অনুতাপ 😪
"হ্যালো",
আজ মনটা ভিষন খারাপ। এখন যখন লিখতে বসেছি এর কিছুক্ষণ আগের কথা।আজ হঠাৎ করে বাবুর গায়ে হাত দিয়ে ফেলেছি। নিজেকে কোন ভাবে কন্ট্রোল করতে পারিনি। আসলে সকাল থেকে এত জ্বালাতন করছিল যে এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কেন হয়েছিল এটা আমার মতো যারা একা একা বাচ্চা মানুষ করে তারা খুব ভালো করে জানেন।তবে এটাও ঠিক অন্যান্য বাচ্চাদের থেকে আমার বাচ্চাটা একটু বেশি দুষ্ট। যাইহোক বারবার শুধু মনে হচ্ছে কেন আমি বাবুকে মারলাম। খুব বেশি যে মেরেছি তাও না একটা চড় মেরেছে শুধুমাত্র। তাতেই মনে হচ্ছে আমার হাতটা আমি কেটে ফেলে দেই। বারবার বাবুকে জড়িয়ে ধরে আদর করছিলাম এবং সরি বলছিলাম। বাবু আমাকে খুব আদর করে দিচ্ছিল আমার কান্না দেখে। যাই হোক এবার মূল কথায় আসি।
সে ছোটবেলা থেকে বাবুকে একাই দেখাশোনা করছি। ওকে নিয়ে যতটুকু কাজ করতে পারি ততটুকু করার চেষ্টা করি। কিন্তু অনেক সময় এমন কোন কাজ থাকে যেটা করতেই হবে আর তখনই বাবু অনেক বিরক্ত করে। আজ সকালে প্রায় এগারোটায় ঘুম থেকে উঠেছিলাম।যেহেতু রোজা আছি তাই সকালে রান্না করতে হবে না আর বেশিরভাগ সময় বাবু অনেক দেরিতে ঘুমায় তাই সকালে উঠতে একটু দেরি হয়।যাইহোক এবার বাবুর জন্য খাবার বানিয়ে ওকে খাওয়ায়। তারপরও টিভি ছেড়ে দিয়ে ওকে বসিয়ে রেখে আমি ঘর-দরজা পরিষ্কার করা শুরু করে দেই। কিন্তু ও তো বসে থাকার ছেলে নয়। সে তখন থেকেই বিরক্ত করা শুরু করে দিয়েছে তারপরও কিছু মনে করিনি আর এ বয়সে বাচ্চার একটু দুষ্টুমি করেই।
যাইহোক এবার ওকে গোসল করে দিয়ে অনেকক্ষণ ঘুমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলাম কিন্তু ঘুম না আসায় ওর বাবার কাছে রেখে যাই রান্না করতে। এরপর যেটা ঘটল সেটা হচ্ছে আমি গিয়েছি রান্নাঘরে হাসের ডিম দিয়ে আলুর ঝোল করব। সেজন্য আমি আলু এবং ডিম সেদ্ধ করে নিয়ে রেখে দিয়েছি। তখন বাবু রুম থেকে বের হয়ে এসে ওখান থেকে ডিম নিয়ে ডিম গুলো একদম ভেঙে ফেলেছে সব।
আর তখনই আমায় মাথায় রক্ত উঠে গিয়েছিল। আসলে রাগটা মূলত বাবুর বাবার ওপরে উঠেছিল। কারন কিছুক্ষণের জন্য ওর কাছে রেখে গিয়েছিলাম এতোটুকু সময় আমার বাচ্চাকে সামলাতে পারল না। নিজের রাগ কন্ট্রোল না করতে পারে গালে একটা চড় মেরেছি বাবুর।ছেলেটা আমার অনেক রান্না করেছে ওর কান্না দেখে আমার ভেতরে যেন রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। রুমে ঢুকে আপনাদের ভাইয়াকে ইচ্ছামতো বকে দিলাম। তারপরও কিছুতেই ঠান্ডা হতে পারছিলাম না বকেই যাচ্ছি বকেই যাচ্ছি। বারবার শুধু মনে হচ্ছিল কেন আমার বাচ্চার গায়ে হাত তুলতে হল। বাবু ওর বাবাকে বকতে দেখে বেশ হাসছিল।
