হঠাৎ কারফিউ তে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কমবেশি সবাই অবগত রয়েছেন। গতকালও প্রায় প্রত্যেকটা জেলাতেই বেশ হামলা হয়েছে। গতকালের অনেক মানুষ মারা গিয়েছে এবং অনেকেই আহত হয়েছে। যদিও এগুলোর সংখ্যা এখনো সঠিকভাবে বলা হয়নি তবে নিহত সংখ্যা প্রায় ১০০ এর কাছাকাছি। প্রত্যেকটা নিউজ সত্যিই অনেক বেশি খারাপ লাগছে। আর আজকে যেই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে সেটাতে না জানি কি হয়। রাত থেকেই টেনশন হচ্ছে। যাইহোক আজকে পোষ্টের মূল কথায় আসা যাক।
এই আন্দোলনের কারণে কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গতকাল রাত দশটার দিকে হঠাৎ আব্বুর ফোনে একটা কল আসলো। আব্বুর এক ফ্রেন্ড কল দিয়েছে। উনি সন্ধ্যার দিকে বাংলাদেশে ল্যান্ড করেছে। ইন্ডিয়াতে গিয়েছিল চিকিৎসার জন্য। তবে বাংলাদেশে যখন এসেছে তখন এখানে কারফিউ চলছে। আর এমনি তো প্রত্যেকটা রাস্তাতেই জ্যাম ছিল ঝামেলা হচ্ছিল। উনার বাসা হচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুরে। আর আমাদের বাসা গাজীপুরের জয়দেবপুরে। উনি সিএনজি দিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুরের চৌরাস্তা পর্যন্ত এসেছে। সেখান থেকে মাওনা চৌরাস্তা যেতে আরো দেড় ঘন্টা লাগবে। তবে রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় গন্ডগোল হচ্ছিল যার কারণে সিএনজির ড্রাইভার আর যাইনি। আর উনিও চৌরাস্তা পর্যন্ত এসে গাড়ি পাচ্ছিল না। পরে আব্বুকে জানালে আব্বু বলে যে আমাদের এদিকে আসতে। গাজীপুরের সবচেয়ে বেশি ঝামেলা হয় আমাদের এদিকে, গাজীপুরের জয়দেবপুরে। তবে ভেতরের একটা রাস্তা দিয়ে আসা যায়।
তবে ১০ মিনিটের রাস্তায় প্রায় এক ঘন্টা লেগেছে আসতে। প্রায় রাত সাড়ে বারোটায় উনি আমাদের বাসায় এসেছে। রাতটুকু থেকে খাওয়া দাওয়া করে সকালে বের হলো। এখনো জানিনা উনি কতটুকু যেতে পারবে। যেহেতু ইন্ডিয়া থেকে এসেছে তাই যাওয়ার সময় আমাদের জন্য কয়েকটা চকলেট দিয়েছে। গতকালকের এই ঘটনা দেখে বারবার মনে হচ্ছিল যাদের এরকম কোন আত্মীয়-স্বজন নেই কাছাকাছি তারা কি করছে। আজকে দেশের পরিস্থিতি আরো অনেক খারাপ। জানিনা কি হবে। তবে দোয়া করি যেন সবকিছু ভালো হয়।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে সময় উপযোগী একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। ঠিক বলেছেন আপু হঠাৎ কারফিউ তে সাধারণ মানুষের অনেক ভোগান্তির সম্মুখে হয়েছে। ঠিক বলেছেন আপু আসলে ১০ মিনিটের রাস্তা এখন পার হতে প্রত্যেকটা মানুষের অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আবারও আগের জায়গায় ফিরে আসুক এই কামনাই করি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকেও। সাধারণ মানুষের সত্যিই অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এই আন্দোলন আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক ক্ষতি বয়ে আনছে। তাছাড়া ও দেশের পরিস্থিতি অনেক খারাপ করে দিয়েছে। একজন দিনমজুর থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে এই বছর শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। এই বছর পড়ালেখা একদম হয় নাই বললে চলে। আর যারা মারা গেছেন তাদের তালিকা তো দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। হঠাৎ করে কারফিউ জারি হওয়ার কারণে মানবজীবন অনেক বেশি ভোগান্তিতে পড়ে গেছে।
সত্যি আপু সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি আর ভোগান্তির শেষ নেই। মৃতের তালিকা ও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি যখন পোস্ট পড়ছি তখন দেশ স্বাধীন।তবে খুব বিপদের মুখে দেশ ছিল।অনেক জীবন,অনেক খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল।যারা দেশের বাইরে থেকে এসেছিল তারা অনেক ভোগান্তিতে পরেছিল।আপনার আব্বুর বন্ধু আশাকরি সুস্থ ভাবে বাসায় পৌঁছাতে পেরেছিল।সবার জন্য সুস্থ, স্বাভাবিক দেশ কামনা করছি।
হ্যাঁ অবশেষে ঠিকভাবে বাসায় পৌঁছাতে পেরেছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে তবে এখনো অনেক জায়গায় ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। আশা করি খুব শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে সবকিছু। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু সত্যি ঐ কয়েকটা দিন সবার দিনগুলো অনেক ভোগান্তিতে গিয়েছে। সবাই অনেক আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম দেশে কি হয়। এত মানুষ মারা যাচ্ছে। আমাদের পরিবারকে নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারবো কিনা। যাইহোক দুপুরের সমাপ্তি হলো কিন্তু আজও আমরা জানি না আগামীতে আমাদের দেশ বা আমাদের দিনগুলো কি হতে যাচ্ছে। আমরা চাই একটি সুস্থ সুন্দর দেশ। ঐ সময়গুলোতে যারা অনেক দূর থেকে এসেছে তারা অনেক ভোগান্তিতে পড়েছে। আপনার আংকেল আশা করি সুস্থভাবে বাড়িতে ফিরতে পেরেছেন
হ্যাঁ আমার ওই আঙ্কেল সুস্থভাবে পরে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।