অভাব যখন ঘরের দরজায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়💔 || প্রথম পর্ব
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব নতুন একটি গল্প। আমাদের জীবনে কিংবা আমাদের আশেপাশে অনেকের জীবনে এমন সব ঘটনা ঘটে যেগুলো আমরা যদি গল্প আকারে লিখি তাহলে আমার মনে হয় না কখনো গল্প শেষ হবে। যাই হোক আজ শেয়ার করব দুজন ভালবেসে সংসার করার পরও তাদের সংসারটা ভেঙে যাওয়ার গল্প।আমরা সময় ভালোবাসার মানুষকে বলে থাকি "যদি তুমি গাছ তলায় থাকো, আমিও তোমার সঙ্গে গাছতলাতেই থাকবো।" আমি মনে করি এটা শুধু কথার কথা। সংসার করতে গেলে অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। শুধুমাত্র ভালোবাসা দিয়ে সংসার টিকানো যায় না। আবার টাকা পয়সা দিয়েও সংসারে সুখে থাকা যায় না। সংসার টেকাতে হলে ভালোবাসা টাকা পয়সা সব কিছুরই দরকার আছে। তেমনি একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব আশা করছি ভাল লাগবে।
মিম ধনী পরিবারে বেড়ে ওঠা মেয়ে। বাবা মায়ের বড় সন্তান হওয়ায় সবার বেশ আদরের। সে দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। প্রত্যেকদিন তার বাবা তাকে প্রত্যেকদিন তার বাবা তাকে মোটরসাইকেলে করে স্কুলে দিয়ে আসে এবং নিয়ে আসে। মিম অনেকটা অহংকারী টাইপের। সবার আদরে হয়তো এমনটা হয়েছে। যাইহোক একই ক্লাসের সাগর নামের একটি ছেলে ছিল। দেখতে শুনতে খুবই সুন্দর ছিল তবে তার বাবা খুবই গরীব ছিলেন। অহংকারী মেয়েটা নিজের অজান্তেই সাগরের প্রেমে পড়ে যায়।সে অনেকবার সাগরকে বোঝাতে চাইলেও সাগর বুঝেও না বোঝার ভান করতো। কারণ সে জানত তার সঙ্গে কখনোই সাগরের মিল হতে পারে না। কারণ তারা অনেক বড়লোক।
মিমও যেন অনেকটা নিয়ে বসেছিল যে করেই হোক সাগরকে তার প্রেমে পড়তেই হবে। কিছুদিন পর হঠাৎ করেই মিম সাগরকে ভয় দেখানোর জন্য বলে যে তার সঙ্গে সম্পর্কে না জড়ালে সে আত্মহত্যা করবে। মিম খুবই জেদি সেটা সবাই জানে তাই সাগরও বিশ্বাস করে ফেলেছিল যে মিম এটা করতেই পারে। তখন সে বুঝতে পারে মিম সত্যি সত্যিই হয়তো তাকে ভালোবাসে। যাইহোক এভাবেই তাদের মিষ্টি প্রেম চলতে থাকে। তারা এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে কলেজে উঠেছে। হঠাৎ করে এই মিমের পরিবার থেকে সম্বন্ধ দেখা শুরু করে মিমের বিয়ের জন্য। কিন্তু মিম কিছুতেই রাজি নয়।
একদিন রাতে সে সাগরের সাথে চলে যায় সাগরের বাড়িতে। তখন সাগরের বাবা কিছুতে এই মিমকে রাখতে রাজি নয় কারণ সে অনেক বড় বাড়ির মেয়ে এই দুঃখ কষ্টের মধ্যে সে বেশি দিন থাকতে পারবে না। অনেক ভেবেচিন্তে সাগরের বাবা মিমকে তার বাবার কাছে ফেরত দিয়ে আসে।
তো বন্ধুরা মিম কি আবারো সাগরের কাছে ফিরে আসবে? নাকি অন্য কোথাও বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাবে? এটা জানার জন্য পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এত অল্প বয়সে সম বয়সীদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসা হলে তার পরিণতি খুব একটা পায় না। তাছাড়া মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হলেও ছেলেদের খুব একটা বিয়ে হতে দেখা যায় না। একদিক দিয়ে সাগরের বাবা ভালোই করেছে মিমকে তার বাবার বাড়িতে দিয়ে এসে। তা না হলে এত বড় লোকের মেয়েকে সাগরের পক্ষে সামলানো বেশ মুশকিল হয়ে যেত। যাই হোক আপু বেশ ভালো লাগলো গল্পটিপড়ে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিক বলেছেন আপু অল্প বয়সে প্রেম ভালোবাসা হলে তার পরিণতি খুবই খারাপ হয়। খুব শিগ্রই পরের পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করব আপু।
আসলে আপু মিমের বয়সে ভালোবাসা টিকা অনেক মুশকিল। সত্যি কোন বাবা মা এভাবে কোন বেকার ছেলেদের হাতে মেয়ে তুলে দিতে চায় না।তবে সাগর যেহেতু মিমকে ফেরত দিয়ে গেল।দেখা যাক মিম পরবর্তীতে সাগরের কাছে ফিরে না তার বাবা মার কথা মেনে নেই। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম আপু।
আসলে এটা ভালোবাসা নাকি ভালোলাগা সেটাই বোঝা মুশকিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন আপনি। গল্পটি পড়ে আমার কাছে ভালোই লেগেছে। আসলে দুজনেরই বয়স খুব কম এত কম বয়সে তারা সম্পর্কে জড়ালে সুখী হওয়ার মুশকিল। সাগরের বাবা অনেক ভালো একটি কাজ করেছে। মিমকে তাদের বাড়িতে দিয়ে এসে। কারণ মীমের পরিবার হয়তো সাগরকে খুব সহজে মেনে নেবে না। যাইহোক মিম পরবর্তীতে তার বাবা-মায়ের কথা মেনে নেয় নাকি সাগরের কাছে আবার চলে আসে তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
পোস্টের টাইটেল দেখেই বুঝতে পারলাম গল্পটি অনেক ভালো হবে।আসলেই অভাব থাকলে ভালোবাসা জানালা দিয়েই পালায়।এটা আমি দেখেছি আমার পাশের বাসার লোকদের জীবন থেকে।গাছ তলায় থাকার বিষয়টাই আমিও আপনার সাথে একমত।আসলেই সংসার করতে গেলে আবেগ থাকলেই চলেনা অর্থের ও দরকার হয়।বড়োলোকের মেয়ে গরীবের ঘরে গিয়ে কোনোভাবেই থাকতে পারবেনা।সাগরের বাবা ঠিক কাজ করেছে।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনার গল্পের প্রথম পর্বটি পড়ে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। তবে এটি ঠিক সংসার করতে হলে অনেক কিছু প্রয়োজন হয়। টাকা পয়সা থাকলে শুধু সংসার করা যায় না। তবে মিম মনে হয় বেশি অহংকারী। আর এরকম প্রেম গুলো লাস্ট পর্যন্ত অনেক কষ্ট দিয়ে থাকে। তবে আমার মতে সাগরের বাবা মিমকে তাদের বাড়িতে দিয়ে আসলো এটি খুব ভালো করেছে। দেখি পরের পর্বে তাদের প্রেমের কি ঘটে সে অপেক্ষা রইলাম। তবে গল্পটি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন আপু।