কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি

আজকে ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি একটি করে ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার। তবে আমি চেষ্টা করি ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্নতা আনার। মাঝেমধ্যে শুধুমাত্র আকাশের কিংবা ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করি। আবার মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি একসাথে শেয়ার করি। আজকেও সেই রকম একটা ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করছি। ফটোগ্রাফি গুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্যাপচার করেছি। যদিও আমি ফটোগ্রাফি তে তেমন দক্ষ নই। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আসি।

প্রথমে আপনাদের সাথে পিটুনিয়া ফুলের একটা ফটোগ্রাফি শেয়ার করলাম। এই ফটোগ্রাফি টা আমি ক্যাপচার করেছিলাম আমার বোনের স্কুলের এরিয়া থেকে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভিতরে স্কুল টা। আমরা সবাই জানি পিটুনিয়া ফুল অনেক রঙের হয়। শুধুমাত্র একটি কালারের দেখা যায় আবার এরকম দুইটি কালারের কম্বিনেশন এর ফুলও দেখা যায়। আমার কাছে এই দুইটি কালারের কম্বিনেশন এর ফুল গুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে ফুলগুলোর পাপড়ির মাঝখানে সাদা কালারটা সত্যিই খুব দারুণ লাগে দেখতে। এখানে শুধুমাত্র গোলাপী এবং সাদা রংয়ের কম্বিনেশন এর ফুল দেখা যাচ্ছে। ফুলগুলো আসলেই দেখতে ভীষণ সুন্দর।

এই ফটোগ্রাফিতে অনেক আগে ক্যাপচার করেছিলাম। আর্টিফিশিয়াল কিছু গাছ কেনার জন্য গিয়েছিলাম দোকানটাতে। ঘর সাজানোর জিনিসগুলোর দোকানে গেলে ইচ্ছে করে সবগুলোই কিনে নিয়ে আসি। প্রত্যেকটা আর্টিফিশিয়াল জিনিস এখন অনেক সুন্দর এবং নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয়। দেখে মনে হয় যেন সত্যিকারের গাছ এগুলো। দেখতেও ভীষণ সুন্দর লাগে। এই ফটোগ্রাফির মধ্যে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন থানকুনি পাতার গাছ। দূর থেকে দেখলে মনেই হবে না এটা আর্টিফিশিয়াল। এতটা নিখুঁতভাবে তারা জিনিসগুলো তৈরি করে। পিছনে ক্যাকটাস গুলো একদম সত্যি কারের ক্যাকটাসের মত লাগছে দেখতে। আমি ভেবেছিলাম আর্টিফিশিয়াল এই থানকুনি পাতার গাছটা নেব তবে দাম অনেক বেশি ছিল পরে আর নেওয়া হয়নি। আর প্রত্যেকটা গাছ সাদা টবে দেওয়ার কারণে আরো বেশি ভালো লাগছিল দেখতে।

কাঠ গোলাপ ফুল আমাদের সবারই ভীষণ পছন্দ। এই কাঠ গোলাপ ফুলগুলো এখন অনেক ধরনের দেখা যায়। আমার কাছে সাদা রঙের কাঠগোলাপ সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে। তবে এই ফুলগুলো খুব সুন্দর। গোলাপী এবং হলুদ রঙের। এই ফটোগ্রাফি টা ক্যাপচার করেছিলাম আমাদের ছাদ বাগান থেকে। আমাদের ছাদে প্রায় তিন ধরনের কাঠ গোলাপ ফুলের গাছ রয়েছে। এগুলো যখন ফোটে তখন সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে দেখতে। গুচ্ছাকারে অনেকগুলো ফুলের সাথে ফুটে থাকে যার কারণে আরো বেশি ভালো লাগে এগুলো।

এই ফটোগ্রাফি টা ক্যাপচার করেছিলাম রথ মেলা থেকে। প্রায় চারটা পর্বের মাধ্যমে আপনাদের সাথে রথ মেলা ভ্রমণের মুহূর্ত গুলো শেয়ার করেছি। আপনার অনেকেই সেগুলো দেখেছেন আশা করি। মেলার মধ্যে সব রকমের দোকান ছিল তবে কসমেটিক্স এর দোকান গুলো একটু বেশি ছিল। আর নরমাল দোকানে তুলনায় সেই দোকানগুলোতে দামও অনেক বেশি ছিল। সোনা আমি বিভিন্ন সাইজের চুলের ক্লিপ এর ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছি। ছোট ছোট ক্লিপ গুলো বেশ সুন্দর লাগছিল দেখতে। আমি সেখান থেকে দুটো ছোট ক্লিপ কিনেছিলাম। বড় ক্লিপের তুলনায় ছোট আরো বেশি ছিল। তবে ছোট গুলো বেশ সুন্দর দেখতে।

এই ফটোগ্রাফি টা কয়েকদিন আগেই ক্যাপচার করেছিলাম। এটাও আমাদের ছাদ বাগান থেকে ক্যাপচার করা। এক ছড়া কলা হয়েছে গাছে। সবুজ অবস্থায় কলা গুলো আসলেই ভালো লাগছিল দেখতে। যদিও এগুলো এখনো খাওয়ার উপযুক্ত হয়নি। তবে দেখতে ভালো লাগছিল তাই আমি ফটোগ্রাফি টা ক্যাপচার করেছিলাম। আবার একটা মোচাও ছিল সেখানে। গাছটা যদিও খুব বেশি বড় নয় তবে কলা গুলো এভাবে ধরলে ভালোই লাগে।

এই ফটোগ্রাফিতে অনেক আগে ক্যাপচার করা। ফোনের গ্যালারিতে খুজে পেয়েছিলাম। সেদিন আকাশটা ভীষণ সুন্দর ছিল তাই আমি ছাদে চলে গিয়েছিলাম আকাশের কয়েকটা ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করার জন্য। যদিও সেদিন প্রচন্ড রোদ ছিল। আর যখন ছাদে গেলাম তখন দেখলাম সূর্যের চারপাশে গোল একটা অংশ। গোল অংশের কালারটা অনেকটা রংধনুর কালারের মত লাগছিল মাঝে মাঝে। তবে ভালোভাবে তাকাতেই পারিনি রোদের এত তাপ ছিল। আমি ফটোগ্রাফিটা ক্যাপচার করার পরে দেখলাম সূর্যের চারপাশে এরকম অবস্থা। নীল আকাশের মাঝে আবার সাদা সাদা মেঘ ভালোই লাগছিল দেখতে।

আমি ইসরাত জাহান মিম। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। বাঙালি হিসেবে আমি গর্বিত, কারণ বাংলা আমার অহংকার। আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে কিন্তু ছোটবেলা থেকে বাবার ব্যবসার কারণে ছোটবেলা থেকেই অবস্থান করছি গাজীপুরে। আমি আমার পড়াশুনা এইচ এস সি পর্যন্ত করেছি এবং এখন পরবর্তী পর্যায়ের ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের একজন সদস্য এজন্য আমি অনেক উৎসাহিত ও আনন্দিত। আমি বই পড়তে পছন্দ করি, সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে ও প্রকৃতির কাছাকাছি থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করতে। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২০ সালের ১৭ই ডিসেম্বর। স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য।