গল্প :- যেখানে সেখানে বন্ধুত্ব করতে নেই। (শেষ পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
এরপর সাইফুল তার কথা বিশ্বাস করল। এদিকে লোকটি তার এক বন্ধুকে ফোন করে বলল আমার এক বন্ধু বিদেশ থেকে আসতেছে তার জন্য একটি সিএনজি ঠিক করে রাখো। এই বলে লোকটি সাইফুলের সামনে মোবাইলে কল করলেন। তারপর যখন ফেনীতে আসলো সাইফুল গাড়ি থেকে নেমে তার জিনিসপত্রগুলো গাড়ির কাউন্টারের সামনে রাখলেন। এরপর সাইফুল যে লোকটির সাথে বন্ধুত্ব করলেন ওই লোকটি বলতেছে আমার পরিচিত ড্রাইভার আছে সেই আপনাকে বাড়িতে নিয়ে যাবে। এই বলে লোকটি সাইফুলকে বলতেছে দুপুরে খাওয়া দাওয়া তো আপনি হোটেলে আমাকে খাওয়ালেন। এবার আমি আপনাকে কিছু খাওয়ায়। সাইফুল প্রথমে রাজি হলেন না বলতেছে আমি খাওয়াবো আপনাকে খাওয়া দাওয়া।
প্রতারক লোকটি রিকোয়েস্টের কারণে সাইফুল রাজি হলেন সেই বন্ধুটি কিছু খাওয়ালে সেই খাবেন। এরপর লোকটি পকেট থেকে সাইফুলকে সিগারেট বাহির করে দিলেন। এবং বলতেছে সাইফুল ভাই আমরা কফি খাব। এরপর সাইফুল ওই লোকটির সিগারেটটি পান করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সাইফুল অজ্ঞান হয়ে পরল। এবং ওই লোকটি সাইফুলের বিদেশের সব সামান এবং শরীরের কাপড় চোপড় সব নিয়ে গেল। এবং রাস্তার পাশে সাইফুলকে একটি পুরানো ড্রেস গায়ে দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখলেন। এবং তার সব জিনিসপত্র নিয়ে গেলেন। বিকেল বেলা এক রিক্সার ড্রাইভার দেখলো লোকটি রাস্তার পাশে শুয়ে রইল। এবং রাত বারোটার সময়ও ওই রিক্সার ড্রাইভার লোকটি দেখতেছে এই লোকটি রাস্তার পাশে শুয়ে রইলো একই অবস্থা।
তখন রিক্সাওয়ালা আরো কয়জন লোককে ডেকে বলতেছে এই লোককে আমি বিকেল বেলায় এভাবে পড়ে থাকতে দেখলাম। এখনো দেখতেছি লোকটি এভাবে পড়ে আছে। আমার মনে হয় লোকটিকে মলম পার্টি কিছু করেছে। এরপর ফেনী কিছু লোক তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার বলতেছে তাকে মলম পার্টি কিছু খাওয়ালেন এই কারণে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। যদিও ওই সময় সাইফুলের কোন হোস বা স্মৃতি কিছুই ছিল না। তারপর ডাক্তার ওখানে চিকিৎসা করানোর পর সাইফুলের জ্ঞান ফিরলো। তখন সাইফুলকে জিজ্ঞেস করতেছে আপনার নাম কি আপনি কোথায় থেকে আসলেন।
তখন সাইফুল হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো আমি বিদেশ থেকে আসলাম আমার সামান জিনিসপত্র কোথায়। এবং আমার পাসপোর্ট ভিসা এগুলো কোথায়। তখন ডাক্তার বুঝতে পারল মলম পার্টির তার সবকিছু নিয়ে গেল। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করল আপনার বাড়ির নাম্বার মুখস্ত আছে কিনা। তারপর সাইফুল বলতেছে তার বাড়ির নাম্বার মুখস্ত আছে। এরপর বাড়িতে কল করার পর তার ওয়াইফ শুনল সাইফুলের কথা। যদিও সাইফুলের ওয়াইফ প্রথমে বিশ্বাস করে নাই সেই বলতেছে তার হাসবেন্ড বিদেশ। তারপর যখন সাইফুলের সাথে কথা বলল তখন বুঝলো সাইফুল বাংলাদেশ আসলো।
