মজাদার পুডিং এর রেসিপি 🍮🍮
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব পুডিং এর রেসিপি। আমার ছেলে দুধ এবং ডিম দুটোই খেতে পছন্দ করে না।কিছুদিন আগে বাসায় পুডিং বানানো হয়েছিল মাঝেমধ্যেই বানিয়ে থাকি তবে কখনো সে টেস্ট করেনি। কিন্তু সেদিন হঠাৎ করেই প্রায় অর্ধেক পুডিং খেয়ে ফেলেছিল সে।ভাবছিলাম হয়তো পছন্দ করেছে। তাই গতকাল সন্ধ্যায় আবারো বানিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় এক টুকরো মুখে দেয়নি। বাসার অন্যান্য সদস্যরা মিলে খেয়েছি। বেশ ভালো হয়েছিল খেতে। যাইহোক বন্ধুরা বেশি কথা না বাড়িয়ে রেসিপিতে চলে যাই।
উপকরনসমূহঃ | |
---|---|
দুধ | হাফ কেজি |
ডিম | চার টি |
চিনি | পরিমাণমতো |
ভ্যানিলা এসেন্স | পরিমাণমতো |
ধাপ-১
প্রথমে হাফ লিটার পরিমাণ দুধ ভালো ভাবে ছেঁকে ছোট একটি পাতিলে নিয়ে চুলায় বসিয়ে গাঢ় করে গরম করে প্রায় অর্ধেক করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার দুধ ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে চুলায় একটি সস্ প্যান বসিয়ে পরিমাণমতো চিনি এবং সামান্য একটু পানি দিয়ে ক্যারামেল তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর যে পাত্রে আমি পুডিং বসিয়ে দিব সেই পাত্রে ক্যারামেলটুকু ঢেলে সেট হওয়ার জন্য রেখে দিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার আরেকটি বাটিতে পরিমাণমতো চিনি এবং চারটি ডিম ভেঙ্গে দিয়ে ভালোভাবে বেটার টি ফেটিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫
ডিম এবং চিনির মিশ্রণটি ভালোভাবে ফেটানো হয়ে গেলে ঠান্ডা করে রাখা দের কাপ পরিমাণ দুধ দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এখানে আমি ডিমের গন্ধ দূর করার জন্য ভ্যানিলা এসেন্স এড করেছি। আপনারা চাইলে যে কোনো ধরনের ফ্লেভার ব্যবহার করতে পারেন।
ধাপ-৭
এবার ক্যারামেল যে বাটিতে সেট হতে রেখে দিয়েছিলাম সেই বাটিতে পুডিংয়ের মিশ্রণ একটি ছাকনা দিয়ে ছেঁকে দিয়েছি।
ধাপ-৮
এবার চুলায় একটি বড় কড়াই বসিয়ে মাঝে একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পানি গরম হয়ে গেলে পুডিংয়ের বাটি বসিয়ে দিয়েছি। এরপর প্রায় ৪৫ মিনিট হালকা মিডিয়াম আঁচে রেখে দিলেই পুডিং রেডি।
ধাপ-৯
এরপর কড়াই থেকে পুডিং এর বাটিটি নামিয়ে ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিয়েছি।
❤️পরিবেশন❤️
এবার পুডিং ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি প্লেটে নিয়ে ফ্রিজে কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা করে নিয়ে পরিবেশন করেছি।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের পুডিং এর রেসিপি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর খুবই পারফেক্টলি হয়েছিলো পুডিং টি। মূলত বাবুর জন্যই বানিয়েছিলাম তারপর ও যখন খায়নি তখন আমরা বাকিরা সবাই খুব মজা করে খেয়েছিলাম। যাইহোক বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন রেসিপি বা অন্য কোন বিষয় নিয়ে।
পুডিং এর মজাদার রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এমন জিনিস খেতে আমার কাছে ও অনেক ভালো লাগে। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করেছিলেন বলে এটা খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছিল বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে।
