স্বস্তির খোঁজে প্রকৃতির মাঝে
"হ্যালো",
ভালো আছি কথাটা বলতে হয় তাই হয়তো বলা ভালো আছি। আসলে প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে আমরা কেউই ভালো নেই। এই প্রচন্ড গরমে পশুপাখি থেকে জনমানবের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমাদের এখানে আজকে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি।বাসার মধ্যে কোনোভাবেই থাকা যাচ্ছে না। তবে এদিক থেকে গ্রামের মানুষ বেশ আরামে আছে। কারণ গ্রামে অনেক গাছপালা এবং প্রকৃতির সুন্দর বাতাস আছে। আমাদের বাসা একদম হাইরোডের সাথে সব সময় বড় গাড়ি চলাচল করে এই জন্য গরমটা আরো বেশি অনুভব করছি।
আজ সকাল থেকে কোনভাবেই বাসার মধ্যে থাকা যাচ্ছে না খুব কষ্ট করে বাসায় কাজকর্ম করছি। ঘুম তো নেই বললেই চলে। আমার বাচ্চাটারও বেশ কষ্ট হচ্ছে বুঝতে পারছি। তাই বিকেল হতেই আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম একটু স্বস্তির খোঁজে। যেটা শহরে নেই তাই আমরা রিক্সা নিয়ে শহরের পাশে যে গ্রামগুলো ছিল সেই গ্রামের মধ্যে গিয়েছিলাম। সত্যি কথা বলতে গ্রামের মধ্যে ঢোকার পর আমার কিছুতেই শহরে ঢুকতে ইচ্ছে করছিল না। মনে হচ্ছিল সেখানেই থেকে যায়। আমরা প্রায় ঘন্টাখানেক ধরেছিলাম রিক্সায় গ্রামের অলিগলিতে।
অতিরিক্ত গরমের জন্য আমরা অনেকটাই দায়ী। দিন দিন গাছ কেটে নিজেদের প্রয়োজন মেটাচ্ছি। ঠিক আছে নিজের প্রয়োজন মেটাতে যে গাছ কাটা হচ্ছে সেই একই জায়গায় আবার যদি আমরা নতুন করে গাছ লাগাতাম তাহলে হয়তো কিছুটা রেহাই পেতাম এই গরম থেকে।এখন আমাদের উচিত আমাদের আশেপাশে যত ফাঁকা জায়গা আছে এবং যে জায়গাগুলো পরিত্যক্ত ব্যবহার হয় না সেই জায়গাগুলোতে প্রচুর গাছ লাগানো। যদিও এটা গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময় নয় তবে বর্ষাকালে অবশ্যই আমাদের গাছ লাগানোর ব্যাপার টা মাথায় রাখতে হবে। হাজার হলেও আমরা মানুষরা সুবিধাবাদী তো কিছুদিন পর যখন বর্ষাকালে বৃষ্টির ফলে একটু ঠান্ডা অনুভব হবে তখন এই গরমের কথা আমরা ভুলেই যাবো হয়তো।
যাইহোক বিকেলটা বেশ ভালো সময় কেটেছে প্রকৃতির মাঝে। তবে বাসায় আসার পর আবারও সেই আগের অবস্থাতেই আছি। জানিনা এভাবে কত দিন চলবে তবে সৃষ্টিকর্তা যেন খুব দ্রুত রহমতের বৃষ্টি দেন।তা না হলে সত্যিই সামনের দিনগুলো খুব ভয়াবহ হতে চলেছে।আজ এখানেই শেষ করছি দেখা হবে পরবর্তীতে। আর হ্যাঁ সবাই খুব সাবধানে থাকবেন। কারণ এই গরমে প্রায় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে বয়স্ক লোক এবং ছোট বাচ্চারা।
সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা একদম ঠিক বলেছেন আপু এই গরমে আমরা কেউ ভালো নেই। বিশেষ করে বাচ্চারা আরো বেশি কষ্ট পাচ্ছে। প্রকৃতির এই ভয়ংকর রূপের জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। যাইহোক আপু শহরের আশেপাশের গ্রামে রিক্সা নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আর গ্রামীন পরিবেশে ঘোরাঘুরি করলে অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া যায়।
এই অতিরিক্ত গরমের কারণে শহরের মধ্যে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে আপু থাকতে থাকতে। মনটা চাচ্ছে গ্রামে চলে যাই। কি আর করার জীবন জীবিকার তাগিদে এখানেই থাকতে হবে। তাইতো একটু স্বস্তির জন্য গ্রামের দিকে ঘুরতে যাওয়া।
প্রকৃতির মাঝেই প্রকৃত সুখ।এই তাপদাহ গরমের মধ্যে প্রকৃতি আমাদের একটু খানি স্বস্তি দিচ্ছে।যারা একটু গ্ৰামের মধ্যে বসবাস করছি, তারা হয়তো কিছুটা হলেও সবুজ প্রকৃতির স্বস্তি উপভোগ করতে পারছি। আপনারা এই গ্ৰামের মধ্যে একটু খানি ঘোরাঘুরি করেছেন, দেখে ভালো লাগলো আমার কাছে।
এইটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্রামের মানুষ আমাদের মত এতটাও কষ্ট পাচ্ছে না কারণ সেখানে গাছপালা আছে, সুন্দর প্রকৃতির বাতাস আছে। যাই হোক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
এই তীব্র গরমে শহরের মানুষদের চেয়ে গ্রামের লোকজন অবশ্যই কিছুটা শান্তিতে আছে। কারণ গ্রামে প্রচুর গাছপালা রয়েছে বিধায় ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়। যাইহোক গ্রামের দিকে গিয়ে বিকেলবেলা বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছেন আপু। গরমের দিন গ্রামের দিকে বিকেলে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগে। বৈশাখ মাসের কতদিন চলে গেলো,কিন্তু কালবৈশাখী ঝড়ের কোনো দেখা নেই। আশা করি খুব শীঘ্রই ঝুম বৃষ্টি হবে এবং আবহাওয়া ঠান্ডা হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।