গল্প:- সম্পত্তির জন্য ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দ্ব।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি,
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি বাস্তব গল্প শেয়ার করব। আশা করবো গল্পটি আপনাদের ভালো লাগবে। আমাদের চারপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার অনেক বিষয় রয়েছে। এজন্য এই সকল বিষয়গুলো আপনাদের শেয়ার করলে আপনারাও অনেক কিছু শিখতে পারবেন। এমনকি অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে অবগত হবেন। এইজন্য আমি চেষ্টা করি বিভিন্ন বিষয়গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। এখন মানুষের আসলে ভরসা নেই। একেকজন একেক ধরনের, এবং একেক জন একেক ধরনের মানসিকতার।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সম্পত্তির কারণে ভাই ভাই দ্বন্দ্ব। আমাদের বাড়ির পাশে একটি ফ্যামিলির দুটি ভাই আছে। বলতে গেলে এই ভাই দুটো এখন অনেক বয়স্ক। তাদের বাবা থাকা অবস্থায় তাদের অনেক সম্পত্তি ছিল। ছোট ভাই বলে বড় ভাই তার সম্পত্তিগুলো ঠিকমতো বুঝিয়ে দেয় নাই। আর বড় ভাই বলে ছোট ভাই তার সম্পত্তি মেরে দিয়েছে। বলতে গেলে তারা দুইজন দুইজনকে দোষারোপ করে। এই নিয়ে বিগত দুই ভাই ২৫ বছর কথা বলে না। এবং কোন অনুষ্ঠানে এক ভাই অন্য ভাইয়ের দাওয়াতে যায় না।
এই ভাই দুটির নাম হচ্ছে কাসেম এবং রফিক। এবং ভাই দুইজনের ওয়াইফ একজনের সাথে একজন কথা বলে না। এবং দোকানে এক ভাইকে দেখলে এক ভাই কথা বলে না এবং নাস্তাও কাউকে কেউ খেতে বলে না। তবে শুধু পিছনে একজনের বদনামি একজন করে থাকে। যদিও তাদের সম্প্রতি এখনো অনেক। কিছুদিন আগে বড় ভাই কাসেম মিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এবং কাসেম মিয়া অসুস্থ হওয়ার পর ছোট ভাইকে খবর দিল সে দেখতে আসে নাই।
তবে রফিক মিয়া বলে সে আমার সম্পত্তি দেয় নাই আল্লাহ তাকে আরো কত কষ্ট দেবে। এবং বাড়ি ও এলাকার অনেক লোক বলেছে বড় ভাই অসুস্থ তাকে দেখার জন্য যেতে। কিন্তু ছোট ভাই রফিক মিয়া দেখতে যাইনি। শুনেছি অনেক বছর আগে দুই ভাইয়ে অনেক ঝগড়া করেছে সম্পত্তি নেই। তবে বড় ভাই যখন কাশেম মিয়া কে বড় হাসপাতাল নিয়ে গেল। ছোট ভাই রফিক মিয়ার একটুও মায়া হয় নাই বড় ভাইকে দেখার জন্য। যদিও দুই ভাইয়ের ছেলে-মেয়েগুলো চাচাতো ভাই জেঠাতো ভাই এরা কথা বলে।
কিছুদিন আগে কাসেম মিয়া হাসপাতালে মারা গেলেন। তবে সে অনেকবার বলেছে ছোট ভাইকে তার সাথে দেখা করার জন্য। কি যেন কথা বলবে ছোট ভাইয়ের সাথে। এবং হাসপাতাল থেকে বড় ভাই ছোট ভাইকে মোবাইলে কল দিলেন। কিন্তু রফিক মিয়া মোবাইলের কল রিসিভ করলেন না। যখন বড় ভাই মারা গেল তখন ছোট ভাই বড় ভাইয়ের জন্য অনেক কান্নাকাটি করতে লাগলো। অথচ সম্পত্তির কারণে তারা দুই ভাই বিগত ২৫ বছর পর্যন্ত কথা বলে নাই। এবং একজনের ছায়া একজনে কখনো স্পর্শ করেনি।
সম্পত্তির লোভ এতই খারাপ আপন রক্তের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে দেই। যদিও অনেকে এখানে বলে তার বাবা থাকা অবস্থায় সম্পত্তিগুলো তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার ছিল। আর বড় ভাই যখন বড় তাই সেই সম্পত্তিগুলো সঠিকভাবে বন্টন করার দরকার ছিল। এই নিয়ে তাদের অনেক বছর ঝগড়া ছিল দুই ভাইয়ের। আসলে মৃত্যুর সময় আপন ভাই ছোট ভাইকে দেখার ইচ্ছা করলো সে সুভাগ্য হয়নি। প্রায় সম্পত্তির কারণে অনেক সময় আপন মানুষগুলো দূরে চলে যায়। এই হচ্ছে বাস্তব একটি ঘটনা। সম্পত্তির কারণে রক্তের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।
আমার পরিচয়
আমার নাম মোঃ জামাল উদ্দিন। আর আমার ইউজার নাম @jamal7। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। প্রথমত বাঙালি হিসেবে আমি নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। তার সাথে ফটোগ্রাফি করা আমার অনেক শখ। আমি যে কোন কিছুর সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করি। তার সাথে ভ্রমণ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে। তার সাথে লেখালেখি করতে ও ভীষণ ভালো লাগে। যে কোন বিষয় নিয়ে কিংবা যে কোন গল্প লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর সব সময় নতুন কিছু করার চেষ্টা। নতুন ধরনের কিছু দেখলে করার চেষ্টা করি।