হ্যাঁ ভাইয়া পুডিং বানিয়ে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাচ্চারা এমনই একই জিনিস একদিন খাবে তো আরেক দিন খাবে না। অদের মর্জির উপর ওদের খাওয়া নির্ভর করে। তা যাই হোক পুডিং খেতে আমিও পছন্দ করি।ক্যারামেল ও দুধের ঘনত্বের উপর নির্ভর করে পুডিং এর স্বাদ। বেশ হয়েছে দেখতে আপনার পুডিংটি। খেতে মজা হয়েছিল দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ মজাদার পুডিং এর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চারা কখন কি পছন্দ করে বলা মুশকিল। পুডিং বানাতে গেলে অনেক কিছুই খেয়াল রাখতে হয়। বিশেষ করে দুধের ঘনত্ব এবং ক্যারামেল। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। পুডিং আমারও বেশ পছন্দের। আপনার রেসিপিটা দেখে এখন পুডিং খেতে ইচ্ছে করছে। আসলে বাচ্চারা এরকমই একদিন একটু মুখে দিলে পরে আবার ওই জিনিস খেতে চায় না। পুডিং তৈরি করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু তার খাওয়া দেখে ভেবেছিলাম তার হয়তো পছন্দ হবে খেতে কিন্তু বানানোর পর একটুও মুখে তুলেনি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলে আপু বাচ্চারা এমনি মনে নিয়ে কথা, মন চাইলে খাবে কিন্তু মন না চাইলে আর খাওয়ানো সম্ভব নয়। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে। আসলে আপু নিজের হাতে তৈরি পুডিং সব সময় মজার হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পুডিং টি খেতে খুবই মজা হয়েছিল আপু কিন্তু আমার ছেলে একটুও খায়নি। যাই হোক আমরা বাকিরা তো মজা করে খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
চমৎকার একটি রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে তৈরি করে দেখিয়েছেন আপু। আপনার তৈরি করা এ মজাদার রেসিপিটা সত্যি আমার কাছে বড় লোভনীয় মনে হয়েছে। এমন লোভনীয় রেসিপিগুলো আমার খুবই প্রিয়।
সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। এই ধরনের রেসিপি গুলো আমারও অনেক পছন্দের।
ছোট বাচ্চারা দুধ ডিম খেতে চায় না। তবে এবারের পুডিং হয়তো তার কাছে ভালো লেগেছিল। তাইতো অনেকটা খেয়ে ফেলেছে।পুডিং তৈরীর পদ্ধতি দেখে ভালো লাগলো আপু। দারুন হয়েছে রেসিপি।
হ্যাঁ আপু বাচ্চারা ডিম দুধ খেতে না চাইলে এভাবে পুডিং বানিয়ে দিলে তারা খুব পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ইউটিউব দেখে কয়েকদিন আগে আমিও এমন একটা পুডিং এর রেসিপি তৈরি করেছিলাম। সত্য কথা বলতে এগুলো তৈরি করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা এই পুডিং দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
হ্যাঁ আপু পুডিং বানানো খুবই সহজ পরিমাপ এবং রান্নার পদ্ধতি জানা থাকলে এটি খুব সহজেই তৈরি করা যায়। আর খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়। আমার এই পুডিং টি খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
ইউটিউব দেখে কয়েকদিন আগে আমিও এমন একটা পুডিং এর রেসিপি তৈরি করেছিলাম। সত্য কথা বলতে এগুলো তৈরি করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা এই পুডিং দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
বাচ্চারা এমনি আপু যখন কোথায় দেখে কিংবা কারো কাছ থেকে দেখে তখন খাওয়ার চেষ্টা করে। তখন খেয়েও দেখায়। আবার ঘরে বানাইলে হয়ত মাঝে মাঝে খেয়ে থাকে। যখন আবার তৈরি করা হয় তখন কিন্তু খাই না। এত কষ্ট করে আপনি তৈরি করলেন কিন্তু খাইলো না খুবই দুঃখের বিষয়। তবে মাঝে মধ্যে তৈরি করলে হয়তো খেতে পারে। পুডিং এর কালার দেখে খুবই ভালো লেগেছে।
একদিন ওর জন্য বানিয়েছিলাম খেয়েছিল ভেবেছিলাম হয়তো পছন্দ হয়েছে তাই আবারও বানিয়েছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় সে খায়নি। কি আর করার আমরা বাসার সবাই খেয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।