চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত || পর্ব :- ৩
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। কয়েকদিন আগে পর্ব ১ ও ২ শেয়ার করেছিলাম। আজকে পরবর্তী পর্ব শেয়ার করব। আপনাদের কাছে ভালো লাগবে আশা করি।
আমি কয়েকদিন আগে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম। চট্টগ্রামে শেষ পরীক্ষা ছিল তাই সেখানে দুই দিন থাকা হয়েছে। যেহেতু সুযোগ ছিল তাই বাণিজ্য মেলা থেকে ঘুরে এসেছিলাম। গত কয়েকদিন আগে আপনাদের সাথে দুটি পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আজকে মেলার ভেতরের আরো কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। উপরের এই ফটোগ্রাফি টা একটা রেস্টুরেন্টের ফটোগ্রাফি। যদিও ভিতরে ঢুকিনি তবে বাহির থেকে বেশ ভালো লেগেছে রেস্টুরেন্টটা দেখতে। খুব সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করা। সামনে পিৎজার খুব সুন্দর একটা স্লাইস দিয়ে ডেকোরেশন করা হয়েছে। আর সাথে গ্লাসের মধ্যে পানি পড়ার দৃশ্য দিয়ে ডেকোরেশন করা হয়েছে।
উপরের এই দোকানটা বেশ বড় এবং সবচেয়ে বেশি লাইটিং ছিল এই দোকানটাতে। বাহির থেকে দেখেও ভালোই লাগছিল। বিশেষ করে পাখির বাসা গুলো আমার কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় লেগেছে। এর আগে কখনো এ ধরনের জিনিসগুলো দেখা হয়নি। আর এই দোকানের নামটাও অনেক ইন্টারেস্টিং ছিল। নানা ভাইয়ের দোকান এরকম একটা নাম হবে, ঠিক মনে নেই আমার। তারপর দোকানটার ভিতরে গেলাম। সেখান থেকে আমার ছোট ভাইয়ের জন্য কয়েকটা খেলনা এবং বাসার জন্য শোপিস কিনলাম। তবে দোকানের ভিতরে ফটোগ্রাফি করা নিষেধ ছিল তাই ফটোগ্রাফি করতে পারেনি। তবে হ্যাঁ দোকানের জিনিসগুলো বেশ ইউনিক ছিল। প্রত্যেকটা জিনিস পছন্দ হওয়ার মত।
মেলার জায়গা গুলোতে ছোট ছোট কিছু স্টল ছিল যেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার আইটেম বিক্রি করা হচ্ছে। যেহেতু অনেক গরম ছিল তাই আমি আর আমার কাজিন মিলে একটা ফ্রুট জুস খেলাম। মেলার ভিতরে দেখলাম সবকিছুর দাম অনেক বেশি। তাই ভিতর থেকে তেমন কিছু খাওয়া হয়নি। পরে অবশ্য বের হয়ে বেশ কয়েকটা ফাস্ট ফুড আইটেম ও আইসক্রিম খেয়েছি।
যেহেতু প্রত্যেকটা দোকানে ঢুকে জিনিস গুলো দেখা হয়েছিল তাই এই দোকানটাও বাদ দিলাম না। গিয়ে দেখলাম খুব সুন্দর কিছু বিছানা চাদর রয়েছে যেগুলোর উপর থ্রিডি ডিজাইন করা। বর্তমানে মোটামুটি সবকিছুর উপরেই সবাই থ্রিডি ডিজাইনগুলো করে আর এগুলো দেখতেও সুন্দর। আমরা সেখান থেকে কয়েকটা কুশুন বালিশের কভার কিনেছিলাম। সেগুলোর উপরেও থ্রিডি ডিজাইন করা ছিল। দেখতে বেশ ভালো লাগছিল তাই আমি আর আব্বু পছন্দ করে নিয়েছিলাম।
উপরের এই ফটোগ্রাফির দোকানটা থেকেও আমাদের সবাই মোটামুটি কেনাকাটা করেছিল। দোকানের ব্যাগগুলো আমার কাছে অনেক ইউনিক ডিজাইন এর লেগেছে। তাই আব্বুকে বললাম একটা ব্যাগ কিনে দেওয়ার জন্য। চয়েজ করার পর দেখলাম দাম অনেকটাই বেশি। তারপরও একটা ব্যাগ নিলাম কারণ সচরাচর এই জিনিসগুলো আমি মার্কেটে তেমন একটা দেখি না। এই দোকানটার ভিতরেও ফটোগ্রাফি করা নিষেধ ছিল।
মেলায় বিদ্যানন্দনের এক্সচেঞ্জ স্টোর টা দেখে অনেক ভালো লেগেছে। পুরাতন জিনিস এর বদলে নতুন জিনিস নেওয়া এ ব্যাপারটা আসলেই দারুন। আমি বাসা থেকে গেলে অবশ্যই পুরাতন কিছু জিনিস এক্সচেঞ্জ করে নিতাম। তবে যেহেতু চট্টগ্রাম ঘুরতে গিয়েছিলাম তাই এটা একদমই সম্ভব ছিল না।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পরবর্তী পর্বে মেলায় কাটানো আরো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করব। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে গিয়ে সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। যদিও আপনি ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন ।