গল্প :-পরকীয়া প্রেমের কারণে ছেলেমেয়ের জীবন নষ্ট।(শেষ পর্ব)
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
এরপর সুমি মোটামুটি ঠিক হল তার হাজবেন্ডের কথা শুনে। দেখতে দেখতে আরো কয়েক বছর সময় সংসার জীবন গেল। তারপর সুমির ঘরে আরেকটি ছেলে সন্তান হল। সুমির প্রথম সন্তান মেয়ে এবং পরের সন্তান ছেলে। এরপর সুমি এবং সুমির হাজব্যান্ড চিন্তা করলো তাদের ছেলের সন্তানের ভবিষ্যতের কারণে তার হাসবেন্ডকে বিদেশ যেতে হবে। যদিও সে তার এলাকা ব্যবসা করে। এরপর সুমির হাজব্যান্ড বিদেশ ওমান চলে গেল। শুধুমাত্র ফ্যামিলির কথা চিন্তা করে।
দেখতে দেখতে সুমির সংসারে জীবন আরও এক বছর গেল। যখন সুমির মেয়ের চার বছর এবং ছেলের বয়স দুই বছর। ওই সময় সুমি আবার নতুন করে একটি ছেলের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক হয়ে গেল। যদিও ওই সময় সুমি পরকীয়া ছেলেটির সাথে কথা বলতেছে। এই কারণে তখন সুমি আস্তে আস্তে তার স্বামীর দূর সম্পর্কে ভাতিজার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক আসক্ত হয়েছে। এবং কথাটি সুমির হাসবেন্ড শুনেছে। এরপর সুমিকে তার হাজবেন্ড বোঝানো অনেক চেষ্টা করেছে। যদিও সুমি এই ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন। তারপর যখন সুমির হাসবেন্ড বিদেশ থেকে আসবে দিন তারিখ ঠিক হয়েছে।
তখন সুমির স্বামীর দূর সম্পর্কের ভাতিজার সাথে পালিয়ে গেলেন দুই ছেলে মেয়ে রেখে। যদিও এই নিয়ে সুমির স্বামীর পরিবারের কোন মাথা ব্যাথা ছিল না। কারণ সুমিকে প্রেম করে তাদের ছেলে বিয়ে করেছে। এবং তাদের ছেলের ওয়াইফ ভালো না। তার চরিত্র প্রথম থেকে খারাপ কথাটি বলতেছে তুমি হাজবেন্ডের পরিবার। এবং কিছুদিনের মধ্যে সুমির হাসবেন্ড ও দেশে আসলো। এবং তার ওয়াইফ সুমিকে নিয়ে আর কোন কথাই বলল না কারো সাথে। এবং সুমির হাসবেন্ড নতুন করে বিয়ে করলেন।
এদিকে সুমির বাবা ও ভাই বলেছে সুমিকে আর তারা পরিচয় দেবে না। কখনো সুমি তার বাবার বাড়িতে আসতে পারবে না। এবং সুমির বাবার বাড়ি ও বন্ধ হয়ে গেল। বর্তমানে সুমি তার নতুন স্বামীর বাড়িতেও সুখী নেই। এবং ওখানে তার একটি ছেলে সন্তান হয়েছে। এবং ওই বাড়িতে সেই বড় কোন কথা বলতে পারে না। কারণ বিয়ের পরে পরকীয়া করে দুই সন্তান রেখে অন্য ছেলের কাছে বিয়ে বসলেন। আসলে অতিরিক্ত কিছু করা একদম ভালো লাগে। আর সুমির পরকীয়ার কারণে তার ছেলের সন্তান এবং মা-বাবার মুখটি ছোট হয়ে গেল।
এবং বাড়িতে সুমির মা-বাবাকে অনেকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে। বলে একমাত্র মেয়েকে আদর করে করে নষ্ট করে ফেলেছে। এরকম মেয়ে সন্তান যেন আরো ফ্যামিলিতে না আসে। এবং সুমির মাকে বলে এমন মেয়ে জন্ম দেওয়ার চেয়ে না দেওয়াই ভালো। যে মেয়ে মা বাবা এবং স্বামীর মান ইজ্জতের কথা চিন্তা করে না এরকম মেয়ে না থাকাই উত্তম। যদিও সুমির মা সব সময় সুমির ছেলে মেয়ে দুটির কথা বলে আফসোস করে। আপন মা নেই সৎ মা তাদের দেখাশোনা করবে নাকি। আর সুমি তার ছেলে মেয়ের কথা একদম চিন্তা করলো না।