সত্যিই এই খারাপ লাগাটা আমি বলে বোঝাতে পারছি না। আমার এত খারাপ লাগছে যে বাবুকে কোল থেকে নামাতে ইচ্ছা করছে না। আর মনে মনে শপথ করছি আর কখনো বাবুর গায়ে হাত দিব না। আসলে আমিও তো একটা মানুষ কতই সহ্য করব। আমারও তো একটু রেস্ট এর প্রয়োজন হয়। যাইহোক কি আর করার অনেক চেষ্টা করছি ভুলে থাকার বিষয়টা।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি বন্ধুরা। বেশি কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
না এটা ঠিক করেন নি আপু শায়ন বাবু কে মেরেছেন শুনে আমারি খারাপ লাগলো ৷ আসলে সে তো ভালো মন্দ বোঝে না কারন তার এখন সবকিছু একি ৷ আর ছেলে মানুষ একটু বেশি দুষ্টামি এটা স্বাভাবিক ৷ যা হোক মাঝে মধ্যে এমনটা হয় আ কি ৷ তবে এরপর থেকে মারবেন না ৷ রাগ আসলে খারাপ জিনিস ৷ নিশ্চিয়ই বাবু কান্না করেছে ৷
হ্যাঁ ভাইয়া রাগ আসলেই খারাপ জিনিস। আমারও খুবই খারাপ লাগে যখনই মনে হয় বাবুকে মেরেছি।
একা একা বাচ্চা মানুষ করা আসলেই কষ্টের আপু। ডিম ভাঙ্গার কারণে রাগ করে বাবুকে থাপ্পর মারাটা একটু বেশি হয়ে গেছে। ছোটরাই এই ভুল করবে। এটাই স্বাভাবিক। বরং রাগ কন্ট্রোল না করা টাই আমাদের বড়দের জন্য অস্বাভাবিক। আপনার বাবুর জন্য অনেক আদর ও শুভ কামনা। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপুকে বারবার নিষেধ করছিলাম এবং বুঝাচ্ছিলাম কিন্তু ও কিছুতেই কথা শুনবে না অনেক জেদ করে। তাই হঠাৎ করেই নিজের রাগটা আর কন্ট্রোল করতে পারিনি। তবে এটা আমার মোটেই ঠিক হয়নি।
আসলে ছোট বাচ্চাদের কে মারতে নিজের কাছেও ভালো লাগে না। কিন্তু যখন রাগ উঠে যায়, তখন আমরা কি করি এটা আমরা নিজেরাও বলতে পারব না। ভাইয়ার কাছে কিছুক্ষণের জন্য রেখে গিয়েছিলেন কিন্তু বাবু এসে ডিমগুলো ভেঙে ফেলেছিল। বাবুকে একটা চড় দিয়েছিলেন শুনে একটু খারাপ লেগেছে। ভাইয়ার রাগটা মনে হচ্ছে বাবুর উপরেই নিয়েছেন। মায়েরা আসলে এরকমই হয়। তবে এবার থেকে চেষ্টা করবেন বাবুর গায়ে হাত না তোলার। আসলে বাচ্চারা দুষ্টামি করে অনেক বেশি। আমার মেয়েটাও খুব দুষ্টামি করে যা বলে বোঝাতে পারবো না। কিন্তু তার গায়ে হাত আমি এবং সোনিয়া কিভাবে তুলি না। বাবুর জন্য রইল অনেক অনেক ভালোবাসা।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া আপনার ভাইয়ার রাগটা হয়তো বাবুর উপরে ঝেরেছি। আমিও কখনো ওর গায়ে হাত তুলিনা ভাইয়া এটা প্রথমবার ছিল আর আমার মনে হয় এটাই শেষ বার। কারন আমার খুবই খারাপ লাগছিল এবং অনেকটা সময় ধরে কান্না করছিলাম।
