রেসিপি পোস্ট :- // কলমি শাক ভাজি রেসিপি //
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি। "আমার বাংলা ব্লগ" এর সকল ভাই ও বোনকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের পোস্টটি শুরু করছি।
আজকে আপনাদের সাথে খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করবো।এই রেসিপিটি আমার পরিবারের সবাই খেতে খুবই পছন্দ করে।বিশেষ করে এই রেসিপিটি আমি সব থেকে বেশি পছন্দ করি। পরিবারের সবার জন্য রান্না করতে বেশ ভালো লাগে। রান্না করা যদিও সহজ বিষয় নয়। তবে কষ্ট করে রান্না করার পর, পরিবারের সবাই যদি তৃপ্তি করে খেয়ে তার প্রশংসা করে তাহলে অনেক বেশি ভালো লাগে। তখন আর সেই কষ্ট মনে থাকে না। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি কলমিশাক ভাজি রেসিপি। কলমিশাক ভাজি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে।যেকোনো ধরনের সবুজ শাক ভাজি আমার অনেক বেশি পছন্দের।এছাড়া সবুজ শাক আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারও বটে। তাহলে আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আজকের এই রেসিপিটি করলাম।
১.কলমি শাক
২.পেঁয়াজ কুচি
৩.লবণ
৪.কাঁচা মরিচ
৫.রসুন
৬.তেল
প্রথমে চুলায় কড়াই বসিয়ে দিব। এরপর কড়াই এর মধ্যে ধুয়ে রাখা কলমি শাক দিয়ে দিব। পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে সিদ্ধ করতে থাকবো।
ছয় থেকে সাত মিনিট সময় নিয়ে সুন্দরভাবে কলমি শাক সিদ্ধ করে নিব। শাক সিদ্ধ করা হয়ে গেলে আলাদা একটি পাত্রে উঠিয়ে নিব। এরপর শাকের মধ্যে থাকা অতিরিক্ত পানি আলাদা করে নিব।
এখন কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিব। তেল গরম হয়ে আসলে এর মধ্যে দিয়ে দিব পেঁয়াজ কুচি। তারপর পরিমাণ মতো রসুন দিয়ে দিব। এবং সর্বশেষে ফালি করে কেটে রাখা কাঁচা মরিচ দিয়ে দিব।
সবগুলো উপকরণ সুন্দরভাবে তেলের মধ্যে ভেজে নিব। পেঁয়াজ,রসুন ও মরিচ ভালো করে ভেজে নিলে শাক ভাজি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
পেঁয়াজ, মরিচ ও রসুন ভালো করে ভাজা হয়ে গেলে এর মধ্যে দিয়ে দিব সিদ্ধ করে রাখা কলমি শাক।
এখন কলমি শাক ছয় থেকে সাত মিনিট সময় নিয়ে সুন্দরভাবে ভেজে নিব। শাকের মধ্যে থেকে সম্পূর্ণ পানি শুকিয়ে আসলে চুলাটি অফ করে দিব।
এখন অন্য একটি পাত্রে শাক তুলে সুন্দরভাবে পরিবেশন করে নিব।
আমার শেয়ার করা আজকের কলমি শাক ভাজি রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা মন্তব্যে অবশ্যই জানাবেন।আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আগামীতে হাজির হবো নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | OPPO A15s |
---|---|
শ্রেণী | রেসিপি পোস্ট |
ফটোগ্রাফার | @jerin-tasnim |
লোকেশন | কুষ্টিয়া,বাংলাদেশ |
শাক রান্নার কালার দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি ঠিক বলছেন আপু যখন কোন রেসিপি রান্না করি তখন সবাই মজা করে খেলে বেশ ভালো লাগে। আপনি বেশ মজার করে কলমি শাক রান্না করলেন। রেসিপি কালার দেখে বেশ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ খুব সুস্বাদুভাবে কলমি শাক রান্না করলেন এবং সেই রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।
প্রশংসা মূলক মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ, আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা ঠিক বলেছেন আপু কেউ যদি প্রশংসা করে তাহলে কোন কষ্টই আর মনে থাকে না। তবে কলমি শাক ভাজি খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে এই খাবারগুলো একেবারে জমে যায়। আপু আপনি এত সুন্দর করে এই রেসিপি তৈরির পদ্ধতিতে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।
গরম ভাতের সঙ্গে এই শাক ভাজি খেতে সত্যি অনেক মজাদার হয়। আপনার মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কলমি শাকের অনেক সুন্দর রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার সুন্দর এই রেসিপি দেখে আমার ভালো লাগলো। কলমি শাখ আমারও খুব ভালো লাগে। মাঝেমধ্যে এ জাতীয় শাকগুলো আমাদের সবাইকে খাওয়া প্রয়োজন।
কলমি শাকের এই রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম।
কলমি শাক খুবই পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ একটি শাক এটা এখন আগের মতো আর যেখানে সেখানে পাওয়া যায়না খুবই রেয়ার হয়ে গিয়েছে যেমন খেতে তেমন পুষ্টিকর। খুব ভালো লাগলো রেসিপি টা।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য।
গঠনমূলক মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
তেল এবং পেঁয়াজ বেশি করে দিয়ে শাক ভাজি করে খেতে ভীষণ মজাদার লাগে। কলমি শাক ভাজি রেসিপি চমৎকার ভাবে পরিবেশন করেছেন। এধরনের খাবার গুলো গরম ভাতের সাথে খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
ঠিকই বলেছেন, তেল এবং পেঁয়াজ বেশি করে দিয়ে শাক ভাজি করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়।
শাক আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর গরম গরম ভাতের সাথে শাক ভাজি খাওয়ার মজাই আলাদা। কলমি শাক ভাজি খেতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। তবে কাঁচা মরিচের চেয়ে শুকনো মরিচ ব্যবহার করলে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনিও কলমি শাক খেতে পছন্দ করেন জেনে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
কমলিশাক আমার এমনিতেই অনেক পছন্দের একটা শাক। আর আপনি যেভাবে আমাদের মাঝে পরিবেশন করে শেয়ার করলেন এটা দেখে আমার লোভ আটকে রাখা খুবই কষ্টকর ছিল, হিহিহি। যাই হোক আপনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ এতো সুন্দর কমলিশাক রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার শেয়ার করা কলমি শাক ভাজি রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম।
একদম ঠিক বলেছেন আপু যে কোন খাবার রান্নার পর পরিবারের সবাই যদি খুব মজা করে খায় তাহলে রান্নাটা সার্থক মনে হয়। তখন আর কষ্টটা গায়ে লাগেনা। যাই হোক আপনার আজকের কলমি শাকের রেসিপি দেখে বেশ মজাদার মনে হচ্ছে। অনেকদিন হলো কলমি শাক খাওয়া হয় না। খুব সুন্দর করে পরিবেশন করেছেন। দেখতে ভালো লাগছে।
রান্নার প্রশংসা করলে রান্না করার প্রতি আরো উৎসাহ সৃষ্টি হয়। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
অবশ্যই আপু আপনি ঠিক বলেছেন কলমি শাক ভাজি আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। ঢাকা শহরে আসার পরে অবশ্য এসব শাখা খাওয়া হয়না তবে গ্রামের বাড়িতে গেলে বেশ খাওয়া হয়। কলমি শাকের দারুন একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
কলমি শাকের রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক আনন্দিত হলাম।