অধিকাংশ জায়গায় ভালো সম্পর্কগুলি সহজেই খারাপে রূপ নেয় এই সম্পত্তির কারনে।যখন বড় ভাই দেখা করার জন্য ছোট ভাইকে বলেছেন তখন তার যাওয়া উচিত ছিল শেষ সময়ে তার সঙ্গে দেখা করার।এমন তো হয়েই থাকে বড় ভাই তার ভুল বুঝতে পেরেছেন।কিন্তু ছোট ভাই নিজের জেদের ফলে ও একটি ভুল করে ফেলেছেন আমার দৃষ্টিতে।যাইহোক সম্পত্তির লোভ মানুষের মনমানসিকতাকে শেষ করে দেয়।ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পোস্ট পড়ে আপনি খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভাইয়া সম্পত্তি নিয়ে আপন জনের সাথে বেশি লেগে থাকে।আসলে সবার উচিত বাবার সম্পত্তি গুলো ভাই বোন সকলের মধ্যে সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়ার জন্য। তবে এই দায়িত্ব থাকে বিশেষ করে বড়দের। তবে ছোট ভাইয়ের অবশ্যই হসপিটালে যাওয়া উচিত ছিল। মৃত্যুর পরে আর কান্না করে কি লাভ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু ছোট ভাই বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর কান্নাকাটি করে কোন লাভ নেই। আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।
এমন ঘটনাগুলো আমাদের সমাজের প্রায় চোখে পড়ে। কিন্তু মানুষের এটা বোঝেনা দুনিয়াটা তো কয়দিনের। এই সীমিত সময়ের মধ্যে কেন ভাই ভাই দ্বন্দ্ব করবে সামান্য জমি জায়গা নিয়ে। আসলে মানুষের বিবেকটাই বড় আদালত। আশা করি এই জাতীয় পোস্টগুলো মানুষের জন্য খুব উপকারে আসবে এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি হবে।
দুনিয়ার কয়দিনের তারপরও কেউ সম্পত্তির লোভ ছাড়ে না ভাই। আপন মানুষের সম্পত্তি পর্যন্ত মেরে দেয়। আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।
সম্পত্তি আসলে খুব খারাপ জিনিস।এই সম্পত্তির জন্য আপন ভাই-বোনদের মাঝে সম্পর্কে ফাটল ধরে।যেমনটা ধরেছিল কাসেম আর রফিকের মাঝে।বড় ভাই মত্যুর আগে ছোট ভাই কে কল দিল,দেখতে চাইলো। অথচ তিনি কিছুই করেননি।মানুষ যদি দিনে একবারও মৃত্যুর কথা চিন্তা করতো তবে এমনটা করতো না।খুবই খারপ লাগলো শুনে বড় ভাই না ফেরার দেশল চলে গেছে বলে।এমন সব ঘটনা আজকাল ঘরে ঘরে শোনা যায়।
হ্যাঁ আপু কথাটি একদম ঠিক বলেছেন সম্পত্তির কারণে আপন ভাইবোনের সম্পর্ক ফাটল ধরে। তবে আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো
https://twitter.com/Jamal7183151345/status/1792553003142320590?t=Y_Jk2noBFZ5vBWtOpNf17w&s=19
কাসেম এবং রফিক দুজনে ভাই ও তাদের মাঝে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে আর তাদের স্ত্রীরাও একে অপরের সাথে কথা বলে না এই বিষয়টি শুনে আরো খারাপ লাগলো ভাইয়া। অনেক সময় সম্পত্তি মানুষের সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। শেষ পর্যন্ত অনেকে মৃত্যুর দিকে চলে যায়। এরকম চিত্র আমরা সব সময় দেখি।
তবে কাশেম এবং রফিক মিয়া ছেলেমেয়েরা একজনের সাথে একজন কথা বলে। আপনার সুন্দর মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
বাপরে বাপ সম্পত্তির জন্য দুই ভাই ২৫ বছর কথা বলে নাই। কাশেম এবং রফিক মিয়া বলতে গেলেও খুব জেদি লোক। তবে সব চেয়ে খারাপ লাগলো বড় ভাই হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ছোট ভাইকে কল দেওয়ার পরও সেই কল ধরে নাই। আসলে কিছু কিছু রক্তের বাঁধন ছিন্ন হয় সম্পত্তির কারণে। যাই হোক বাস্তব একটি ঘটনা পোস্ট করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ এরা দুই ভাই খুব জেদি লোক ছিল। সম্পত্তির কারণে তারা অনেক বছর কথা বলে নাই। আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।
সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে দুই ভাই ২৫ বছর কথা বলে না! এটা তো খুবই কষ্টের বিষয় ভাই। আসলে আপনার লেখা এই পোস্টটা পড়ে অনেকটাই কষ্ট লাগলো। শুধুমাত্র সম্পত্তির লোভের কারণে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর সময়, ছোট ভাই জেদ এর বশবর্তী হয়ে তার পাশে পর্যন্ত থাকলো না। এমনকি তার সাথে কথাও বলল না, তার মৃত্যুর আগে। এরকম ঘটনা তো আজকাল শোনাই যায় না।
হ্যাঁ ভাই এরকম ঘটনা আমাদের এখানে ঘটলো। সম্পত্তির কারণে মৃত্যুর সময় ভাইয়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় নাই ছোট ভাই। আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।
সম্পত্তির কারণে ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের দ্বন্দ্ব এখন হরহামেশাই দেখা যায়। তাইতো বাবাদের উচিত জীবিত থাকা অবস্থায় সব সম্পত্তি সন্তানদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া। যাইহোক রফিক মিয়ার উচিত ছিলো বড় ভাই কাশেমকে দেখতে যাওয়া। মারা যাওয়ার পর তো কান্না করে কোনো লাভ নেই। অসুস্থ থাকা অবস্থায় যদি দেখতে যেতো, তাহলে হয়তোবা একে অপরকে মাফ করে দিতো। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।