এরপর সাইফুলের ওয়াইফ ও শ্বশুর গেল ফেনী হাসপাতালে। তারপর ওখান থেকে সাইফুলকে নিয়ে আসলো বাড়িতে। আসলে সাইফুল এমন সারপ্রাইজ দিল তার ওয়াইফকে সে নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে গেলেন। এবং সাইফুল অনেক কান্নাকাটি করলো কারণ তার বিদেশের পাসপোর্ট টিকেট সব প্রতারক নিয়ে গেলেন। এই কারণে যেখানে সেখানে কারো সাথে বন্ধুত্ব করতে নেই। বিগত ২-৩ দিন আগে আমি সাইফুল দের এলাকা গেলাম তখন সাইফুলের সাথে আমার কথা হল। তখন সাইফুল নিজের মুখ থেকে আমাকে এই কথাগুলো বলল। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম অচিন লোকের সিগারেট কেন খেলেন।
তখন সাইফুল বলতেছে আমি তার সাথে কথা বলতে বলতে সেই বলতেছে আমাদের সবাইকে চেনে আমাদের বাড়ি কোথায় সব জানে। এবং ঢাকা থেকে সে আমার সাথে একসাথে বসে কথা বলতে বলতে ফেনী পর্যন্ত আসলো। কুমিল্লা হোটেলে আমি তাকে খাওয়া-দাওয়া করালাম। অথচ এই লোকটি প্রতারক আমি একটু বুঝতে পারলাম না। এ বলে সাইফুল আমার সামনে কাঁদতে লাগলেন। কারণ তার পাসপোর্ট এবং টিকেট না পেলে সেই হয়তোবা আর বিদেশ যেতে পারবেনা। তাই আমি বলব যেখানে সেখানে কারো সাথে বন্ধুত্ব করা ঠিক না। আশা করি আমার বাস্তব গল্পটি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
সাইফুল ভাইয়ের এই পরিণতির কথা শুনে সত্যি অনেক খারাপ লাগছে। আসলে কখন আমরা কি বিপদে পড়ি বোঝা যায় না। বিপদে পড়লে আসলে মানুষ চেনা যায়।
https://x.com/Jamal7183151345/status/1834122707585192347?t=3pJejtIK2xRDiLU2OhSeLg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঠিক বলেছেন ভাইয়া যেইখানে বন্ধুত্ব করতে নেই।তাহলে খুব বড় কোনো বিপদ আমাদের জীবনে আসতে পারে। যেমন সাইফুরের সাথে ঘটেছিল।এটা থেকে আমাদের সকলের শিক্ষা নেওয়া উচিত।বেশ সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন ভাইয়া।আপনার লেখা গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু যেখানে সেখানে বন্ধুত্ব করতে নেই। কারণ কার মনে কি আছে বোঝা যায় না। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে।
দারুন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আপনি আলোচনা করেছেন ভাইয়া। হ্যাঁ যেকোনো জায়গায় বন্ধুত্ব করাটা ঠিক নয়। বর্তমান সময়ে মানুষের বিশ্বাস করাটা বেশ কঠিন। বন্ধুত্ব করলে যে কোন মুহূর্তে উল্টা বিপদে পড়তে হয়। আর তারই বাস্তবতা রয়েছে এখানে। যাইহোক অনেক সুন্দরভাবে একটা বিষয় তুলে ধরেছেন আপনি। ভালো লেগেছে আপনার এই রাইটিং পড়ে।
হ্যাঁ ভাইয়া ঠিক বলেছেন যে কোন জায়গা বন্ধুত্ব করা ঠিক না। সবাই বন্ধুত্বের মর্ম বোঝেনা। অসাধারণ মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বর্তমানে ভাই এই মলম পার্টিদের বাহানার কোন শেষ নেই। তাই আমাদের অবশ্য সচেতন হতে হবে। সাথে সেখানে বন্ধুত্ব তৈরি করা যাবে না। সাইফুল ভাই যদি সেই লোকটির কাছ থেকে সিগারেট বা কফি না খেতে তাহলেই দুর্দশা হয়তো হতো না। যাইহোক এটা ভাগ্যের কারণেও হতে পারে। সত্যি এটা খুবই দুঃখজনক। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে অবশ্যই তাকে সান্ত্বনা দিতে হবে। এই কঠিন অবস্থায় তাকে ভেঙে পড়লে চলবে না আবার উঠে দাঁড়াতে হবে।