আসলে আপু আবার মনে হয় প্রতিটি বাচ্চায় এভাবে জ্বালাতন করে।তবে আপনার বাবু তো অনেক ছোট আমাদের বড় বাচ্চায় অনেক অকাজ করে বলার মতো নয়। তবে বাচ্চারা চোখ দেখে ভয় না পেলে মারলে কিছুই হয় না।যাইহোক যতদূর সম্ভব গায়ে হাত দিবেন না।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার মা ও এটাই বলেছেন বাচ্চারা নাকি চোখ দেখেই ভয় পায়।যাইহোক আর এমনটা হবে না আপু।দোয়া রাখবেন আপু বাবুর জন্য।
শুভ ভাইকে বকেছেন বলেই তো শায়ানের কান্না থেমেছিল এবং হেসেছিল। যাইহোক এখনকার বাচ্চারা অনেক দুষ্ট। যেকোনো মায়ের পক্ষে এখনকার বাচ্চাদের একা সামলানো কষ্ট হয়ে যায়। তবে আপনি শায়ানের পিছনে অনেক সময় ব্যয় করেন। যাইহোক রাগ উঠেছে বলেই তো এমনটা করেছেন। এতে করে আপনারও কোনো দোষ নেই। শায়ান একটু বড় হলে সবকিছু বুঝতে পারবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া সবটুকু সময় আমি বাবুর পেছনে ব্যয় করি। আর আমি দেখেছি অন্যান্য বাচ্চাদের থেকে আমার বাচ্চাটা একটু বেশি দুষ্ট। ওর দুষ্টামি গুলো খুব উপভোগ করি কিন্তু অনেকটা সময় মেনে নেওয়া যায় না। আর তখনই এরকম ভুলভাল কাজ করে বসি।
আসলে বাচ্চাদের দুষ্টমীর মাত্রা বেড়ে গেলে রাগ লাগে।আমার মেয়ে যতো দুষ্টমী করে তত মার খায়।আসলে কোনদিন মারেননি জন্য এতো খারাপ লাগছে।তবে বাচ্চাদের গায়ে হাত তোলা ঠিক না তবুও তুলি এবং পরে মনে হয় আর মারবো না কিন্তুু আবার একই কাজ করি।ছেলের বাবাকে বকেছেন আসলে বাচ্চাদের প্রতি রাগ ওঠেই অন্যের প্রতি রাগ থেকে।
হ্যাঁ বৌদি এর আগে কখনো এভাবে মারিনি তো এজন্য একটু বেশি খারাপ লাগছে।এটা আমার মোটেই করা উচিত হয়নি।
হায় হায় আপু, বাবুর বাবার রাগ আমাদের ছোট বাবুর উপর ঝেড়ে দিলেন!😥 আমি অবশ্য বাচ্চাদের গায়ে হাত দেওয়া একদমই পছন্দ করি না। আর ছোট বাচ্চারা এমনিতেই ডিম ভেঙে ফেলতে অনেক পছন্দ করে। আমি অনেক বাচ্চা দেখেছি যারা ডিম দেখলেই ভেঙে ফেলে দেয়। যাই হোক, আপনি যেহেতু শপথ করেছেন যে আর কখনো আপনার বাবুর গায়ে হাত দেবেন না, এটা জেনে খুব খুশি হলাম আপু।
আমার ছেলেটাও একেবারে এরকম ভাইয়া ডিম দেখলে ভাঙতে হবে কিংবা ভেজে দিতে হবে। কিন্তু একটুও মুখে তুলবে না। যাইহোক আমার ভুল হয়ে গিয়েছিল ভাইয়া বাবুর গায়ে হাত তোলা আমার একদম উচিত হয়নি।
আপু, আপনি যে আপনার এই ভুলটা বুঝতে পেরেছেন, এটাই অনেক বড় ব্যাপার। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু আপনাদের সবার জন্য।