ডিভোর্সি নিরুর জীবন কাহিনী || প্রথম পর্ব
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র নতুন একটি গল্প শেয়ার করতে চলেছি।আমাদের সমাজে অনেক মেয়ে আছে যারা ডিভোর্সি।যাদের সমাজের লোকজন কোনো ভাবেই ভালো চোখে দেখে না।যাদের কথা বলার শোভা পায়না তারাও নানান কথা শোনায়। যাইহোক শুরু করছি আশা করছি ভালো লাগবে।
নিরু মধ্যবিও ঘরের মেয়ে।বাবা-মা খুব শখ করে বিয়ে দিয়েছিলেন খুব ভালো ঘরে। তবে নিরুর ভাগ্যে সুখ বেশিদিন সইলো না। কিছুদিন পর তার বরের আচরণ দেখে সে হতভম্ব হয়ে যায়।প্রায় রাতে নেশা করে বাসায় ঢুকে।নিরুকে মারধর করে।বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সে সব সহ্য করে।কিন্তু দিন দিন তার বর তার উপর অত্যাচারের মাএা বাড়িয়ে দেয়।শশুর শাশুড়ী কে বললে তারা বলে একটা সন্তান নিলেই তাদের ছেলে হয়তো ভালো হবে। তবে নিরু মনে ভাবে যে এমনেই তার জীবনে এতো কষ্ট তাই আর কোনো ঝামেলা সে তৈরি করবে না।যাই হোক এক পর্যায়ে সে বাধ্য হয় তার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে।
ডিভোর্সের পর নিরুর জীবন আরও কঠিন হয়ে পরে।উঠতে বসতে আত্মীয়দের কাছে কথা শুনতে হয়।অনেক সময় সে নিজেকে শেষ করতে চেয়েছে তবে পারেনি।সে নতুন করে বাঁচতে চায়। তাই অনেক কষ্ট করে একটা এনজিওর চাকরি জোগার করে।
বন্ধুরা কি মনে হয় নিরু কি ভালো থাকবে নাকি অন্য কারোর সাথে নতুন করে জীবন টাকে সাজাবে।জানতে হলে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।খুব তাড়াতাড়িই শেয়ার করার চেষ্টা করবো পরের পর্বটি।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী সময়ে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমার পরিচয়
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
আসল আপু নিরুর জীবনে কি হবে সেটা আপনি বলতে পারেন। কারণ একজন লেখক যেভাবে চায় নিজের জীবন সেরকমই হবে। কিন্তু নাটক বা গল্প যেহেতু বাস্তবতার থেকে তুলে নেওয়া হয় তাই আমি আশা করব নিরুর জীবনে ভালো কিছু হবে। অপেক্ষায় রইলাম আপু আপনার আগামী পর্ব পড়ার জন্য।
সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমাদের দেশে এই বিষয়টা বেশি লক্ষ্য করা যায় একটা মেয়ে যখন ডিভোর্স নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে তখন তার আশপাশের মানুষ গুলো তার মানসিক প্রেসারের বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঠিক একইভাবে এই গল্পে ও হয়েছে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ডিভোর্সি মেয়েদের সমাজের কাছে থেকে অনেক বাজে কথা শুনতে হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনি আজকে ডিভোর্সি নিরুর জীবন কাহিনী গল্পের প্রথম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রথম পর্বটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। নীরুর হাজব্যান্ড তাকে অনেক বেশি মারধর করত বলে, সে বাধ্য হয়েছে তার হাজবেন্ডকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য। কয়েকবার নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। তবে এখন সে নিজের মতো করে বাঁচতে চাচ্ছে জেনে ভালো লাগলো। আশা করছি সে নিজের চাকরিটা ভালোভাবে করতে পারবে এবং কি সুখী হবে পরবর্তীতে। এখন দেখা যাক অন্য কারো সাথে জীবন নতুন করে শুরু করে কিনা।
নিরুর পরবর্তী জীবন কাহিনী দ্বিতীয় পর্বে শেয়ার করার চেষ্টা করব ভাইয়া। সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষজন একেবারে হারামি টাইপের। তাইতো একজন ডিভোর্সি মেয়েকে সুযোগ পেয়ে তারা কথা শোনায়। নিরু মেয়েটার কোনো দোষ নেই এক্ষেত্রে। তার ভাগ্য খারাপ ছিলো বলেই এমন মানুষকে বিয়ে করেছিল। আশা করি পরবর্তীতে নিরুর জীবনে সুখ আসবে। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই সমাজের লোকেরা ডিভোর্সি মেয়েকে সুযোগ পেলেই নানান কথা শুনায়। ধন্যবাদ ভাইয়া গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।