আসলে সাইফুল ভাই বুঝে নাই লোকটি খারাপ। তার কথার ফাঁদে সেই পা দিয়েছে। আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এরকম অনেক মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়ত মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায়। আর তাদেরকে দেখলে বোঝা যায় না আসলে তারা কি রকম। এরকম ভাবে কারো সাথে বন্ধুত্ব করে নেওয়া আসলে একেবারে উচিত নয়। সাইফুলকে লোকটা এরকম ভাবে ঠকিয়েছে, এটা ভাবতেই অনেক খারাপ লাগছে। এই বিষয়টা সত্যি অনেক বেশি দুঃখজনক ছিল। অনেক সুন্দর করে আপনি এটা আমাদের মাঝে লিখে শেয়ার করে নিয়েছেন। দেখেই খুব ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ আপু এই কথাটি যেই শুনে সেই দুঃখ প্রকাশ করে সাইফুলের জন্য। ভালো লাগলো আপনার অসাধারণ মন্তব্য শুনে।
আসলে সাইফুল ভাইয়ের কথাটি শুনে বেশ খারাপ লাগলো। লোকটি বিদেশ থেকে তার ওয়াইফকে সারপ্রাইজ দিতে এসে নিজে বিপদে পড়ে গেলেন। আর সব জায়গাতে সব মানুষকে বিশ্বাস করতে নেই। সাইফুল ভাই হয়তোবা এই লোককে বিশ্বাস করেছে আর সেই সুবাদে লোকটি সাইফুল ভাইয়ের সাথে চালাকি করে তার সবকিছু নিয়ে গেল অজ্ঞান করে। তবে এটি শুনে বেশি খারাপ লাগলো তার পাসপোর্ট এবং টিকেট সব নিয়ে গেল। এবং গল্পের শেষ পর্বটি পড়ে অনেক কিছু বুঝতে পারলাম।
আসলে বউকে সারপ্রাইজ দিতে এসে সে নিজে সারপ্রাইজ হয়ে গেলেন। আর মানুষ দেখে বন্ধুত্ব করা দরকার। ভালো লাগলো সুন্দর মন্তব্য শুনে।
আসলে ভালো বন্ধু জীবনের খুব প্রয়োজন। একজন ভালো বন্ধু জীবনকে আলোর দিকে নিয়ে যেতে পারে আবার একজন খারাপ বন্ধু জীবনকে অন্ধকারের দিকে ধাবিত করতে পারে। আপনি ঠিক বলছেন ভাই, যেখানে সেখানে বন্ধুত্ব করতে নেই। বন্ধুত্ব করতে হলে যাচাই বাছাই করে বন্ধুত্ব করা প্রয়োজন। খারাপ মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করলে জীবন ধ্বংস হয়ে যায়। আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আসলে ভাইয়া মানুষ দেখলে বুঝা যায় না কে ভালো কে খারাপ। আর বন্ধুত্ব করতে হলে চিন্তা ভাবনা করে করা দরকার। ভালো থাকবেন ভাই।
বর্তমান সময়ে এমন ঘটনা প্রায় ঘরে থাকে। তাই আমি মনে করি এ সমস্ত বিষয়গুলো শেয়ার করা প্রয়োজন এভাবে। কারণ এভাবে অনেকেই এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে ধারণা পায় এবং আপনজনদের মাঝে গল্প করে সজাগ করতে পারে। সত্যি ঘটনাটা খুবই খারাপ লেগেছে। বিষয়টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার পোস্টটি পড়ে আপনি সত্যিই খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন। আসলে এরকম ঘটনা শুনলে নিজের কাছেও খারাপ লাগে।