অবশ্যই পরীক্ষা পর দুই দিন সময় পেয়েছিলেন । বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে এসে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে বিমানবন্দরে এক্সচেঞ্জ স্টোর টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার এই মেলায় সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর মধ্যে দিয়ে আমরা অনেক কিছু দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্ত সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে এই ধরনের মেলায় খাবার স্টল গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে । আর সেই সাথে মেলার ডেকোরেশন টাও অসাধারণভাবে সাজিয়েছিলেন উনারা। চট্টগ্রামে আপনার মেলার কাটানো কিছু মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনার মাধ্যমে আমরাও এটি উপভোগ করতে পারলাম ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
দুইদিন থেকে কিন্তু আপনার ভালোই লাভ হয়েছিল পরীক্ষার পরে। কারণ থাকার কারণেই আপনি চট্টগ্রাম বানিজ্য মেলায় এত ভালোভাবে ঘুরাঘুরি করতে পেরেছিলেন। বাণিজ্য মেলার সৌন্দর্য অনেক ভালো লেগেছে। যদিও প্রথম পর্ব দুইটা দেখিনি। তবে তৃতীয় পর্বটা খুব ভালো লেগেছে। এরকম কিছু দোকান রয়েছে যেগুলোর ভেতরে ফটোগ্রাফি করা নিষেধ থাকে। আগে থেকেই বরণ করে দেওয়া হয়। তবে যাই হোক মেলাটা নিশ্চয়ই অনেক বড়সড়ো ছিল। মেলায় কাটানো মুহূর্তটা উপভোগ করলাম ভালোভাবে।
সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমাদের এদিকে কোথাও যদি মেলা হয়, তাহলে তো আমি কয়েকদিন পরে হলেও চলে যায় সেখানে। চট্টগ্রামের এই বাণিজ্য মেলাটা অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। মেলার সৌন্দর্য সত্যি খুবই দারুণ। আর আপনি যেহেতু দুই দিন ছিলেন চট্টগ্রামে, তাই ঘুরাঘুরি করতে পেরেছিলেন কিছুটা। বিশেষ করে মেলায় ভালোই সময় অতিবাহিত করেছিলেন। আর মেলায় ঘুরাঘুরি করার সময় বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন। যেগুলো দেখে তো আরো ভালো লাগলো। মেলার সৌন্দর্যকে ক্যামেরা বন্দী করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে।
মেলায় ঘুরাঘুরি করতে পেরে আমার কাছেও বেশ ভালোই লেগেছে। এবং দুইদিন থাকার কারণে ঘোরাঘুরিও করতে পেরেছি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলায় গেলে অনেক কিছু দেখা যায়। এখানে বাহিরের দেশের বিভিন্ন পন্য পাওয়া যায়। বিদ্যানন্দনের এক্সচেঞ্জ স্টোর বসেছে শুনে খুশি হয়েছি। এর মাধ্যমে মানুষ আলাদা একটি আনন্দ উপভোগ করতে পারবে। ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
গ্রামে থাকলে অনেক কিছুই মিস করি। আমরা আমাদের এখানে কখনো বাণিজ্য মেলা হয় নাই। আজকে আপনি দেখছি চট্টগ্রামে বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়ে। এক্সচেঞ্জ এর বিষয়টি আমার বেশ ভালো লাগলো। ইস! আমাদের এধারে হলে অবশ্যই কিছু এক্সচেঞ্জ করে নিতাম। প্রথম জিনিসগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। লাইটিং গুলো বেশ সুন্দর ছিল।আপনি পরীক্ষা দেয়ার সুবাদে বেশ সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রকাশ করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম।
মেলায় যে সমস্ত জিনিসপত্র পাওয়া যায় সেগুলো বাইরের মার্কেটে খুব কমই পাওয়া যায়। মেলায় কাটানো সুন্দর মুহূর্ত পড়ে খুবই ভালো লাগলো।সেই সাথে সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি সব মিলিয়ে অনেক ভালো ছিল আপু। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে পিজ্জার যে বোর্ড টি ছিল সেটি।
মেলায় কাটানো মুহূর্তগুলো একেবারে অসাধারণ হয়ে থাকে৷ আন্তর্জাতিক মেলা হলে তো আর কোন কথাই নেই। আজকে আপনি চট্টগ্রামের এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে৷ খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক কিছু আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন যা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ পরবর্তী পর্ব দেখার আশায় রইলাম৷