চায়ের আড্ডা তে কাটানো কিছু মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
বেশ কয়েকদিন ধরে আমার এক স্কুল ফ্রেন্ড বলছিল দেখা করার জন্য কারণ অনেকদিন দেখা হয় না আমাদের। তাই ভাবলাম একটু দেখা করে আসি কোথাও থেকে ঘুরেও আসি। বেশ কয়েকদিন ধরে বাসা থেকে বের হচ্ছি না। আমার এখন পড়াশোনার তেমন একটা চাপও নেই। তাই ভাবলাম ঘুরেই আসি। এরপর তাকে জানাই ঠিক আছে আমরা একদিন বের হব। কয়েকদিন আগেই গিয়েছিলাম আমরা।
আমরা মূলত গাজীপুরের শহর এলাকাতে থাকি। গ্রামের দিকে তেমন একটা যাওয়া হয় না আমাদের। তাই ভাবলাম গ্রামের দিক থেকে একটু ঘুরে আসি। যদিও আমাদের বাসা থেকে খুব একটা দূরেও না আবার বেশ কাছেও না। জায়গা টা হচ্ছে গাজীপুরের শ্রীপুরে। আর এই গ্রামটার নাম হচ্ছে মারতা। জায়গাটার নাম আগে কখনো শুনিনি আমি। একদম ছোটবেলা থেকেই এই গাজীপুরে রয়েছি অথচ এই জায়গাটার নাম কখনো শুনিনি। এবং আগে কখনো যাওয়া হয়নি। হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত হলো আমরা সেখানে যাব। আমি প্রথম দিকে যাওয়ার জন্য রাজি ছিলাম না। তবে আমার ফ্রেন্ড নাছোড় বান্দা। আর সে এমন একটা মানুষ একবার বলেছে তো আমাকে সেখানে নিয়ে যাবেই যাবে। আমি প্রথমে মানা করলাম কারন অচেনা একটা জায়গায় যাব সেখানকার কিছুই চিনি না। তবে ওর জোরাজোরিতে সব শেষে যেতেই হল। তবে যাওয়ার পর অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। কারণ অনেকদিন পর গ্রামীণ পরিবেশে গিয়েছিলাম।
![]() | ![]() |
---|
আমরা দুপুরের পরপরই বের হয়ে পড়েছিলাম। কারণ আমাদের ইচ্ছা ছিল আমরা অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করব। আর যেভাবেই হোক সন্ধ্যার আগে তো বাসায় যেতেই হবে। গ্রামীন পরিবেশে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগছিলো। যদিও অচেনা একটা জায়গা তবে অনেকক্ষণ সেখানে সময় কাটালাম। তারপর আমরা দুজনে চা খাওয়ার জন্য একটা ক্যাফে তে গেলাম। আমার ফ্রেন্ড একজন চা প্রেমী মানুষ। ও যে দিনে কত কাপ চা খায় সেটা ও জানে। আমার আবার চা তেমন একটা ভালো লাগে না। মাঝেমধ্যে খাই। তবে ওর সাথে বের হলে চা আমার খেতেই হবে। আমরা যেই ক্যাফেতে গিয়েছিলাম তার নাম চায়ের আড্ডা। নামটা তো খুবই সুন্দর। আর গ্রামীন পরিবেশের এরকম একটা ক্যাফে তে বসে খাওয়া দাওয়া করতে ভালোই লাগছিল। তাদের সাথে কথা বলার পর তারা বলল তাদের এখানে নাকি প্রায় ২৬ ধরনের চা পাওয়া যায়। আমি তো শুনে অবাক। এত রকম চা কিভাবে তৈরি করে। তারপর আমরা দুটো চা অর্ডার করি। একটা মালাই চা এবং অন্য আরেকটা মাল্টা চা। মাল্টা চা আমি নেই নি আমার ফ্রেন্ড নিয়েছি। এমনিতেই চা কম খাই তার উপর মাল্টার চা কেমন না কেমন হবে। তাই আমি সেটা নেই নি। অর্ডার দেওয়ার পর তারা বলল চা টা হতে একটু দেরি হবে কারণ তারা কিছুক্ষণ আগেই ওপেন করেছে। আমরা বললাম ঠিক আছে আমরা ওয়েট করব। ওয়েট করার মধ্যে কিছু খেতে খুব ইচ্ছে করছিল তাই কোণ আইসক্রিম নিয়ে নিলাম একটা। আমার ফ্রেন্ড অবশ্য একটা ড্রিঙ্কস নিয়েছে। বেশ কিছুক্ষন ওয়েট করার পর চা দিলো। চা টা সত্যিই অনেক ভালো ছিল।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আরো কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। গাড়িতে ওঠার আগে দেখলাম ছোট খাটো গ্রামীণ হাট বসেছে। আমরা যখন সে জায়গায় গিয়েছিলাম তখন এসব কিছু ছিল না। বিকেলের দিকে দেখলাম অনেক মানুষ অল্প অল্প করে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে বসেছে বিক্রি করার জন্য। দৃশ্য টা দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। এরপর আমরা গাড়ি তে উঠি বাসায় আসার জন্য। অনেক ট্রাই করেছি সন্ধ্যার আগে বাসায় আসার। কিন্তু বাসার কাছাকাছি এসে ট্রেনের কারণে বেশ কিছুক্ষন জ্যামে বসে থাকতে হল। যার কারণে বাসায় আসতে একটু দেরি হয়ে গেল।
