কয়েকবছর পর ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার অনুভূতি || শেষ পর্ব
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আমার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সেদিন প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আশা করছি আজকের পর ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
সেদিন খাওয়া দাওয়া করে আমার বাবা চাচারা চলে এসেছিলেন এবং আমরা সবাই মা চাচী এবং ভাবীরা সবাই মিলে আমার ফুফুর বাড়িতে থেকে গিয়েছিলাম। খাওয়া-দাওয়া সেরে আমরা এবাড়ি ও বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম যেহেতু অনেকদিন পর গিয়েছিলাম তাই সবার সঙ্গে দেখা হয়ে বেশ ভালো লাগছিল। আরো একটি মজার বিষয় হচ্ছে আমার দুই ফুপুর একই গ্রামে বিয়ে হয়েছে। তাই আতিথিয়তা একটু বেশিই পাচ্ছি। আমরা দাওয়াতে গিয়েছিলাম ছোট ফুফুর বাসায়। যাই হোক এরপর সন্ধ্যায় দেখি আমার ফুপু এবং ফুফাতো ভাবিরা পিঠা বানানোর আয়োজন শুরু করে দিয়েছিলেন। বিভিন্ন ধরনের তেল পিঠা পায়েস ভাপা পিঠা ইত্যাদি বানানো হচ্ছিল আমাদের জন্য।রান্নাঘরটা আঙ্গিনার মধ্যে ছিল।আমরা চুলার চারপাশ দিয়ে চেয়ারে নিয়ে বসে ছিলাম এবং গরম গরম পিঠা খাচ্ছিলাম।
এরপর রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই দেখি বড় ফুফু ডাকতে এসেছেন। আমরা ফ্রেশ হয়ে বড় ফুপুর বাসায় যাই। গিয়ে দেখি ফুপু মুরগির মাংস, চালের আটার রুটি, মাছ দিয়ে আলুঘাটি এবং ভাত রান্না করেছেন আমাদের জন্য।যদিও আমরা কেউ সকালবেলা ভাত খাইনি। মাংস দিয়ে চালের আটা রুটি টা বেশ মজা করে খেয়েছিলাম। আমার বড় ফুফুর দুই ছেলের আলাদা আলাদা বাসা। তাদের আবদার ছিল দুপুরে এবং রাতে যেন তাদের বাসায় খাই। আসলে এক জায়গায় এত আত্মীয় কার বাসায় রেখে কার বাসায় খাবো আমরা যেন কিছুতেই ভেবে উঠে পারছিলাম না। রাতে তো কারো বাসায় খাওয়া প্রশ্নই ওঠে না কারণ আমরা বিকেল বেলায় সেখান থেকে চলে আসব আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।
কিন্তু বড় ফুফুর ছোট ছেলে আর কিছুতেই ছাড়লো না দুপুরবেলা আমরা বড় ফুফুর ছোট ছেলের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। এদিকে ছোটপুকুর বাসায় এসে দেখি ছোট খুকু অনেক কিছু রান্নাবান্না করেছেন। যেহেতু আমরা দুপুরে খেয়ে এসেছি তাই চাইলেও আর খেতে পারব না।আমরা খাচ্ছিলাম না দেখে ছোট ফুফু অনেক মন খারাপ করছিলেন। তাই আমরা বাধ্য হয়ে বলেছিলাম বিকেলে যাওয়ার সময় অল্প করে খেয়ে যাব। যাইহোক বিকেল বেলা আমরা আসার সময় অল্প করে খেয়ে এসেছিলাম।
যেহেতু অনেকদিন পর গিয়েছিলাম তাই সবাই চাচ্ছিল আমরা আরো কিছুদিন থাকি। আপনাদের ভাইয়াকে আমার বাবার বাড়িতে রেখে গিয়েছিলাম কারণ আমার ফুফুর বাড়ির গ্রামে নেটওয়ার্কের অবস্থা খুবই খারাপ। তাই আর সেখানে থাকার মত পরিবেশ ছিল না। অনেকদিন সেখানে গিয়ে বেশ ভালো সময় কেটেছে এবং সবার সাথে দেখা হতে পেরে বেশ ভালো লেগেছে। জানিনা আবারও কত বছর পর যেতে পারবো। তবে ফুফুরা মাঝেমধ্যেই আমাদের বাড়িতে আসেন। সেই সুবাদে সবার সঙ্গে মাঝেমধ্যে দেখা হয়।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কয়েক বছর পর আপনার ফুফুর বাড়িতে যাওয়ার অনুভূতির প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। আজ আবার দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন । একটি গ্রামে আপনার দুটো ফুফুর বিয়ে হয়েছে জেনে ভালো লাগলো । একসাথে গিয়ে দুই ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে পারবেন। এবং সবার সাথে দেখা হয়েছে বেশ ভালো সময় পার করেছেন। সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু এখন গ্রামে দুই ফুপুর বাড়ি তাই আদরটা একটু বেশি।তারপর এত বছর পর গিয়েছি বলে কথা। সব মিলিয়ে বেশ ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি সেখানে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গেছেন এবং সেখানে খুবই সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছেন। যা আপনার পোস্ট দেখে এবং পরে বুঝতে পারলাম। আসলে আপু ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে আমার অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
ফুফু বাড়িতে বেড়াতে আসার সুন্দর এক মুহূর্ত আপনি কিন্তু আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বেশি ভালো লাগলো আনন্দ ঘন সুন্দর এক পরিবেশের মুহূর্ত দেখতে পেরে। যেখানে অনেকের উপস্থিতি আর ভালোলাগা মুহূর্তটা বর্ণনা সহকারে তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো লেগেছে আমার।
ফুফুর বাড়িতে বেশ ভালো মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
ফুপুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে চমৎকার সময় কেটেছে আপনার আপু।আপনারা সবাই একসাথে হয়ে খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। দুই ফুপুর একই গ্রামে বিয়ে হয়েছে।তাইতো বড় ফুপুর বাড়িতেও যেতে হলো। আর সবাই মিলে অনেক বেশি আনন্দের মধ্যে কাটালেন।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু, অনেকদিন পর সবাই মিলে একসাথে হয়ে খুব ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি সবার সাথে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।