হাতে মেহেদি লাগানোর অনূভুতি ❤️
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি।ঈদের পরবর্তী দিনগুলো আশা করছি সবার খুব ভালো কাটছে। যদিও বয়সের সাথে সাথে ঈদের আনন্দ গুলো বদলে যায়। ছোটবেলায় ঈদে কত আনন্দ করতাম সেই ঈদের আগে থেকে শুরু হতো ঈদের আনন্দ শেষই হতে চাইত না। আগের দিন বিকেলবেলা হাতে মেহেদি লাগানো। খুব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গোসল করা।কে আগে গোসল করতে পারে এই নিয়ে প্রতিযোগিতা। পরিবারের সবাই মিলে একসাথে সেমাই পায়েশ খাওয়া, এবং মাঠের নামাজ শেষ হয়ে গেলে ঘুরতে যাওয়া।
ছোটবেলা থেকেই সকাল বেলা দেখতাম আমার মা সকালবেলা উঠে সেমাই পায়েস রান্না করতেন।আরো দেখেছি আমাদের বাসায় ঈদের দিন সকালবেলা ডিম ভাজা, আলু ভাজা, পটল ভাজা এবং সাদা পোলাও রান্না করা হতো। এই খাবারগুলোর স্বাদ অতুলনীয়। এখন তো আমরা বিরিয়ানি, খিচুড়ি, মাংস ছাড়াও কত রকম ডেজার্ট তৈরি করে থাকি। তবে সেই খাবারগুলোর কাছে এই খাবারের কোন তুলনাই হয় না।
যাইহোক বাবার বাড়িতে আসার পর অনেকটা ফ্রি ফ্রি লাগছে। আর বাবু অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেছে।আমার ভাস্তি আমার হাত দেখে বললেন ফুফি হাতে মেহেদি লাগাননি কেন? বললাম বাবু অসুস্থ তাই হাতে মেহেদি লাগানোর সময় পাইনি। আর সত্যি কথা বলতে আগের মত ঈদের আনন্দ যেন জানি খুব একটা হয় না। যাইহোক সে এক পর্যায়ে জোর করে আমার হাতে মেহেদি লাগিয়ে দিল।
অনেকদিন পর এভাবে দুহাত ভরে মেহেদি লাগিয়েছি বেশ ভালো লাগছিল। আমার ভাস্তি অনেক সুন্দর করে হাতে মেহেদি লাগিয়ে দেয়। খুব ভালো ডিজাইন করতে পারে আমার তো খুব পছন্দ হয়েছে। ডিজাইনগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে জানাবেন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তী সময়ে নতুন কিছু নিয়ে।
সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে বয়সের সাথে সাথে ছোটবেলার ঈদ আনন্দটাও অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে।
যাইহোক আপনি কিন্তু আজ বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর মেহেদি ডিজাইন আমাদের সাথে শেয়ার করলেন খুবই ভালো লাগলো দেখে।
আশা করছি ঈদের আনন্দ সব মিলিয়ে আপনার পরিবারের সাথে সুন্দর অতিবাহিত করেছেন।
জ্বী ভাইয়া বয়সের সাথে সাথে ঈদের আনন্দটাও পরিবর্তন হয়ে গেছে। চেষ্টা করব ঈদের পরবর্তী সময় গুলো পরিবারের সাথে সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটানোর। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার ভাস্তি তো সত্যি দারুন ভাবে মেহেদী হাতে দিয়ে দেয়। অনেকদিন পর আপনি দুই হাতে এভাবে মেহেদি দিয়েছেন জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। বিয়ের পর বাচ্চা হয়ে গেলে ঈদের বিভিন্ন কাজের ব্যস্ততায় বাচ্চাকে সাজানো-গোছানো করাতে করাতে কখন মেহেদী দেওয়ার সময়টাই চলে যায় বোঝাই যায় না। আপনার হাতে মেহেদি ডিজাইন টি দারুন লাগছে আপু।
জ্বি আপু অনেকদিন পর এভাবে দুই হাত ভরে মেহেদি দিয়েছিলাম আমার অনুভূতিটা বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ঈদ চলে আসলে মেয়েদের মেহেদি লাগানোর একটা আমেজ উঠে। আপনি দেখছি ঈদ উপলক্ষে আপনার হাতের মধ্যে খুবই সুন্দর করে মেহেদি ডিজাইন এপ্লাই করেছেন। আপনার হাতের মধ্যে এপ্লাই করা মেহেদী ডিজাইনটি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি ধারাবাহিকভাবে মেয়েদের প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।
বাহ্ আপু ভাস্তি তো ভালো ডিজাইনার। আমার কাছে তো একেবারে রাঙা পরী মনে হয়েছে। আপনার হাত দেখে শুধুই তাকিয়ে থাকতে মনে চাইছে। ভাবছি কেউ যদি এমন করে আমার দু হাতে মেহেদী পড়িয়ে দিতো। যাই হোক আপু এমন সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ডিজাইনগুলো আমার কাছেও ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ছোটবেলার ঈদ আনন্দ এবং এখনের ঈদের আনন্দের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। আপু আসলে ঈদ হচ্ছে ছোট বাচ্চাদের জন্য। আর আমরা বড়রা তো সব সময় ব্যস্ত থাকি। এবারে মেহেদি দিই নাই যেহেতু মেহেদি দিয়ে ঈদের দিন কাজ করলে মেহেদির রং সব চলে যায় তাই।
এজন্যই তো ঈদের পর মেহেদি দিয়েছি যাতে উঠে না যায়।যাইহোক ঠিক বলেছেন ঈদের আনন্দ তো ছোটদের। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হাতে মেহেদী পড়া, সবার কাছেই অনেক আনন্দের, বিশেষ করে কোন বিশেষ দিনে যদি মেহেদী দেওয়া হয় সেটা হয় আরও আনন্দের। আপনার হাতের সুন্দর মেহেদী দেখে মনে হচ্ছে ভাতিজি অনেক সুন্দর করে মেহেদী লাগাতে পারে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া আমার ভাতিজি অনেক সুন্দর মেহেদি ডিজাইন আঁকতে পারে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।