এখন পর্যন্ত,এবছর ফিল করা সব থেকে বেশি অস্বস্তিকর গরম।
প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,
আর এখন তো ২০১৮ সালের থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এলাকায় এবার সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠেছিল। যদিও বা এখন তাপমাত্রা কিছুটা কমই আছে। কিন্তু গত দুইদিন যতটা গরম ফিল করেছি ততটা গরম এবছর আর কখনোই ফিল করিনি।
২৭ তারিখে ঘূর্ণিঝড় রেমাল বেশ ভালই তাণ্ডব দেখালো বেশ কিছু জায়গায়। আর ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ক্ষতি হলো অনেক। কারেন্ট ছিল না বেশ কিছু ঘন্টা। জানিনা আমাদের এদিকে ঠিক কত ঘন্টা কারেন্ট ছিল না,তবে কারেন্ট না থাকাতে এই গরমে কষ্ট করতে হয়েছিল অনেক। যেদিন ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছিল সেদিন তো চারিদিকে জোরে বাতাস বইছিল,আর সেই সাথে বৃষ্টি হচ্ছিল যার কারণে সেদিন কারেন্ট না থাকলেও কোনো সময় গরম ফিল হয়নি। বরঞ্চ ঠান্ডা অনুভব হয়েছিল।
কিন্তু মেন কষ্টটা হয়েছিল পরের দিন। যেদিন ঘূর্ণিঝড় ছিল সেদিন পরিবেশটা ঠান্ডা থাকলেও তার ঠিক পরের দিন অনুভব হয়েছিল অনেক গরম। এর আগেও অনেক গরম পড়েছে তবে কারেন্ট থাকার কারণে একটু শান্তিতে থাকা যেত। কিন্তু আগের দিন যেহেতু ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল তাই ২৮ তারিখে প্রায় সারাদিনই কারেন্ট ছিল না। আর যার কারণে মনে হয়েছিল যেন গরমে অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তবে এই গরমে সব থেকে অস্বস্তিকর বিষয় যেটা লেগেছিল সেটা হচ্ছে ঘাম। শরীর থেকে অনবরত ঘাম বের হয়ে যাচ্ছিল। ভিজে গিয়েছিল গায়ে থাকা কাপড়।
এমনিতেই অনেক গরম পড়ছিল,তারপর যখন ঘামে ভেজা কাপড় গায়ের সাথে লাগছিল তখন বেশ খারাপ অনুভূতি হচ্ছিল। সারাদিন কারেন্টের দেখা খুব কম সময় পেলেও বাড়ি ফেরার পথে কারেন্টের দেখা পেয়ে বেশ আনন্দিত হয়েছিলাম। বাড়িটা পৌর এলাকায় অবস্থিত। যার কারনে তুলনামূলক বেশি কারেন্ট থাকে। তারপরেও মাঝে মাঝেই কারেন্ট চলে যাচ্ছিল আবার আসছিল। তবে বারবার যাওয়া আসার ফলে একসময় হাঁপিয়ে গিয়েছিল। তাই এক পর্যায়ে কারেন্টকে এসেই স্থিরতা অবলম্বন করতে হয়েছিল। তাই সবশেষে বলতে পারি সেদিন রাতে বাড়িতে ফিরে একটু স্বস্তি পেয়েছিলাম।
তবে পরের দিন আবারো গরম তাঁর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিল। পরের দিনও ফিল করতে হয়েছিল অনেক গরম। আর সেই সাথে শরীর থেকে অনবরত ঘাম বের হচ্ছিলো। গতকালকে দুপুর টাইমে লক্ষ্য করেছিলাম তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি দেখালেও নিচে ফিলস লাইক ৪৯ ডিগ্রী দেখাচ্ছিলো। তবে গতকালকে অনেক গরম ফিল হলেও কারেন্ট ছিল। এবং বাইরে বাতাস বইছিল। যার কারনে আগের দিনের তুলনায় কষ্ট একটু কম ফিল করেছিলাম। আর যদি আজকের কথা বলি। তাহলে বলবো আজকেও অনেক গরম ছিল তবে তুলনামূলকভাবে কম যার কারণে খুব একটা অসুবিধা হয়েছিল না। আসলে অনেকেই ভেবেছিল ঝড়ের পর হয়তো পরিবেশ ঠান্ডা হবে। কিন্তু তাদেরকে অবাক করে দিয়ে পরিবেশ ঠান্ডা হবার আশা,আশায় থেকে গেল। আবার এই দুইদিন যে অনেক বেশি রোদ পড়েছে তাও কিন্তু নয়। তবে দিনের বেলায় অনেক গরম ফিল করলেও রাতে খুব একটা গরম ফিল করিনি। এটাই ছিল মূলত স্বস্তির কারণ।
তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। আপনারা এবছর কোন সময় সব থেকে বেশি গরম অনুভব করেছেন কমেন্টে জানাতে পারেন। তো যাই হোক আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/MdJohir65/status/1796259057336205694?t=4kT_-Ku3ka3JojZ1Qx7Vtw&s=19
প্রচন্ড গরম মানে অস্বস্তিকর অবস্থা। আর এ মুহূর্তে বাইরের পরিবেশে চলাচলটা বেশ কঠিন। টি শার্ট বাদে যদি শার্ট গায়ে থাকে তাহলে আরো সমস্যা মনে হয়। কারণ গা ঘামলে গায়ের সাথে কাপড় লেগে থাকে। যাহোক অস্বস্তিকর এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইরে গরমের কথা আর কি বলবো। এত বড় ঘূর্ণিঝড় হয়ে গেল তারপরেও গরম কমার কোন নাম গন্ধ নেই। কবে যে এই গরম থেকে মুক্তি পাবো সেটাও বুঝতেছিনা। শহরে গরমের জ্বালায় গ্রামে আসলাম এখানেও শান্তি নেই। কোথায় গেলে শান্তি পাবো, গরম থেকে মুক্তি পাবো আমি নিজেও জানিনা। ধন্যবাদ।