পরিবারের সদস্যদের সাথে মুড়ি মাখানো খাওয়ার অনুভূতি।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
আসলে সেটা যে খাবারই হোক না কেনো,পরিবারের সকলের সাথে বসে গল্প করতে করতে এটা ওটা খেতে বেশ ভালোই লাগে এবং অন্যরকম এক অনুভূতি পাওয়া যায়। তো গতকাল রাতে আমরা সবাই মিলে মুড়ি মাখানো খাবার প্লান করেছিলাম। যেহেতু মুড়ি মাখানো খাবো তাই দরকার ছিল প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী। বেশিরভাগ জিনিসগুলো বাড়িতেই ছিল তবে এক্সট্রা ভাবে ছোলা এবং তেল দরকার ছিল। যদিও বা এগুলো ছাড়াও খাওয়া যায় কিন্তু এগুলো দিলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে।
তার জন্যই আমি আগে থেকেই আমার ভাগ্নেকে বলে রেখেছিলাম রাতে দুজনে মিলে বাজারে গিয়ে ছোলা এবং মুড়ি মাখানোর তেল কিনতে যাব। তো সেই মোতাবিক রাতের বেলায় দুজনে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম বাজারের দিকে। আমরা বেশ নিরিবিলি একটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার বড় ভাগ্নে টা এখন ক্লাস এইটে পড়ে। যেহেতু ওর বাড়তি বয়স তাই ওকে যাওয়ার পথে বেশ কিছু পরামর্শ দিলাম। আসলে আমি সেই সময় যেগুলো বুঝতে পারিনি অর্থাৎ আমাকে যেগুলো বোঝানো হয়নি,সেগুলোই এখন ওকে যতটুকু সম্ভব বোঝানোর চেষ্টা করলাম। যাইহোক এভাবেই দুজনে মিলে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গেলাম বাজারে। গাংনী বাজারে মুড়ির দোকান মোট তিনটা দেখা যায়। প্রথমে ভেবেছিলাম বাকি দুইটা দোকান বাদ দিয়ে আলী ভাইয়ের কাছ থেকে জিনিসগুলো কিনব। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখতে পেলাম উনার দোকানে বেশ ভিড় লেগে আছে।
তাই নজর দিলাম বাকি দুইটা দোকানের দিকে। একটা দোকান ওয়ালা অলরেডি চলে গেছেন। তাই অন্য আরেকটা দোকানে গেলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম তার কাছে ছোলা শর্ট তাই তিনি আমাদেরকে ছোলা দিতে পারবেন না।
পরে উপায় না পেয়ে সাহস নিয়ে চলে গেলাম আলী ভাইয়ের দোকানটাতে যেখানে অনেক ভিড় ছিল। সেখানে গিয়ে একটু দাঁড়ালাম তারপর এক পর্যায়ে বললাম ছোলা এবং তেল দেওয়া যাবে কিনা? তো উনি দেখলাম বেশ ভালো মনেই বলল দেওয়া যাবে এবং সবার প্রথমেই সমস্ত ভিড় উপেক্ষা করে আমাদেরকেই ছোলা এবং তেল দিয়ে দিলেন,আবার সেই সাথে একটু বিট লবণও দিয়ে দিলেন। আপনারা ভাবতে পারেন উনি কেন আমাদেরকে তাড়াতাড়ি দিলেন? আসলে এর কারণ ছিল অন্য সবাই মুড়ি মাখানো নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন আর অপরদিকে আমরা ছোলা এবং তেল নিতে এসেছিলাম,তাই হয়তোবা আমাদেরকেই আগে দিয়ে দিয়েছিল।
যাইহোক এরপর আমারা ছোলা এবং তেল নিয়ে খুশি মনে বাড়িতে চলে আসলাম। তারপর বাসায় এসে দেখি সবাই অন্য কাজে ব্যস্ত। আমি বাসায় এসে সবাইকে মুড়ি মাখানোর কথা বললাম। কিন্তু বেশ রাত হয়ে যাওয়ার পরেও খাওয়া দাওয়া করা হয়েছিল না তাই প্রথমে বললাম হালকা খাওয়া-দাওয়া সেরে তারপর মুড়ি মাখাবো। তো সেই ভাবনা অনুযায়ী প্রথমে আমরা খাবার খেয়ে নিলাম। এবারে মুড়ি মাখানোর পালা। কিন্তু এখানে একটা বিষয় খারাপ লেগেছিল। আর সেটা হলো রাত খুব বেশি না হলেও সবারই মোটামুটি ঘুম পেয়ে গিয়েছিল। যার কারণে মুড়ি মাখানোর দিকে কেউ এগোতে চাচ্ছিল না। আর এদিকে আমি যেহেতু ছোলা কিনে নিয়ে এসেছি তাই এখন এগুলোর ব্যবস্থা করতেই হবে।
