মাখা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছেন যা ভীষণ ভালো লাগছে। আসলে মুড়ি মাখা সবাই মিলে খেতেই ভালো লাগে একা একা খেতে ভালো লাগে না। আপনি দেখছি চমৎকার সুন্দর করে ঝাল মুড়ির মত করে সুস্বাদু মুড়ি মাখা বানিয়েছেন এবং সবাই মিলে মজা করে খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার সুন্দর পোস্টটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 60268.51
ETH 3201.96
USDT 1.00
SBD 2.43