মামাতো বোনের বিয়ে। পর্ব-১

in আমার বাংলা ব্লগlast month
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন আমি আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। ঈদের একদিন পর আমার মামাতো বোনের বিয়ে ছিল। এই বিয়েটার জন্য আমি বেশি এক্সাইটেড ছিলাম। কারণ আশা ছিল এই বিয়েটাকে কেন্দ্র করে পরিবারের সবাই এক জায়গায় হতে পারবো এবং সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করতে পারবো। আর এছাড়াও আমার মামাতো বোন আমার প্রায় সমবয়সী,যতটুকু জানি ও আমার থেকে ছয় মাসের বড়। আর অপরদিকে অনেকদিন পর আমার খালাতো মামাতো ভাইবোনদের মধ্যে কারোর বিয়ে হচ্ছে। এর আগেও বেশ কয়েকটা খালাতো মামাতো ভাই বোনের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু তখন ছোট ছিলাম বলে অতটা উপভোগ করতে পারিনি। আর এসব কারণে বিয়েটা কে নিয়ে একটু বেশি এক্সাইটেড ছিলাম।

IMG_20240618_211118-01.jpeg

যাইহোক ঈদের পরের দিন ক্ষীর খাওয়ানোর অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তাই আমার ছোট মামা ঈদের পরেরদিন তার সকল ভাই-বোন ও তাদের সন্তানদেরকে উপস্থিত থাকার জন্য বলেছিলেন। তো সেই সুবাদে আমারও সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। আর গিয়েছিলামও, তবে রাতের বেলায়।

আমার সাধারণত ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন ছুটি থাকে। আমি দেখলাম যেহেতু ঈদের একদিন পরেই মামাতো বোনের বিয়ে তাই ঈদের পরের দিন আর ছুটিটা না নিয়ে একেবারে বিয়ের দিন ছুটিটা নিয়েছিলাম। আর যার কারণে আমি রাতে কাজ শেষ করে সোজা নানি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তবে মামাদের বাড়ি কিংবা নানির বাড়ি যেটাই বলি না কেনো সেখানে যেতে আমার বেশ ভোগান্তিতে পরতে হয়। আর এই ভোগান্তির মূল কারণ হচ্ছে রাতের বেলায় সেখানে যেতে গেলে গাড়ি পাওয়া যায়না। তবে দিনের বেলায় এই ঝামেলাটা কম হয়। কিন্তু সেই দিন আগে থেকেই দেখি আমার মামাতো ভাই অর্থাৎ যার বিয়ে হচ্ছে তার ছোট ভাই আমাকে নিতে চলে এসেছে। আর শুধু এবার না ও প্রায় সব সময়ই আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকে বাইক নিয়ে চলে আসার চেষ্টা করে।

তো যাই হোক প্রথমে মামার বাড়িতে গিয়ে দেখি সবাই আগে থেকে এসে হাজির। ছুটি থাকলে হয়তোবা আমিও আগে থেকেই হাজির হয়ে যেতাম। এছাড়াও দেখলাম বাড়িতে অনেক মানুষের আনাগোনা। বিশেষ করে এলাকার মেয়েরা এসেছে আমার মামাতো বোন এর ক্ষীর খাওয়ানোর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। তো মামার বাড়ি পৌঁছে দেখি ইশার নামাজের সময় হয়ে গিয়েছে তাই আমার খালাতো ভাই বলল চল আগে গিয়ে নামাজ পড়ে আসি। তাই কাজিনদের সাথে প্রথমে গিয়ে নামাজ আদায় করে এলাম। এরপর বাড়িতে এসে দেখি বাড়িটা মোটামুটি ফাঁকা হয়েছে। এবার আমরাও গেলাম ক্ষীর খাওয়ানোর অনুষ্ঠানের কাছে। দেখি অনেকক্ষণ ধরে বসে ক্ষীর খেতে খেতে আমার কাজিনের অবস্থা খারাপ। তবে প্রায় সবারই ক্ষীর খাওয়ানো শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল মাত্র দুই এক জন।

এরপর একে একে সবার ক্ষীর খাওয়ানো হয়ে গেলে এর মাধ্যমেই ক্ষীরের অনুষ্ঠানটা শেষ করা হয়েছিল। চলবে....

তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আজকের পোষ্টের মাধ্যমে কিছু কথা এবং মামাতো বোনের বিয়ের কিছু অংশ আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি । পরবর্তীতে পোস্টে বাকি অংশগুলো আস্তে আস্তে শেয়ার করব। তো আজকের মত এটুকুই।আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ
Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

ঈদের পরের দিন আপনার মামাতো বোনের বিয়ে হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলোতে গেলে অনেক আনন্দ করা যায়। ক্ষীর খাওয়ার অনুষ্ঠান দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last month 

আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি দেখে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59401.87
ETH 2615.39
USDT 1.00
SBD 2.40