মায়ের অসুস্থতা এবং আমার ব্যস্ততা
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আমার মনে হয় সব মেয়েই বাবার বাড়িতে আসলে অনেকটা আলসেমি জীবন যাপন করে। অন্তত আমি এটাই করে থাকি। কিছুদিন যাবত আমার বাবার বাড়িতে অনেক কাজের চাপ বেড়ে গেছে কারণ এখন ধান কাটা মাড়াই করার সময়।যদিও আসার পর থেকে এসব আমাকে কিছুই করতে হয়নি।আমি আসলে ঘুম থেকে উঠতে উঠতে দুপুর বেলা হয়ে যায়।কারণ আমি এগারোটা বা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠি।তবে আজ হঠাৎ করেই খুব সকালে ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার মায়ের কান্না ভরা গলা শুনে।
খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে মায়ের কাছে গিয়ে দেখি মা রান্নার জন্য সব কিছু রেডি করে চুলায় বসিয়ে দিয়েছেন। আমাদের বাসায় ধান কাটার জন্য বেশ কিছু লোক নিয়োগ করা হয়েছে। প্রায় ১০ জনের মতো। তাদের জন্য সকালে এবং দুপুরের খাবার রান্না করতে হবে। মায়ের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম "কি হয়েছে?" উত্তরে মা বললেন তিনি সকাল বেলা হঠাৎ করে কোমরে ব্যথা পেয়েছেন তাই কোনো কাজ করতে পারছেন না। আমি মাকে বললাম ঘরে গিয়ে রেস্ট নিতে এবং আমি চুলায় বসলাম রান্নার জন্য। এতগুলো মানুষের রান্না মাটির চুলায় করা হচ্ছিল। মাটির চুলায় রান্না করার একদমই অভ্যাস নেই আমার। তারপরও চেষ্টা করে রান্না সম্পন্ন করলাম।
এরপর আবার দুপুরের রান্নাও ছিল। দুপুরের রান্না করেছিলাম মাছ দিয়ে বুটের ঘাটি। এদিকে বেশ কিছু ধান বাসায় আনা হয়েছিল সেগুলো মাড়াই করার জন্য আবার মেশিন এসেছে। আবার সেখানে গিয়ে সব ব্যবস্থা করে দিলাম ধান কোথায় রাখা হবে।সাথে টুকটাক কিছু সাহায্য করলাম সবাইকে। ধান মাড়াই করার কাজ শেষ হওয়ার পর সবাইকে আবার শরবত বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কারণ যে পরিমাণে গরম পড়েছে এতে করে শরবতের বিকল্প আর কিছু নেই।
অনেকটাই সুস্থ হয়ে গিয়েছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে। তবে আমার ওপরে বেশ চাপ পড়েছে কাজের। আজ এই কাজগুলো করার পর একটা বিষয় বেশ উপলব্ধি করতে পারলাম আমার মা সারাটা জীবন কতটা কষ্ট করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। তবে চেষ্টা করব এই কষ্টগুলো খুব তাড়াতাড়ি লাঘব করার। সবাই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
আপু আপনি একদম সত্যি বলেছেন মায়ের কাছে গেলে মেয়েদের আলসেমি বেড়ে যায়। আর মায়ের অসুস্থতায় মায়ের পাশে দাঁড়ানো প্রতিটি মেয়ের উচিত।আর হঠাৎ কাজের চাপ পড়লে অনেক কষ্ট হয়। আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করছি। ধন্যবাদ আপু পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু মায়ের কাছে এলে মেয়েদের আলসেমি অনেক বেড়ে যায়। আর অসুস্থতায় মায়ের পাশে দাঁড়ানো উচিত প্রত্যেকটা সন্তানের। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মায়ের বাড়িতে গেলে সত্যি ই আলসেমিতে ধরে।আমিও বেলা করেই ঘুম থেকে উঠি।তবে আপনার মা আজ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়াতে আপনি সবটা এতো সুন্দর ভাবে সামলে নিলেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। বাড়িতে আবার ধান এসেছে বাড়তি লোকজনের খাওয়ার যোগার করা বেশ কঠিনই।যাই হোক আপনার মায়ের সুস্থতা কামনা করছি।
