নাটক রিভিউ || "জেনি"

তারপর সে অন্যদিন আরও একটা চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যায়। যদিও সেখানে ওয়ার্কিং টাইম অনেক বেশি থাকে এবং তার বাসা থেকেও অনেকটা দূরে তারপরও সে জয়েন করে সেখানে। চাকরিতে জয়েন এর প্রথম দিন যাওয়ার সময় তার বাড়িওয়ালার সাথে তার দেখা হবে। সে বলে তার একটা চাকরি হয়েছে এবং সেটা একটা মিডিয়া এজেন্সিতে। মিডিয়ার কথা শুনেই বাড়িওয়ালা সেটা কে খারাপ ভাবতে শুরু করে। এবং তাকে কয়েকটা কথা শুনায়। সে এসব কথা কানে না দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। চাকরিতে যাওয়ার সময় বাসে নায়কের সাথে তার দেখা হয়।

অফিসে যাওয়ার পর সে সবার সাথে পরিচিত হয় এবং নিজের কাজ বুঝে নেয়। লাঞ্চ এর টাইম হলে সে দেখে সবাই একসাথে একটা রুমে বসে লাঞ্চ করছে। তখন সে জিজ্ঞাসা করে অফিসে কি মেয়েদের জন্য আলাদা কোন ব্যবস্থা রয়েছে কিনা। তখন তারা জানায় এরকম কোন ব্যবস্থা অফিসে নেই। তারপর দেখে মেয়েদের জন্য আলাদা কোন ওয়াশরুমের ব্যবস্থাও নেই। এই সবকিছু দেখে সে তার বস কে বিষয়গুলো জানায়। তবে তার বস সেটাকে পাত্তা দেয় না। উল্টো বস তাকে বিভিন্ন খারাপ প্রপোজাল দেয়। এছাড়াও অফিসের কিছু কলিগ তাকে বিভিন্নভাবে ডিস্টার্ব করতে থাকে। সে সবাইকে এভয়েড করে চলে।

এভাবেই বেশ কিছুদিন চলছিলো। প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার সময় বাসে তার নায়কের সাথে দেখা হয়। হঠাৎ একদিন জ্যাম থাকার কারণে তার বাসায় আসতে দেরি হয়ে যায়। কিন্তু দারোয়ান তাকে গেট খুলে দেয় না। কারণ বাড়িওয়ালা বলেছে দশটার পর গেট খোলা যাবে না। কিন্তু জেনির অফিস থেকে আসতে ১১ টার উপরে বেজে যায়। তারপর তার বাবা বাড়িওয়ালাকে বলে গেট খুলে দেওয়ার জন্য। তখন বাড়িওয়ালা জেনির বাবাকে অনেক কথা শোনায়। তারপর দারোয়ানকে বলে গেট খুলে দেওয়ার জন্য। তার বাবা জেনিকে বলে সে যেন চাকরিটা ছেড়ে দেয়। কারণ মানুষ তাকে নিয়ে অনেক খারাপ কথা বলে। সে তার বাবাকে বোঝায় মানুষ সফল হতে চাইলে অনেক বাধা আসবে। অনেক মানুষ অনেক কথা শোনাবে কিন্তু সেগুলোতে কান দেওয়া যাবে না। তারপর সকালে সে বাড়িওয়ালাকে বলে সে খুব তাড়াতাড়ি এই বাসা ছেড়ে দিবে।

একদিন অফিসে যাওয়ার সময় বাসে এক লোক তাকে ধাক্কা দেয়। তখন সে এই জিনিসটার প্রতিবাদ করে। বাসে নায়কও ছিল। অফিসে যাওয়ার পর বস তাকে খারাপ প্রপোজাল দিলে সে সেটা রিজেক্ট করে। এবং এর কারণে বস দুই দিনের কাজ তাকে দুই ঘণ্টার মধ্যে করে দিতে বলে। তখন সে বসের সাথে রাগ দেখিয়ে চলে আসে। শেষে অবশ্য পার্থ আর তার মিল হয়।

সকল ছবি মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়া।

এই নাটকটা মূলত রিলিজ করা হয়েছে বিশ্ব শ্রমিক দিবস উপলক্ষে। একটা কর্মজীবী নারীকে কত দিকে কত কিছু সহ্য করতে হয় সবকিছুই এই নাটকে ফুটে উঠেছে। আমাদের দেশের একদম কমন সমস্যা গুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নাটকে। এবং বোঝানো হয়েছে সবকিছু সহ্য না করে প্রতিবাদ করা উচিত। একটা মেয়েকে সফল হতে হলে এসব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। মূলত এই সব জিনিস করেই নাটকের ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। জেনি এখানে সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছে। একজন নারীকে সবকিছু সহ্য না করে এরকম প্রতিবাদী হয়ে ওঠাই উচিত। বাস্তব জীবনের সাথে সম্পর্কিত এই নাটকগুলো আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লাগে। আপনারা সময় করে নাটকটি দেখে নিবেন ভালো লাগবে আশা করি।