ঘোরাঘুরি এবং সাথে কিছু দ্বায়িত্ব পালন
"হ্যালো",
গ্রামে এসেছি বেশ কয়েকদিন হবে। কেন এসেছি সেই বিস্তারিত ঘটনা আমি আগের ব্লগে বলেছি।আর তাছাড়াও গ্রামে থাকতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাইতো সময় সুযোগ পেলেই চলে আসি। আমি গ্রামে আসলে প্রতিনিয়ত অনেক ছোট ছোট দায়িত্ব পালন করি। আমার মনে হয় প্রত্যেক সন্তানেরই এটা করা উচিত। গত দুইদিন আগে আমার বাবা বাজারে যাচ্ছিলেন।আমি এবং বাবুর বাবা দুজন মিলে বাবার সঙ্গে যাব ঠিক করেছি। আমাদের এখানে একটি বড় মেলা হচ্ছে রাজা বিরাটের মেলা। অনেকে হয়তো রাজা বিরাট সম্পর্কে পাঠ্য বইয়ে পড়ে থাকবেন।
রাজা বিরাটে প্রত্যেক বছর বৈশাখ থেকে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত অনেক বড় মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলায় অনেক কাঠের তৈরি খেলনা, ফার্নিচার ছাড়াও আম, জাম কাঁঠাল, লিচু, বড় বড় মিষ্টি অনেক কিছু এই মেলায় পাওয়া যায়। যা সব আমাদের এলাকায় বিখ্যাত। এখানে বিশাল বড় বড় মিষ্টি বানানো হয়।যাইহোক আমার বাবা মূলত সেই বাজারে গিয়েছিলেন সরিষা থেকে তেল ভাঙানোর উদ্দেশ্যে। আমি প্রত্যেকবারই যখন বাসায় আসি তখন আমি এবং আপনাদের ভাইয়া দুজন মিলে ভালো মন্দ বাজার করে থাকি। এবং আমি সেগুলো নিজের হাতে রান্না করে বাবা মাকে খাওয়াই। যদিও তারা কোনো কমতি রাখে না বাজারের তারপরও আমরা নিজ থেকেই এই দায়িত্বটা পালন করে আসছি।
যাই হোক প্রথমে আমরা তেল ভাঙ্গানো মেশিনের কাছে গেলাম গিয়ে দেখলাম সে লম্বা একটা সিরিয়াল। এবার বাবুকে নিয়ে তো আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করা যায় না। তাই আপনাদের ভাইয়া অনুরোধ করে আমাদের সিরিয়ালটা আগে নিয়েছিল। আমি অনেক কৌতুহল নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে বিষয়গুলো স্বচক্ষে দেখছিলাম। আমার বেশ ভালো লাগছিল। এগুলো আমাদের বাড়িতে চাষ করা সরিষা। আমার মা-বাবা সরিষার তেলের রান্না খান সারা বছর।
এরপর তেল ভাঙ্গানোর কাজ শেষ হয়ে গেলে আমরা মেলার কিছু খাবার কেনাকাটা করছিলাম।মেলার এই ঝুড়ি ভাজা গুলো আমার খুবই পছন্দের একটু ঝাল ঝাল লাগে খেতে বেশ ভালো লাগে। আর সাদা রঙের যে ঝুড়ি ভাজা গুলো সেগুলো দুধ দিয়ে খেতে খুব মজা লাগে। এরপর আমরা লিচু নিয়েছিলাম।বাজারে এবার লিচুর দাম বেশ চড়া। যাইহোক এরপর আমরা বেশ কয়েকটা মুরগী কিনেছিলাম বাসার জন্য। যেহেতু আমার বাবু মুরগির মাংস খেতে পছন্দ করে তাই একটু বেশি করেই নিয়েছিলাম।
এই মেলাটা মূলত রবিবারের দিন পুরোপুরি ভাবে বসে আমরা যেহেতু সোমবার গিয়েছিলাম তাই সেদিন মেলায় বেশি কিছু ছিলোনা।এরপর যদি কখনো সময় হয় মেলার সবকিছু ঘুরে ঘুরে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করব।
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি।দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মা-বাবা যতই করুক নিজের ও ইচ্ছে করে তাদের জন্য কিছু করতে।আপনি মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব পালন করেন যা পড়ে মুগ্ধ হলাম আপু।অনেক আগের পোস্টে ও পড়েছিলাম আপনি মা-বাবার কথা বেশ ভাবেন।আপনি বেশ কিছু মুরগি নিলেন,লিচু তো সবেমাত্র বেড়িয়েছে তাই দামটা একটিু বেশীই।তারপরেও নতুন ফল নতুন দিনে সবাইকে নিয়ে খেতে পারলে ভালো ই লাগে।
হ্যাঁ আপু বাবা-মা যতই করুক আমাদেরও তো একটু ইচ্ছে করে তাদের জন্য কিছু করার। আমি প্রত্যেকবারই গ্রামে আসলে তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি।লিচুর দামের কথা আর বলবেন না আপু অনেক দাম নিয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
বাড়িতে এভাবে সরিষা চাষ করে যদি তেল তৈরি করা হয় তাহলে একদম সঠিক তেলটি পাওয়া যায়। তবে আপনার বাবা মা সারা বছর সরিষার তেল খান এটি খুবই ভালো বিষয়। স্বাস্থ্যের জন্য সরিষার তেল আমাদের খুবই উপকারী। তেল ভাঙ্গানো মেশিন এর কাজ শেষে আপনারা মেলায় গিয়েছিলেন। তারপর সেখানে একটু ঘোরাঘুরি করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার সম্পূর্ণ পোস্ট খুবই ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ ।
হ্যাঁ আপু সরিষার তেল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আমার বাবা মা সারা বছর সরিষার তেলের রান্না খান। যেগুলো বাসায় চাষ করা হয়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন আপু আপনি। মেলায় গেলে বেশ ভালো লাগে মেলায় ঘোরাঘুরি করতে এবং বিভিন্ন ধরনের নাস্তা গুলো খেতে। ছোটবেলায় এই ধরনের গ্রামীন বৈশাখী-মেলাগুলো অনেক দেখেছি অনেক সময় কাটিয়েছি মেলায়। বড় হয়ে সেই মেলাগুলোকে অনেক বেশি মিস করি। আপনি সরিষা ভাঙ্গাতে গিয়ে মেলায় ঘোরাঘুরি করলেন। মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমাদের এই মেলাটা দীর্ঘ সময় ধরে হয়। ছোটবেলায় কতো গিয়েছি বাবার সঙ্গে, নানার সঙ্গে। কতো খেলনা, কাঁচের চুড়ি আরও কতো কি যে কিনেছি। সেসব এখন শুধু স্মৃতি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপু সারাবছর সরিষার তেল দিয়ে রান্না করে খাবার খেতে পারলে খুবই ভালো হয়। আমি ৪০ কেজি সরিষা কিনেছিলাম ৪,০০০ টাকা দিয়ে। সরিষা ভাঙ্গানোর পর ১৫ লিটার তেল বের হয়েছিল। আবারও কিছু সরিষা কিনতে হবে। যাইহোক সরিষা ভাঙ্গানোর পর তো অনেক কিছুই কিনলেন। মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আসলেই খুব ভালো লাগে। ১০০ লিচু তো এখন ৫০০ টাকার নিচে পাওয়াই যায় না। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।