ঈদে নানু বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া❤️
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। গত দুদিন আগে আমি আমার নানুর বাসায় ঘুরতে গিয়েছিলাম আর সেখানকার সুন্দর মুহূর্ত এবং প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে তুলে ধরব। আমি প্রত্যেকবার যখন আমার বাবার বাড়িতে আসি তখন আমার নানা নানুকে দেখতে যাই।তাদের ভালো-মন্দ খোঁজ রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু এবার ঈদে আমার সব খালামণিরা নানু বাসায় এসেছে তাই আমাদেরকে দাওয়াত করেছিল নানাভাই। ভাবলাম এবার গেলে সবার সঙ্গে দেখা হবে। তাই অনেক খুশি মনে এবার নানু বাড়িতে গিয়েছিলাম।
আমার বাবার বাড়ি থেকে নানু বাড়িতে গেলে ভ্যানে কিংবা অটোতে মোটে ১০ মিনিটের মত সময় লাগে। আর যে রাস্তা দিয়ে আমার নানু বাড়িতে যেতে হয় সে রাস্তাটার এত সুন্দর আশেপাশের পরিবেশ যা প্রতিবারই আমি উপভোগ করি। দুপাশে ফসলের মাঠ এবং মাঝখানে পাঁকা রাস্তা।খুবই সুন্দর প্রকৃতি। আমি ফটোগ্রাফির সাথে সাথে একটি ভিডিওগ্রাফিও করেছিলাম। যাইহোক এর মধ্যে অর্ধেক রাস্তায় গিয়ে দেখতে পেলাম মেশিনের দ্বারায় ধান কাটা হচ্ছে। আমি এটা প্রথমবার দেখছিলাম তাই আমরা গাড়ি থামিয়ে বেশ কিছুক্ষণ দেখলাম কিভাবে ধান কাটা হচ্ছে।
তো যাই হোক এরপর আমি আমার নানু বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায় এবং সেখানে সবার সাথে খুব সুন্দর মুহূর্ত কাটায়। অনেক কিছু খাবার দাবারের আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা খাওয়া-দাওয়া সেরে আশেপাশের কিছু আত্মীয়দের বাড়িতে ঘোরাফেরা করে বাসায় চলে আসি। আমার নানুমণি থাকার জন্য অনেক জোর করছিলেন কিন্তু আপনাদের ভাইয়াকে বাসায় রেখে গিয়েছিলাম তাই আর থাকতে পারেনি।
যাইহোক বন্ধুরা আমি সেখানে সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছি এবং আমার খালামণিদের সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করেছি। আবার কবে দেখা হবে জানিনা। তাই তাদেরকে ছেড়ে আসতে খুব খারাপ লাগছিল। যাই হোক আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঈদ উপলক্ষে আমরা কমবেশি সবাই ইনজয় করে থাকি আপনজনদের বাড়িতে বেড়াতে যায়। ঠিক তেমনি আপনার আজকের একটি ভ্রমণ পোস্ট দেখতে পারলাম। ঈদ উপলক্ষে আপনারা বেশ ঘোরাঘুরি করতে গেছিলেন। আশা করি খুবই আনন্দের মুহূর্ত ছিল আপনাদের।
জ্বি আপু এই বেড়াতে যাওয়াটা আমার কাছে খুবই আনন্দের ছিলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
তাহলে তো খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নানু বাড়িতে পৌঁছে যান। একটু লং রাস্তা হলে ভালো লাগে। যাইহোক খুব সুন্দর ভাবে কিন্তু আপনি উপস্থাপন করেছেন এই মুহূর্তের বিস্তারিত বিষয়। আপনার এই পোস্ট পড়ে বেশ কিছু জানতে পারলাম ভালো লাগলো আপু।
কাছে হয়ে আমার বেশ ভালো হয়েছে কারণ আমি দূরের জার্নি করতে পারি না।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার নানু বাড়ি তো তবে খুবই কাছে।আপনি তাদের সাথে দেখা করতে গিয়ে খালামনিদের সাথে ও দেখা করে নিয়ে ভালো ই করেছেন। সবাই দূরে দূরে থাকে। কখন আবার দেখা পাওয়া যাবে এক সাথে এটা সত্যি ই ভাবনার বিষয়। আপনার নানু বাড়ি যাবার পথের দুপাশে চমৎকার সৌন্দর্য দেখতে পেলাম। এমন প্রকৃতি সত্যি ই ভীষণ ভালো লাগে। অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য। সবার সাথে দেখা হয়ে বেশ ভালো লাগছিল আপু।
আপনাদের বাড়ি থেকে আপনার নানু বাড়িতে যেতে যেহেতু ভ্যানে করে ১০ মিনিট লাগে, তাহলে তো আপনার নানুর বাড়ি অনেক কাছেই। আপনি সবসময় ওনাদের খোঁজখবর রাখার চেষ্টা করেন, এটা শুনে খুব ভালো লাগলো। আসলে নানা নানু যতদিন পৃথিবীতে থাকে, ততদিন নানু বাড়িতে যেতে ভালো লাগে। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পেরেছি আপনার নানু বাড়িতে যাওয়ার রাস্তাটার সৌন্দর্য অনেক দারুন। আর ধান কাটার মেশিন দিয়ে ধান কাটার দৃশ্য দেখে খুব ভালো লাগলো। পুরো মুহূর্তটা ভালোভাবেই উপভোগ করলাম।
দোয়া রাখবেন আপু আমার নানা নানুর জন্য। তারা যেনো সুস্থ থাকেন সবসময়।
আমি যখন গ্রামের দিকে যাই তখন এরকম দৃশ্য দেখতে পাই আপু। মাঝখান দিয়ে পাকা রাস্তা আর দুই পাশে ফসলের জমি, জাস্ট অসাধারণ লাগে দেখতে। এখন দেখছি আপু, গ্রাম অনেক উন্নত হয়ে গেছে, মেশিন দিয়ে ধান কাটছে। আগে ছোটবেলায় দেখতাম কৃষকেরা দলে দলে কাস্তে দিয়ে এই ধানগুলো নিজে হাতে কাটতো। যাইহোক, আপনি যে আপনার নানু বাড়ি গিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং অনেক খাওয়া দাওয়া করেছেন, সেটা জেনে অনেক ভালো লাগলো।
জ্বী ভাইয়া এই পাকা রাস্তার দুই পাশে ফসলের জমি দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।