এই ছিলো আমার আজকের পোস্ট। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল 💕💕
ধন্যবাদান্তে
@isratmim
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
X - promotion
চায়ের আড্ডা তে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার সুন্দর এই আনন্দঘন মুহূর্ত দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। মাঝেমধ্যে বাইরের পরিবেশে চা খাওয়ার মধ্যে অন্যরকম প্রশান্তি পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। প্রকৃতির সৌন্দর্য খুব কাছে থেকে উপভোগ করা যায়। তবে অপরিচিত জায়গায় গেলে সাবধানে থাকতে হয়। কারন বর্তমান সময়ে ছিনতাইকারীর উৎপাত বেড়েছে। চা বিভিন্ন ধরণের রয়েছে তবে মালাই চা সব থেকে বেশি ভালো লাগে। ফ্রেন্ড এর সাথে সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা ঠিক বলেছেন এখন ছিনতাইকারীর উৎপাত অনেকটা বেড়েছে। রাস্তাঘাটে আমাদের সাবধানে চলাফেরা করা উচিত। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আপু মাঝে মাঝে এভাবে ঘুরলে অনেক ভালো লাগে। আর বন্ধুবান্ধীর সাথে ঘুরলে তো কথায় নেই। আর ঘোরাঘুরির মাঝে এভাবে চা আর আইসক্রিম হলে আর কিছু লাগে না। আপনারা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন নিশ্চয়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কাটানো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু আমরা খুব দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। ঠিক বলেছেন আপনি ফ্রেন্ড দের সাথে ঘুরার মজাটাই আলাদা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার কথাগুলো শুনে বেশ আনন্দিত হলাম। আপনি যেভাবে একদম কথা বলার মতো আপনার দিনের কাহিনী বর্ণনা করেন তা আমি সবসময়ই বেশ উপভোগ করি। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য, আপু।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার ফ্রেন্ডের চা খাওয়ার গল্প শুনে মোশারফ করিমের চা খোর নাটকের কথা মনে পড়ে গেল হা হা হা। যাই হোক টপিকটা ঘুরিয়ে নিই , গ্রামীণ পরিবেশে সময় কাটাতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে সবমিলিয়ে দিনটা বেশ উপভোগ করেছেন শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হা হা হা, আসলেই ও অনেক চা খেতে পারে। মাঝে মাঝে দুপুর বেলা লাঞ্চের সময়ও চা নিয়ে বসে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মাঝে মাঝে মুক্ত বাতাস খেতে শহর ছেড়ে গ্রামের দিকে যেতে হয়। তাহলে মন ফ্রেশ থাকে। আপনার বান্ধবী অবশেষে আপনাকে সেখানে নিয়েই ছাড়লো। তবে চায়ের আড্ডা জায়গাটা ভীষন সুন্দর। খোলামেলা পরিবেশ। ধন্যবাদ।
আমাদের জীবনে যতই বন্ধু আসুক না কেন স্কুল জীবনে বন্ধুদের সাথে সম্পর্কটা একটু অন্যরকম হয়।আপনি আপনার স্কুল জীবনের বন্ধুর সঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন সেটা আপনাদের ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামীন পরিবেশে বসে চা খাওয়ার মজাই আলাদা আপু। আর সাথে যদি থাকে একজন চা প্রেমী মানুষ তাহলে তো পুরো গল্পটাই জমে যাবে। আমিও অবশ্য আপনার মত চা খেতে খুব বেশি একটা পছন্দ করি না, তবে মাঝে মাঝে একটু খাই এই আর কি। তাছাড়া, আমি কিন্তু ২৬ ধরনের চায়ের কথা আগে কখনো শুনিনি, আজকেই প্রথম শুনলাম।