লোকাল পাইস হোটেলে খাওয়া-দাওয়ার অনূভুতি
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। গতকাল আমার দেবরের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী ছিল। তাদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে আমি বেশ কিছু রান্নাবান্না করেছিলাম দুপুরে। যেমন বিরিয়ানি, পায়েস, পুডিং ইত্যাদি। পুডিং এর রেসিপি আমি ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যাই হোক এবার আসি মূল কথায়।
গতকাল আমাদের হ্যাংআউট ছিল কেবলমাত্র hangout এ জয়েন করেছি।এর মধ্যে দেবর এসে বলল বাহিরে নিয়ে যাবে আমাদেরকে খাওয়াতে। দুপুরে অনেক কিছু রান্নাবান্না করার পরও দেবরের ইচ্ছা সে রাতে আমাদেরকে বাহিরে খাওয়াবে। আমি এবং আমার দেবরের বউ বললাম আমরা রাস্তার ধারে হোটেল গুলোতে খাব। সত্যি কথা বলতে সব সময় রেস্টুরেন্টে এবং বড় বড় হোটেলে খাওয়া হয়ে থাকে তবে কখনো রাস্তার ধারে পাইস হোটেল গুলোতে খাওয়া হয়নি।
প্রথমে সে কোনভাবেই রাজি হচ্ছিল না পরে আমাদের জোড়াজুড়িতে রাজি হয়ে যায়। আমরা প্রায় সাড়ে নয়টা নাগাদ বের হয়েছিলাম বাসা থেকে আপনাদের ভাইয়ার তো হ্যাংআউট তখনো চলমান ছিল। তাই আমরা বাবুকে নিয়ে তিনজন মিলেই বেরিয়ে পড়ি। এরপর একটা ভাল দেখে হোটেলে বসি। আমরা যেখানে খেতে গিয়েছিলাম সেখানে এক লাইনে বেশ অনেকগুলো দোকান আছে।খাবারের মেনুর মধ্যে অনেক আইটেম ছিল, পালং শাকের তরকারি, লাউ শাকের তরকারি,ছোট মাছের চচ্চড়ি, মিক্সড ভেজিটেবল, বড় কাতল মাছ ভাজা, ডিম ভুনা, কাতল মাছ দিয়ে বিখ্যাত আলুঘাটি, ডিম দিয়ে আলুঘাটি,মসুরের ডাল,বুটের ডাল, খাসির মাংস, মুরগির মাংস সাথে আরো কয়েক প্রকার ভর্তা আইটেম।
যাই হোক এরপর আমরা আমাদের খাওয়া-দাওয়ার পর্ব সেরে নিই।আমরা নিয়েছিলাম খাসির মাংস, বুটের ডাল, মসুরের ডাল, পালং শাক,মিক্সড সবজি,ছোট মাছের চচ্চড়ি।সত্যিই বলতে মনে হচ্ছিল ঘরের খাবার খাচ্ছি। সবগুলো খাবারের টেস্ট খুবই ভালো ছিল। আমরা তৃপ্তি সহকারে খেয়েছি। খাওয়া-দাওয়া সেরে আমরা মিষ্টিমুখ করে সবাই মিলে অনেক প্রকার মিষ্টি জর্দা দিয়ে একটি করে পান খেয়েছিলাম।
যদিও বাসায় বিরিয়ানি রান্না হয়েছিল দুপুরে তারপরও আমরা বাসায় ফেরার সময় আপনাদের ভাইয়ার জন্য এক প্যাকেট বিরিয়ানি এনেছিলাম। যেহেতু তাকে বাসায় রেখে গেছি বেচারা আবার যদি মন খারাপ করে তাই। সব মিলিয়ে বেশ ভালই ছিল। বাহিরে খেতে গিয়ে একটা মজার ঘটনা ঘটেছিল সেটি অন্য একদিন শেয়ার করার চেষ্টা করব।
তো বন্ধুরা আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি ।দেখা হবে পরবর্তীতে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।ধন্যবাদ সবাইকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমে আপনার দেবরের বউ ও দেবরকে জানাই বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা। আপনার থেকে নতুন একটা খাবারের জায়গার সন্ধান পেলাম। অনেক ধরনের খাবার খুবই ভালো লাগলো। খাবার গুলো দেখতে এত লোভনীয় লাগছে। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আর আপনার দেবর ও দেবরের বউয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাবি সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য। আমরাও প্রথমবার এখানে খেয়েছিলাম বেশ ভালো ছিল খাবার।
খাওয়া-দাওয়ার অনূভুতি বেশ সুন্দর ভাবে উপভোগ করছেন আপনি। আপনার দেবরকে জানাই, বিবাহ বার্ষিকীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আপনার দেবর আপনাদেরকে বাইরে খাওয়ার জন্য বেশ সুন্দর রেস্টুরেন্টে নিয়ে গেছে। সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া মুহূর্ত খুবই সুন্দরভাবে উপভোগ করেছেন। সবাই মিলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন। রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জ্বী ভাইয়া খাওয়া-দাওয়া সব মিলিয়ে বেশ ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
তাহলে তো খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন বাইরে খাওয়া দাওয়া করে। আপনি ঠিক বলছেন আপু সব সময় যে বড় হোটেলে খাব এমন কথাই নেই। মাঝে মধ্যে লোকাল হোটেলের খাবার গুলো খুবই মজার হয়। বেশ কয়েকটি আইটেম নিয়ে খাওয়া দাওয়া করলেন। আবার ভাইয়ার জন্য নিয়ে নিলেন পার্সেল বেশ ভালই লাগলো শুনে।
অনেক আগে থেকে সেখানকার কথা শুনেছিলাম তবে খাওয়ার কখনো অভিজ্ঞতা হয়নি। তাই এবার ইচ্ছা করে সেই জায়গায় গিয়েছিলাম খেতে। খাওয়া-দাওয়া খুবই ভালো ছিল। মাঝেমধ্যে এই জায়গা গুলোতে আমাদের যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি মনে করি জীবনে সব ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা ভালো। সবসময়ই তো আমরা নামি-দামি রেস্টুরেন্টে খেয়ে থাকি, তবে মাঝেমধ্যে রাস্তার পাশে থাকা হোটেল গুলোতে খেতে দারুণ লাগে। এই ধরনের হোটেলে বসে খাওয়া এবং বাড়িতে খাওয়ার অনুভূতি প্রায় একইরকম। একেবারে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়। যাইহোক আপনারা এতো মজার মজার খাবার খেয়ে চমৎকার সময় কাটিয়েছেন আপু। এতো সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া এটা ঠিক বলেছেন আমাদের সব ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার। সব সময় তো বড় বড় রেস্টুরেন্টে বা হোটেলে খেয়ে থাকি। এরকম জায়গায় যাওয়া একদমই হয়ে ওঠে না। তাই এবার অনেকটা ইচ্ছে করেই গিয়েছিলাম সেখানে। তাদের দোকানের সাজ সজ্জা না থাকলেও খাবারের মান খুবই ভালো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার দেবরের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। যাই হোক অবশেষে আপনার দেবরের আবদারে বাহিরে খেতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। তবে ছোট ছোট হোটেল গুলোতে বেশ ভালোই খাবার পাওয়া যায়। আর সেই খাবারগুলোর টেস্ট অনেকটা বাড়ির রান্নার মতই হয়। অবশেষে ভাইয়ার জন্য বিরিয়ানি এনেছেন জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপু ওদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য। জ্বী আপু এই ছোট ছোট হোটেলগুলোর খাবার বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।