হ্যাঁ আপু একসাথে এতগুলো লোকজনের খাবার রান্না করা আমার পক্ষে একটু কঠিন হয়ে পড়েছিল। যদিও এই কাজগুলো আমার মায়ের কাছে কোন ব্যাপারই না। তবে মা হঠাৎ করে অসুস্থ হওয়ায় আমাকেই করতে হয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপনার মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। গ্রামে এই সময়টা আসলেই ব্যস্ত সবাই। ধান কাটা মাড়াই নিয়ে। এই সময়টা গ্রামে কাজের লোকের সংকট। সবাই ব্যস্ত। আপনি এই সময়ে আপনার মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে,মায়ের রান্না-বান্নাসহ অন্যান্য কাজে সহায়তা করছেন যেনে খুব ভালো লাগলো আপু। পোস্টের ধান মাড়াইয়ের মেশিনসহ ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
টাকা দিয়েও কোন কাজের লোক পাওয়া যায় না আপু। এই সময় নিজেদের কাজগুলো নিজেদেরকেই করতে হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার মায়ের জন্য অনেক দোয়া রইল আপু। দোয়া করি যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। কোমর জিনিসটা মানুষের মেরুদন্ডের অংশ। এখানে ব্যথা পেলে আসলে কোন কিছুই করা যায় না। যাইহোক বেশ ব্যস্ত একটা দিন পার করেছেন। আসলে ধানের কাজগুলো করা বেশ ঝামেলার। তার ওপর এতগুলো মানুষের খাবার রান্না করা মাটির চুলায়। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু।
হ্যাঁ আপু কোমরে ব্যথা পেলে কোনো কাজই করতে ইচ্ছা করে না। আর যেহেতু আমার এই কাজগুলো করার অভ্যাস ছিল না তাই আমার বেশ কষ্ট হয়েছিল। তারপরও মা অসুস্থ কিছু করার ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে করতে হয়েছিল সব কাজ। সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার মায়ের কোমরের ব্যথার কথা শুনে খুবই কষ্ট পেলাম। মা যদি অসুস্থ হয় তখন খুবই খারাপ লাগে। আর এই সময় গ্রামের মানুষের কাজের চাপ অনেক বেশি। এক দিকে ধানের কাজ অন্য দিকে রান্নাবান্না তো আছে। আপনি রান্নার কাজে আপনার মাকে হেল্প করেছেন শুনে ভালো লাগলো আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া এই সময় গ্রামের মানুষের অনেক কাজের চাপ। একদিকে রান্নাবান্না অন্যদিকে ধানের কাজ। হঠাৎ করে আবার আমার মা হয়ে যাওয়াই সবকিছু আমাকে সামলাতে হচ্ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে বয়স বৃদ্ধি হলে মানুষের মেলা সমস্যা সৃষ্টি হয় তাই এমন অবস্থায় মায়ের পাশে আমাদের থাকা প্রয়োজন। যাই হোক ব্যস্ততম মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আশা করব এভাবেই কাজের মুহূর্ত হোক আর যে কোন মুহূর্তে মায়ের প্রতি খেয়াল রাখবেন। এতে আপনার আম্মার যেমন উপকার হবে ঠিক তেমনি উভয় মিলে কাজ গোছাতে পারবেন।
হ্যাঁ আপু চেষ্টা করছি কাজের ফাঁকে মায়ের খেয়াল রাখার। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রথমে আপনার মায়ের জন্য সুস্থতা কামনা করছি। প্রত্যেক বছর গ্রামের মানুষের ধান যখন বাড়িতে আসে তখন অন্য সময়ের চেয়েও কাজ একটু বেশি। আসলে আপনি অনেকগুলো মানুষের খাবার রান্না করেছেন । আসলে ধানের কাজ বেশ ঝামেলা। সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্ত দিন পার করেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জ্বী ভাইয়া সব মিলিয়ে বেশ ব্যস্তময় দিন কাটিয়েছি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বয়স্ক লোকের এই সমস্যা গুলো আসলে সবার মধ্যে দেখা যায়। একটু দেখে শুনে রাখবেন আপু। সন্তানের অসুস্থ হলে যেমন মাদের শান্তি থাকে না। তেমনি মা-বাবা যখন অসুস্থ হয় তখন সন্তানদের এমন খারাপ লাগে। আপনি তো তাহলে ব্যস্ততার মধ্যে আছেন। দোয়া রইলো আন্টির জন্য তাড়াতাড়ি যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন।
একদম ঠিক বলেছেন আপু সন্তান অসুস্থ হলে যেমন ভালো লাগে না তেমনি বাবা মা অসুস্থ হলেও সন্তানদের খুবই খারাপ লাগে। আমার কাছেও মায়ের অসুস্থতা নিয়ে বেশ খারাপ লাগছিল। তবে মা এখন মোটামুটি অনেকটা সুস্থ। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।