ঈদ উপলক্ষে নানুবাড়ি যাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
সবাইকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ঈদ অনেক ভালো ভাবে কাটিয়েছেন। আমিও বেশ ভালো ভাবে ঈদ উদযাপন করেছি। মূলত গতকাল সারাদিন অনেক ব্যাস্ত ছিলাম সব মিলিয়ে। এই ঈদ টাতে কম বেশি সবাই অনেক ব্যস্ত থাকে। গতকাল বিকেলের দিকে কাজ শেষ করে একটু ফ্রি হয়ে ছিলাম। আম্মুকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করতে হয়েছে। মূলত প্রত্যেকবার চাঁদ রাতের দিন অর্থাৎ ঈদের আগের দিন রাতে মেহেদি দেই হাতে। তবে আগে থেকেই জানতাম ঈদের দিন কাজ করা লাগবে তাই এবার আগে আগে মেহেদি দেইনি। আমাদের প্ল্যান ছিল ঈদের পরের দিনই আমরা নোয়াখালীতে যাব। অর্থাৎ আমার নানুর বাড়িতে। বছরে একবারই যাওয়া হয় আমাদের। যেহেতু বেড়াতে যাব তাই হাতে মেহেদি দেওয়া দরকার। এর কারণে ঈদের দিন সন্ধ্যার পরেই বসে গেলাম হাতে মেহেদি দেওয়ার জন্য। বাম হাতে আমি নিজেই মেহেদি দিয়েছি। আর ডান হাতে আমাদের পাশের বাসার একটা মেয়ে দিয়ে দিয়েছে। ঈদের দিন সন্ধ্যাটা মেহেদি দিয়েই পার করেছি। সায়দাবাদ পার হয়ে অনেকটা দ্রুত গাড়ি চলেছে। মেঘনা নদী পার হওয়ার পর খুব সুন্দর সুন্দর কিছু প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছিলাম।
ঈদের পর দিন যেহেতু নানু বাড়িতে যাওয়ার কথা তাই আগের দিন খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছি। কারণ এরপর দিন অনেক সকাল সকাল উঠা লাগবে। ভোর পাঁচটায় উঠে রেডি হয়ে সাড়ে পাঁচটার দিকে বের হয়ে গেলাম বাসা থেকে। গাজীপুর টঙ্গী এসে আমরা নোয়াখালীর গাড়িতে উঠি। ঈদের পরের দিনও দেখলাম অনেক বেশি মানুষ। আর রাস্তায় অনেকটা জ্যাম ছিল। মূলত সায়েদাবাদ পর্যন্ত অনেকটা জ্যাম ঠেলেই আসতে হয়েছে।
এরপর কুমিল্লাতে একটা হোটেলে আমাদের যাত্রা বিরতি দেওয়া হয়। ২০ মিনিটের মতো সময় দেওয়া হয়েছিল। হোটেল থেকে ফ্রেশ হয়ে আমরা নাস্তা করে নিলাম। সকাল বেলা কিছু না খেয়ে বের হয়েছি। নাস্তা করার পর একটা দই নিয়েছি। দই টা মোটামুটি ভালোই ছিল খেতে। ৪০ টাকা দাম নিয়েছে। খাবারের দাম অনেকটাই বেশি ছিল এখানে। তারপর একটা চকবার আইসক্রিম নিয়েছি। সারাটা দিন মোটামুটি প্রত্যেকটা জায়গাতেই দেখলাম আকাশ অনেক মেঘলা তবে কোথাও বৃষ্টি হয়নি। আর অনেক বেশি ভ্যাপসা গরম ছিল। একটা কেকও নিয়েছি। সেটা পরে গাড়িতে বসে খেয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
আমরা বাড়িতে এসে পৌঁছাই দুপুর একটার দিকে। এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করেছি। দুপুরের খাওয়া শেষে একটা ঘুম দিয়েছি। যেহেতু অনেকটা জার্নি করেছি তাই খুব টায়ার্ড ছিলাম। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে দেখি চারদিক অন্ধকার হয়ে এসেছে। প্রথমে ভেবেছিলাম সন্ধ্যা হয়ে গেছে পরে টাইম দেখি মাত্র বিকাল হলো। আকাশে মেঘ থাকার কারণে চারপাশ অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। এমন ওয়েদার দেখতে কার না ভালো লাগে তাই চলে গেলাম ছাদের উপর। ছাদে গিয়ে দেখি ঠান্ডা বাতাস । তবে বৃষ্টি হয়নি। নানুদের ছাদে গিয়ে দেখি গাছে কয়েকটা আনারস ধরেছে আর একটা পেকে গিয়েছে। পাকা আনারস টা গাছ থেকে কেটে নিয়েছি।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
ঈদের সময় কোথাও বেড়াতে না গেলে তো ঈদের আনন্দটাই উপভোগ করা যায় না ভালোভাবে। তবে এই আনন্দটা ছোটবেলায় বেশি উপভোগ করা হতো। ছোটবেলায় ঈদের সময় কোথাও বেড়াতে গেলে সবথেকে বেশি আনন্দ হতো। বিশেষ করে নানুদের বাড়িতে গেলে। আপনাদের নানুদের ছাদে আনারস গাছ রয়েছে এবং আর সেই গাছে দেখছি অনেক সুন্দর আনারস ধরেছে। নিশ্চয়ই এই আনারস অনেক বেশি মজা লাগছে ছিল। যাই হোক আশা করছি আপনি আপনার নানুর বাড়িতে গিয়ে ভালো সময় এখন কাটাচ্ছেন।
X - promotion
বাহ! ঈদের পরে নানুবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন! আসলে ঈদের সময় এগুলোই বেশি মজার এবং নানান স্মৃতি তৈরি করে! এই যে নানু বাড়ির আনারস গাছ থেকে আনারস কেটে নিলেন, এটাও একটা দারুণ স্মৃতি তৈরি হলো! একসময় এসে এই স্মৃতি গুলোই মনে পড়বে বারবার! আর খুব সুন্দর মেহেদী দিয়েছেন আপু হাতে! অন্য হাতের টাও সুন্দর হয়েছে। মেহেদীর রঙ ও সুন্দর এসেছে!
