গ্রামে শেষ দিনে পুরো গ্রাম ঘোরাঘুরির মহূর্ত
"হ্যালো",
গতকাল দীর্ঘদিন গ্রামে থাকার পর শহরে চলে এসেছি। গ্রাম থেকে এসে খুব খারাপ লাগছে।বরাবরই আমার এমন হয় কারণ শহর আমার একদমই ভালো লাগেনা।যাইহোক আমি আমার গত পোস্টে বলেছিলাম আমার শ্বশুর বাড়ির লোকদেরকে দাওয়াত করা হয়েছিল বাবার বাড়ি থেকে। তো আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে আমার দেবর এবং দেবরের বউ গিয়েছিল আমাদের বাড়িতে দাওয়াতে। আমি আমার গ্রামের সৌন্দর্যের কথা সবসময় তাদের কাছে প্রশংসা করতাম। তাই তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছিল আমার ছোট্ট গ্রামটি ঘুরে দেখার।
তো আমরা সকালে খাওয়া দাওয়া সম্পন্ন করে বেরিয়ে পড়েছিলাম গ্রাম ঘুরতে।আর আমার মা নারকেল কুরছিলেন বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানানোর জন্য। তো বাসা থেকে বের হয়েই দেখলাম আমার বড়মা এবং ফুফুরা মিলে বসে খড়ের ঝাড়ু বাঁধছিলেন। গ্রামীন এই দৃশ্য গুলো সত্যিই ভালো লাগার মতো। এরপর তারা আমার সঙ্গে পেয়ারা বাগানে যেতে চাইলো। আপনাদের কি মনে আছে আমি পেয়ারা বাগানের ভিডিওগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম। তো আমাদের সাথে বাবু ছিল তাই আর বেশি দূরে পেয়ারা বাগানে যেতে পারিনি। তারপরও বাগানের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলাম যাতে তারা দূরে থেকে বাগানটি দেখতে পারে।
আমাদের গ্রামে বড় একটি পুকুর আছে সেই পুকুর পাড়ে দৃশ্যটা অনেক সুন্দর সেখানে দাঁড়িয়ে বাবু এবং আমার দেবরের বউ বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিল। এবার পুকুর পাড় থেকে চলে আসি আমাদের বাড়ির পেছনে যেখানে আমি সরিষার তুলতে গিয়েছিলাম জমিতে তার পাশে। ওদের ইচ্ছা ছিল সরিষার জমিতে যাওয়ার কিন্তু প্রচুর পরিমাণে রোদ থাকায় আর সেখানে যাওয়া হয়নি।
আসলে গ্রাম দেখায় এতটাই মগ্ন ছিলাম যে কিছু ফটোগ্রাফি করবো সেটাও ভুলে গিয়েছিলাম। তাই বাবু এবং আমার ছোট দেবরের বউয়ের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়েই পোস্টটি লিখলাম। গ্রাম ঘুরা শেষ হয়ে গেলে আমরা খাওয়া দাওয়া করে বিকেল বেলা সবাই শহরে চলে এসেছি।
আমি গ্রামে গেলে সব সময়ই অনেক ঘোরাঘুরি করি। বাসার মধ্যে একদম থাকতে ইচ্ছে করে না আমার। তো বন্ধুরা এই ছিল আমার গ্রামে ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত। আশা করছি ভালো লেগেছে। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে আবারো নতুন কোন ব্লগে।
গ্রামে ঘোরাফেরা করা এবং গ্রামীণ দৃশ্য গুলো উপভোগ করার মজাই অন্যরকম। গ্রামের দৃশ্যগুলো দেখতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে। আপনার বড় মা এবং ফুফুরা মিলে বেশ সুন্দর ঝাড়ু তৈরি করছে। আপনার আম্মু নারকেল দিয়ে পিঠা তৈরি করবে। খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। দেখে বেশ বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমি এই দৃশ্যগুলো উপভোগ করার মজাই আলাদ। সব মিলিয়ে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে সব সময় সুন্দর হয়। আমার কাছেও গ্রামীণ পরিবেশ খুবই ভালো লাগে। আর এই গ্রামের পরিবেশে আমাদের শায়ান বাবুর ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। আর আপনার মায়ের হাতের নারিকেল কোরা দেখে বেশ বুঝতে পারছি খুব মজা করে শীতের পিঠা খেয়েছেন। সব মিলিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
হ্যাঁ ভাইয়া শীতের বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি খাওয়া হয়েছে মায়ের হাতের।আর বাবু তো গ্রামে গেলে বরাবরই অনেক খুশি হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার গ্রামে ঘুরে বেড়ানোর মুহূর্ত গুলো সত্যি বেশ ভালো লাগলো। এরকম গ্রামে ঘুরে বেড়াতে আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে ।যদিও গ্রামে খুব একটা যাওয়া হয় না । আপনি তো তবুও মাঝে মাঝে যাওয়ার সুযোগ পান এবং বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেন ।এবার দেবরের বউকে নিয়েও ভালোই ঘোরাঘুরি করলেন দেখে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
শহরে থাকতে একদমই ভালো লাগে না আপু তাই মাঝেমধ্যে বাবুকে নিয়ে গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করি। এতে করে বাবুর এবং আমার খুব ভালো সময় কাটে।
গ্রামে অবস্থান করার বেশ সুন্দর মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু। আসলে শহরে যারা থাকে তারা গ্রামে আসলে যেন আর থেমে থাকতে চায় না। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে অনেকটা সময় বিলিয়ে রাখতে চাই। এদিক থেকে ওদিক, ওদিক থেকে এদিকে ঘোরাঘুরি; আত্মীয়-স্বজনদের সাথে বিভিন্ন গল্প এছাড়াও বিভিন্ন কিছু তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ঠিক এভাবে। যাইহোক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আর ঘোরাঘুরির মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
হ্যাঁ ভাইয়া শহরে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি চলে এসেছে। তাই মনটা সব সময় গ্রামের দিকে ছুটে যায়।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া শুনলে মন্তব্যের জন্য।