বর্তমান সময়ে সুমির মত অনেকেই তাদের জীবন অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছেন । এই হচ্ছে বাস্তব একটি গল্প।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1785947313833431165?t=WGDodbciF5HsXnxAmc1utw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পরকীয়া আসলে ভাইয়া বর্তমান সমাজে একটি ভাইরাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ধরনের ঘটনা আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে ভাইয়া। যে যেমন করবে সে সেরকম কর্মই পাবে ।এ ধরনের মেয়েরা কখনো সুখী হতে পারে না। আমাদের এখানে এরকম ঘটনা ঘটেছিল। তবে তার অনেক টাকা হয়েছে। কিন্তু সেই মহিলাটিও সুস্থ বা সুখে নেই। তার আগের ঘরেও একটি ছেলে ছিল। হয়তো ছেলের মনের কষ্টে তার এই অবস্থা। আর এই ধরনের ঘটনাগুলো আমাদের সবার যেনে রাখা ভালো। আর এ থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া এই ধরনের ঘটনাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন এধরনের মেয়েরা কখনো সুখী হতে পারে না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে ভাইয়া এই পরকীয়ার জন্য মানুষের সুখের সংসার ভেঙে একাকার। সুমির এমন কাজ করা মোটেও উচিত হয়নি। আর সুমির স্বামী অনেক ভাল কাজ করেছে আরেকটা বিয়ে করে। আর এমন পরকীয়ার জন্য অনেক সংসার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বর্তমানে সুমি একদম সুখী নেই। আর সুমির আগের হাজবেন্ড সুখে আছে এখন। তবে আপনার মত শুনে অনেক ভালো লাগলো।
এইধরনের মেয়েরা কখনোই জীবনে সুখী হতে পারে না। এই ধরনের কাজ যারা করে তারাও সুখী হতে পারে না। একবার ঐ ছেলে মেয়ে গুলোর কথা ভাবেন। এদের নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে বতর্মানে এই পরকীয়া ভয়ংকর একটা রুপ ধারণ করেছে আমাদের সমাজে।
এটি একদম ঠিক বলেছে এ ধরনের মেয়েরা কখনো জীবনের সুখী হতে পারেনা। অনেক সুন্দর করে আপনি মন্তব্য করেছেন।
আমাদের সমাজে এমন কিছু কিছু পুরুষ লোভী নারী আছে যাদের কারণে হাজার হাজার সংসারে অশান্তি হয়ে যায়। যেহেতু সেই পছন্দ করে তার স্বামীকে বিয়ে করেছে। এর ভিতরে সেই অনেক জনের সাথে পরকিয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে গেল। দুটি সন্তানের কথা চিন্তা না করে সে আবার অন্য একটি ছেলের সাথে পালিয়ে গেল। এই ধরনের গাঢ় বাঁকা নারী গুলো কখনো সোজা হয় না। তারা সারা জীবনে এরকম থাকবে আশা করি। সে কখনো সুখী হবে না সেটা হচ্ছে কথা।
আসলে সুমি ভালবাসার মূল্য দিতে জানে নাই। ভালোবাসার মানুষকে রেখে অন্য ছেলের সাথে চলে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এরকম ঘটনা সবসময়ই ঘটে যাচ্ছে৷ এর ফলে অনেক সংসার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ এখানে এই মেয়েটি পছন্দ করে তার স্বামীকে বিয়ে করেছে৷ তারপরেও সে আরো অন্যান্য ছেলেদের সাথে পরকীয়া করতো। সে তার দুই সন্তানের কথা না ভেবেই অন্য একজনের সাথে পালিয়ে গেল শুনে খুবই খারাপ লাগছে৷ আসলে এরকম মানুষ কখনোই ঠিক হওয়ার নয়৷ তারা সারা জীবন এরকম থেকে যায়৷
আমার পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।