আসলেই তাই, এই সবকিছু একসময় স্মৃতি হয়ে থাকবে। মেহেদির রং টা আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে নানু বাড়ি মানে অনেক আনন্দ আর আবেগের জায়গা। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন নানু বাড়ি যাওয়ার জন্য একটা আলাদা অস্থিরতা কাজ করতো ভেতরে ভেতরে। যাইহোক আপনার যাত্রা পথের বর্ননা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। যাইহোক অবশেষে দুপুরের দিকে পৌঁছে একটা লম্বা ঘুম দিয়েছেন যা সত্যিই দরকার ছিল। আর আনারসটা বেশ পাকা মনে হচ্ছে। খুব আনন্দ করুন নানু বাড়ি এই কামনা করছি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, নানু বাড়ি মানে আনন্দ আর আবেগের জায়গা। আনারস টা পাকা ছিল আর অনেক মিষ্টি ছিল। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ঈদ উপলক্ষে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার মুহূর্তটা সত্যি খুব ভালো লাগে। আপনি উপলক্ষে আপনার নানুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন শুনে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। নানুর বাড়িতে গিয়ে নিশ্চয়ই অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করছেন। সবাই একসাথে সময় কাটানো যায় কোথাও বেড়াতে গেলে। যাওয়ার পথে আইসক্রিম খেয়েছেন দেখে তো খুব ভালো লেগেছে। নানুর বাড়িতে এসে দুপুরবেলায় খাওয়া দাওয়া করে লম্বা ঘুম দিয়ে ভালোই করেছেন। আসলে জার্নি করে গেলে ঘুম যদি না যাওয়া হয় তাহলে শরীর অনেক ক্লান্ত লাগে। আশা করছি ভালো সময় কাটাবেন।
হ্যাঁ আপু জার্নি করার পর লম্বা একটা ঘুম দরকার। পোস্ট পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, আপনার নানুদের ছাদে দেখি খুব সুন্দর আনারস হয়েছে! আমার তো এটি দেখেই লোভ লেগে গেল। তাছাড়া আপনাদের ওইখানে বৃষ্টি না হলেও ছাদে উঠে তাও ঠান্ডা বাতাস পাচ্ছেন। আমাদের এইখানে তো না বৃষ্টি আছে, না ঠান্ডা বাতাস আছে। বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাদের। আপনার আজকের পোস্টে, ঈদ উপলক্ষে আপনার নানুবাড়ি যাওয়া নিয়ে বিস্তারিত কথা গুলো জেনে বেশ ভালো লাগলো আমার।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঈদ উপলক্ষে আমরা বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে থাকি। ঈদের পরে নানু বাড়িতে যাওয়ার মজাই আলাদা। আপনি যাত্রা পথের জার্নি টা খুব এনজয় করেছেন। ছাদের মধ্যে আনারস বাগান,ইন্টারেস্টিং একটি ব্যাপার। যাই হোক আবার ঠিকভাবে নিজ গন্তব্যে ফিরে আসুন সেই কামনা করি। ধন্যবাদ।
ঈদে কোথাও বেড়াতে গেলে ভীষণ মজা হয় সব থেকে বেশি ভালো লাগে নানু বাড়িতে যেতে। আপনাদের বাসা থেকে আপনার নানু বাড়িতে যেতে অনেকটা সময় লাগে তাই ভোর পাঁচটায় উঠেছেন। আর এর মধ্যে কুমিল্লাতে থেমে ২০ মিনিট ফ্রেশ হয়ে তারপরে দুইটাই নানু বাড়িতে পৌঁছেছেন। তবে আপনার নানুদের বাসার ছাদে আনারসটা কিন্তু অনেক সুন্দর। দেখে কিন্তু মনে আছে ভীষণ সুস্বাদু হবে খেতে।
উপলক্ষে নানু বাড়িতে গিয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমার যদিও তেমন একটা নানু বাড়িতে যাওয়া হয় না। তবে আগে যখন নানী বেঁচে ছিল তখন যেতাম অনেক মজা হত। আপনাদের বাসা থেকে আপনার নানু দের বাসা অনেক দূর যেতে অনেক সময় লাগে। আর এই জার্নি নিয়ে অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন। বাড়ি থেকে পাঁচ টায় দুইটাই পৌঁছেছেন আবার বড় করে একটু ঘুম দিয়েছেন। সব মিলে আপনার পোস্ট বেশ ভালো লাগলো।