কিন্তু আম্মুর অনেক ঘুম পেয়ে গিয়েছিল যার কারণে আম্মু চলে গেলেন ঘুমাতে। তখন আপু ঝাল পেঁয়াজ কেটে দিলেন এবং আমি মুড়িটা মাখিয়ে ফেললাম। তারপর সবাই মিলে খেলাম, খেতে বেশ ভালোই ছিলো। শেষে তো শর্ট পড়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়েছিল। তো সবশেষে মুড়ি খাওয়ার অনুভূতিটা ভালো খারাপের মধ্যেই হয়ে গেলো। আসলে মুড়ি খেতে খারাপ ছিল না তবে ওই যে বললাম সবার ঘুম পাওয়ার কারণে পিছু টান দিচ্ছিল যার কারণে খারাপ লেগেছিল। আর আম্মু তো আমাদের সাথে খেতেই পারেন নি।
তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। পোস্টটি পড়ে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে কমেন্টে জানাতে পারেন । তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
https://twitter.com/MdJohir65/status/1799505751280611654?t=qYyDdt-ek0Bxmqbo426LYQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মামা ভাগ্নে মিলে বাজার থেকে ছোলা মুড়ি এসব কিনে এনেছেন শুনে ভালো লাগলো। তবে সবাই মিলে এসব খাবার খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। রোজা পার হয়ে যাওয়ার পর ছোলা মুড়ি আর তেমন খাওয়া হয়নি। দারুন একটি পোস্ট সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আসলে রোজার মাসে আমারও অনেক মুড়ি খাওয়া হয়েছিল। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটিতে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
আপনি আজ আমাদের মাঝে,পরিবারের সদস্যদের সাথে মুড়ি মাখানো খাওয়ার অনুভূতি। শেয়ার করেছেন ভাই আপনার অনুভূতি পরিবেশ ভালই লাগলো আর পরিবারের সকলের সাথে এভাবে গল্প করতে করতে মুড়ি খেয়েছেন শুনে আরো বেশি ভালো লাগলো। পরিবারের সাথে তাহলে ভালোই আসি তামাশা করে মুড়ি খেয়েছেন ধন্যবাদ এভাবেই আপনার পরিবারের সাথে সারা জীবন কাটাতে পারেন সে প্রত্যাশা করিস ভাই।
পরিবারের সদস্যদের সাথে মুড়ি মাখিয়ে দিয়েছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। এইভাবে মুড়ি মাখিয়ে খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে। যেহেতু আমার মুড়ি ভালো লাগে তাই এটা দেখেই আমার খেতে ইচ্ছা করছে।
মাঝে মাঝে এমন মুড়ি মাখানো খেতে দারুন লাগে। আমিও বাড়ি গেলে বাজার থেকে মুড়ি মাখানোর মসলাপাতি কিনে এনে মুড়ি সবাইকে নিয়ে মুড়ি মাখিয়ে খায়। পরিবারের সবাই মিলে এই খাবার গুলো খেলে দারুন লাগে। আপনার অনুভূতি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
পরিবারের সাথে যে কোন কিছু খাবার মজাই আলাদা। আপনি দেখতেছি গাইনি বাজার থেকে গিয়ে ছোলা বুট কিনে নিয়ে আসলেন। তবে মুড়ি মাখানো খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার আম্মু ঘুমাতে চলে গেলেন । আপনার আপু এগুলো রেডি করেছে এবং মজা করে খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।