বেকার ছেলে || জেনারেল রাইটিং
"হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি পোস্টে স্বাগতম। আজকে একটি বাস্তব ঘটনা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আশা করছি ঘটনাটা আপনার কাছে ভালো লাগবে এবং এটা থেকে অনেক কিছু আমাদের শেখার আছে। প্রত্যেকটা বাবা-মায়ের ইচ্ছে থাকে মেয়েকে একটা সুপাত্রের হাতে দান করবেন। কিন্তু অনেক সময় ছেলে মেয়ে নিজেরাই নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে এতে করে বাবা মা চাইলেও কিছু করতে পারেন না। একটা বেকার ছেলে ভালোবেসে বিয়ে করার পর কি হয়েছিল সেই ঘটনাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
সাগর এবং রত্না একই কলেজে পড়াশোনা করে। তারা একে অপরকে খুবই ভালোবাসে। রত্নার বাবা একজন চাকরিজীবী। রত্নার ভাই ডাক্তারি পড়াশোনা করছে এবং রত্না কলেজে পড়ছে। রত্নার বাবা মনে মনে ভাবেন তিনি বেঁচে থাকতে এই মেয়েকে ভাল দেখে বিয়ে দিবেন। এই ভেবে ছেলে দেখাশোনা শুরু করেন। এই কথা রত্না কোনো ভাবে শুনে ফেলে। এরপর সে তার পরিবারে জানিয়ে দেয় সে সাগর নামে একটি ছেলেকে ভালোবাসে।রত্নার বাবা রত্নাকে খুবই ভালো ভালোবাসে। তার মেয়ে যাতে কষ্ট না পায় তাই সবকিছু মেনে নেয়।
এবার দু পরিবার মিলে বসে সবকিছু ঠিকঠাক করে।সাগরও কথা সে খুব তাড়াতাড়ি কোনো একটা চাকরির ব্যবস্থা করবে।এবার খুব ছোট করে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এবার বলা ছেলে তার বাড়িতে এবং মেয়ে তার বাবার বাড়িতে থাকবে।এভাবে নতুন নতুন বেশ কয়েক মাস ভালোই চলছিল।এবার বিবাহিত জীবনে অনেক কিছুর দরকার পরে।এদিকে সাগর তখনও চাকরি জোগার করতে পারেনি। এবার রত্নার বাবা রেগে যায়।বলে মেয়েকে আর এভাবে রাখতে পারবে না। সাগরের বাবাও সাগরকে বলে তাদের দুজনকে বসে বসে খাওয়ানোর মতো সামর্থ্য তার নেই।
এবার সাগর কোনো উপায় না পেয়ে রত্নাকে নিয়ে ঢাকায় যায়।অনেক খুঁজে একটা কোম্পানিতে চাকরি পায়।যা বেতন পায় দুজনের বেশ ভালো দিন চলে যায়।এরপর তাদের পরিবারের সবাই খুবই খুশি। আসলে তারা যদি তখন ওদের খরচ না বন্ধ করতো তাহলে আজ হয়তো তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পরতো না।এজন্যই স্বাবলম্বী হয়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।যাইহোক বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী সময়ে অন্য কিছু নিয়ে।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি আপু তাদের এভাবে বাসা থেকে বের না করলে হয়তো তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারত না। যাইহোক আপু তারা দুজনে এখন ভালো আছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু গল্প টি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।