ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে বিশ্বাস করে যে কোনো প্রান্তে যাওয়া যায় ❤️
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সামনে সুন্দর একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি সবসময় বাস্তব ঘটনা গুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করি। আজকেও সুন্দর একটি ভালোবাসার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ভালবাসলে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাওয়া যায় এটার অনেক প্রমাণ আমাদের দেশে কিংবা আশেপাশের সব জায়গাতেই আছে। তেমনি রহিমা নামের এক মেয়ে কাদেরকে ভালোবেসে সেই সুদূর বরিশাল থেকে আমাদের গ্রামে এসে সুন্দরভাবে সংসার করছে। এবং তাদের এই সুন্দর সম্পর্ক সবার কাছে অনুপ্রেরণা যোগায়। তো যাই হোক বন্ধুরা শুরু করছি আজকের গল্পটি। আশা করছি ভালো লাগবে।
কাদের মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে হলেও অনেকগুলো ভাই বোন হওয়ায় অভাবে তাদের সংসার চলে। কাদের সিদ্ধান্ত নেয় বরিশাল গিয়ে কাজ করবে। কাদের বরিশাল গিয়ে রহিমাদের বাড়িতে বেশ কয়েক মাস কাজ করতো।আর সেখানে কাজের সুবাদেই রহিমার সাথে কাদের এর পরিচয় হয়।পরিচয় থেকে প্রেমের শুরু। রহিমা খুবই পর্দাশীল মহিলা এবং রহিমা আর পরিবার ও খুবই ধর্মভিরু। তারা মান সম্মানের ভয়ে কাদেরের সঙ্গে রহিমার বিয়ে দিয়ে দেয়। এবং তার পরিবার বলে তাদেরকে সেখানেই থেকে যেতে হবে কারণ তারা মেয়েকে এত দূরে পাঠাবে না একা একা। কিন্তু কাদের সেটাতে কিছুতেই রাজি নয় তখন রহিমা পরিবারকে বোঝায় যে কাদেরের প্রতি তার বিশ্বাস আছে কাদের তার কোনো ক্ষতি হতে দেবে না।
অবশেষে তারা গ্রামে এসে পৌঁছায়। যেহেতু কাদেরের পরিবারে খুবই অভাব ছিল তাই রহিমা এবং কাদের দুজন মিলে কঠোর পরিশ্রম করে এবং ছোট্ট একটা জায়গা কিনে বাড়ি করার জন্য। আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখেছি রহিমা বেগম কতটা কষ্ট করে তার সংসার আজ প্রতিষ্ঠিত করেছে। রহিমা কাদেরের ঘরে এক মেয়ে দুই ছেলে। মেয়ের বেশ ভালো পরিবারে বিয়ে দিয়েছে। ছেলেগুলো পড়াশুনা করছে। এখনো তারা কঠোর পরিশ্রম করছে যেনো তাদের ছেলেদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়।
উনি সম্পর্কে আমার চাচি হন। আজ হঠাৎ করে উনার সঙ্গে দেখা হলো এবং অনেকক্ষণ গল্প হল ভাবলাম ওনাকে নিয়ে কিছু লিখি। একটা মানুষ কষ্ট করলে এবং ভালোবাসা থাকলে বিশ্বাস থাকলে ছোট থেকে অনেক বড় হতে পারে উনি তারই প্রমাণ। তারা মাঝেমধ্যেই বরিশাল ঘুরতে যায়। উনি পরিশ্রমী ছিলেন কাঁধে করে কাঠ,বাঁশ কতো কি নিয়ে গ্রামের পাশ থেকে ওপাশে গেছেন,অন্যের বাড়িতে কাজ করেছেন। তার এই কষ্টগুলো যখন দেখতাম তখন মনে হতো আমাদের এই ছোট ছোট কষ্টগুলো তার কষ্টের কাছে কোন কিছুই না। যাক অবশেষে তারা এখন সুখী দম্পতি।
তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শিক্ষা নেওয়া দরকার। যেমন কিভাবে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক রাখা যায়,বিশ্বাস স্থাপন করা এবং একে অপরের পাশে কিভাবে চিরজীবন স্বার্থ ছাড়া থাকা যায় এসব কিছু। তো যাইহোক বন্ধুরা আজকের গল্পটি এ পর্যন্তই। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানাবেন।
সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে ভালোবাসার মানুষটি যদি সঠিক হয় তাহলে সেই ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে মরে যেতেও আমাদের ইচ্ছা করে। এই পৃথিবীতে ভালোবাসার মানুষের জন্য আমরা যে কোন কিছু করতেই রাজি আছি। আসলে এই ভালোবাসার মানুষকে বিশ্বাস করি বলে ভালোবাসার মানুষটি আমাদের কাছে অনেক বেশি স্পেশাল। আসলে আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুব সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া গল্পটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলে আপু ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে আগে। আর বিশ্বাস থাকলে ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে পৃথিবীর যেকোন জায়গায় যাওয়া যায়।রহিমা ও কাদের দুজ দুজনের প্রতি বিশ্বাস ছিল তাই তারা কঠোর পরিশ্রম করে সফল হয়েছে। বিশ্বাস, পরিশ্রম আর ধৈর্য্য থাকলে সব সম্ভব। ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন বিশ্বাস, ভালোবাসা, পরিশ্রম এবং ধৈর্য থাকলে যেকোনো কষ্টকে দূরে ঠেলে দেওয়া যায়।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু ভালোবাসার টানে এরকম দূর-দূরান্তে ছুটে যাওয়ার কাহিনী এখন প্রায়ই শোনা যায় ।আসলে সত্যিকারের ভালোবাসা দূরত্ব মানে না ।বিশ্বাসটাই সবথেকে বড় ব্যাপার ।বিশ্বাস করে রহিমা কাদেরের বাড়িতে চলে এসেছে এবং সুখে জীবন যাপন করেছে এবং আজ বেশ ভালো অবস্থায় আছে জেনে ভালো লাগলো ।আসলে সমাজের এই ছোট ছোট ঘটনাগুলি আমাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়। বেশ ভালো লাগলো আপনার গল্পটি।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালোবাসার কাছে যে কোনো কষ্টই তুচ্ছ। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো আপু।
ভালোবাসা থাকলে এবং ভালোবাসার মানুষের উপর বিশ্বাস থাকলে সব কিছুই করা সম্ভব। তারই একটা সুন্দর উদাহরণ গল্পের মাধ্যমে আপনি আমাদের দিয়েছেন আপু। কাদের এবং রহিমা নামের যে দুইজন মানুষের ভালোবাসার গল্প এবং তাদের পরিশ্রমের কথা এখানে তুলে ধরেছেন, সেটা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি শিক্ষামূলক। আজ হয়তো তারা অনেক সুখী তাদের পরিবার নিয়ে। তবে একটা সময় তারা অনেক বেশি পরিশ্রম করেছে কিন্তু কখনো ভালোবাসার মানুষের হাত ছেড়ে দেয়নি।
আমাদের সামনে অনেক ঘটনায় থাকে যেগুলো থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। যেমনটা এই ঘটনা থেকে কিছু শিক্ষা নেওয়ার ব্যাপার থাকে।যেমন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং একে অপরের পাশে থাকা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
সত্যিকারের ভালোবাসা গুলো অন্য রকম। আসলেই ভালোবাসার মানুষের হাত ধরে যেকোনো জায়গায় বসবাস করা যায়। মন থেকে কাউকে ভালোবাসলে অবশ্যই প্রতিনিয়ত সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করে। কাদের এবং রহিমা জীবনে অনেক কষ্ট করেছে এবং তারা অবশেষে সফল হয়েছে। তাদের কাছ থেকে অবশ্যই আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। বিশেষ করে যারা লোভী এবং সুযোগ সন্ধানী মানুষ, তাদের উচিত এসব গল্প পড়ে শিক্ষা গ্রহণ করা। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।