কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি 📸
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। প্রত্যেকদিন চেষ্টা করি আলাদা আলাদা বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হওয়ার। বেশ কিছুদিন ধরে শুধুমাত্র জেনারেল পোস্টই লেখা হচ্ছে। আসলে বাবার বাড়িতে থাকার কারণে খুব একটা রেসিপি করতে পারছি না। কারণ আমাদের এখানে সকালে সব রান্নাবান্না হয়। আর আমার সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই রেসিপির ফটোগ্রাফি করতে পারিনা। তাই ফোনের গ্যালারি ঘাটতে শুরু করলাম। যেটা আমি মাঝেমধ্যেই করে থাকি। এতে করে একটা না একটা উপায় পেয়েই যাই। আজকে পেলাম বেশ কিছু ফটোগ্রাফি যেগুলো আমার গ্রাম থেকেই করা বেশ অনেকদিন আগের ভাবলাম সেগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
আমাদের এখানে এখন ধানের পাশাপাশি বেশ কিছু সবজি ফলমূল চাষ হচ্ছে। আমাদের এখানে লাল মাটির জমি ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি ধান এবং ভুট্টা ছাড়া কোন কিছুই হত না। তবে এখন চাষ পদ্ধতির পরিবর্তনে এসেছে। আশেপাশের এখন প্রায় জমীতে ফলমূল ছাড়াও বিভিন্ন শাকসবজি চাষ করা হয়। যেহেতু আমরা ছোট থেকে শুধুমাত্র ধান এবং ভুট্টা চাষ দেখেছি তাই অনেকটা আগ্রহ নিয়ে আমি গিয়েছিলাম শাকসবজি এবং ফলমূলের বাগান দেখতে। আর সেখান থেকে এই ফটোগ্রাফি গুলো করা ছিল।
আমি যদি ভুল না করি অনেকদিন আগে আমার চাচাতো ভাইয়ের পেয়ারা বাগানে পেয়ারা তুলতে যাওয়ার মুহূর্ত আমি শেয়ার করেছিলাম। সেখানকার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি রয়ে গিয়েছিল। একই জমিতে মিশ্র ফসল চাষ করা হয়েছিল পেয়ারা গাছ, বরই গাছ এবং সজনে গাছ।এবং পাশের জমিতে ছিল লাউ গাছ। যেখানে প্রচুর পরিমাণে লাউ ধরেছিল। এছাড়া আশেপাশের আরো জমিতে মরিচ গাছ ছিল, শসা গাছ ছিল, টমেটো গাছ ছিল। গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফসল হয়েছিল।
আমরা যত বড় বড় স্থানে ঘুরতে যাই না কেন গ্রাম আমাদেরকে বরাবরই তার সৌন্দর্যের কারণে টানে। অন্তত আমাকে তো বেশি করে টানে। তাইতো আমি গ্রামে আসলে মন খুলে ঘোরাঘুরি করি। ফটোগ্রাফি গুলো দেখার পর আমার আবারো যেতে ইচ্ছে করছে সেই বাগানে। বিশেষ করে আপনাদের ভাইয়ার খুব আগ্রহ আছে সেখানে যাওয়ার। এবার হয়তো আর সময় হবে না কারণ পরশুদিন আমরা শহরে চলে যাব। পরেরবার আসলে আবারো হয়তো যাবো সেই বাগানে। চেষ্টা করব বাগানের বর্তমান অবস্থা আপনাদের সাথে শেয়ার করার।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছে। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে।সবার ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
আসলে আজকে আপনার শেয়ার করা প্রতিটা ফটোগ্রাফি অনেক ভাল ছিল বিশেষ করে ধান ক্ষেতের ছবিটা অনেক বেশি ভালো হয়েছে। আর আপনি যে পেয়ারাটি খেয়ে তার ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আমরা একটু কষ্ট পেয়েছি। কারণ আপনি মজা করে পেয়ারা খেয়েছেন এবং আমাদের লোভ দেখিয়েছেন। আসলে আপনি অনেক সুন্দর একটা সময় এই ফটোগ্রাফি করতে গিয়ে কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম দাদা।আসলে পেয়ারাগুলো এত মিষ্টি ছিল যে আমরা পেয়ারা তুলতে তুলতে অনেকগুলো খেয়ে ফেলেছিলাম। আর তারই একটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। কষ্ট দেওয়ার জন্য দুঃখিত দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
গ্রাম হচ্ছে প্রকৃতির সৌন্দর্যের সেরা। পৃথিবীতে যতই দার্শনিক থাকুক সকলেই গ্রামের মায়ায় আসক্ত গ্রামের সৌন্দর্যে অভিভক্ত। যেমনটা আপনার ক্ষেত্রেও হয়েছে । তবে ফটোগ্রাফি গুলি অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। গ্রামীন পরিবেশে চাষ করা কিছু ফসল আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্টটি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো আপু। আশা করছি পরবর্তীতে গ্রামে গেলে আপনি সেই পেয়ারা বাগানের দারুন দারুন ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করবেন।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া পৃথিবীতে যতই দার্শনিক স্থান থাকুক না কেন গ্রামের সৌন্দর্য আলাদা। আমি গ্রামে আসলে বরাবরই অনেক ভালো সময় কাটায়।ধন্যবাদ ভাইয়া ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এটা একদম ঠিক বলেছেন আপু আমরা যে কোন জায়গাতেই যাই না কেন গ্রামীণ সৌন্দর্যের কাছে আর কিছুই নেই। আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এরকম শাকসবজি কিংবা ফলমূলের বাগান দেখতে ভালই লাগে। বিশেষ করে গাছে শাকসবজি কিংবা ফলমূল হলে আরও বেশি ভালো লাগে দেখতে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হলাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনি বেশ সুন্দর সুন্দর এলোমেলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন। এইরকম প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার তোলা সব গুলো ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে আপু।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাবার বাসায় গেলে রান্না বান্না করা হয়না তাই রেসিপি তৈরি করতে পারেননি আপু। অনেক সময় এমন হয় শেয়ার করার মত কোনো পোস্ট থাকে না। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
হ্যাঁ আপু বাবার বাসায় এসে একদমই রেসিপি করা হচ্ছে না। আমি ঘুম থেকে ওঠার আগেই সব রান্না কমপ্লিট হয়ে যায়। তাই অনেক খুঁজে এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার লেখায় গ্রামীণ জীবনের প্রতি আপনার গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ পায়। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমরা যেন আপনার সাথে সেই সব সুন্দর মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিতে পারছি। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি অনুপ্রেরণামূলক পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
গ্রাম আমার বরাবরই অনেক পছন্দের জায়গা। যদিও সেই পড়াশোনা থেকে শুরু করে বিয়ের পর শহরে থাকতে হয়।কিন্তু আমি সময় পেলে গ্রামে ছুটে চলে আসি। কারণ গ্রামের মতো শান্তি আমি আর কোথাও খুঁজে পাই না। যাইহোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে বেশ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার এ রেনম ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। যেখানে ফসলের মাঠ সবজি ফল খুব সুন্দর ভাবে মোবাইলে ক্যাপচার করেছেন। এত সুন্দর একটি পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পুরনো অ্যালবাম থেকে নেওয়া রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। এরকম অ্যালবাম বারবার পুরনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়। আপনার গ্রামের প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমারও গ্রামের বাড়িতে যেতে ইচ্ছা করছে। দাঁতে কাটা পেয়ারার ফটোগ্রাফি টা অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সবশেষে এত সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন তাইতো ফটোগ্রাফি গুলো দেখার পর আবার সেই বাগানে ইচ্ছে করছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য।