ভালোবাসার শুভ পরিনয় ❤️ || একটি বাস্তব ঘটনা
"হ্যালো",
সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে বাস্তব একটি ঘটনা শেয়ার করব। আমি প্রতিনিয়ত আমার চারপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো গল্প আকারে লিখে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করি আমাদের নিজেদের জীবনে কিংবা আমাদের আশেপাশের লোকজনের জীবনের যে ঘটনাগুলো আছে সেগুলো কখনোই শেষ করা যাবে না যদি আমরা সেগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারি তাহলে। আজ আমি শেয়ার করব দুজন ভালোবাসার মানুষ কিভাবে শত বাধা পেরিয়েও এক হয়েছিলো।ভালোবাসা কোন বাধা মানে না মানে না ধনী গরিব, ভালো-মন্দ। তো যাইহোক বন্ধুরা বেশি কথা না বাড়িয়ে মূল গল্পে চলে যাই।
রুপা এবং সোহান চাচাতো ভাই ও বোন। তারা ছোটবেলা থেকে এক সাথে বড় হয়েছে। খাওয়া দাওয়া পড়াশোনা খেলাধুলার সবকিছুই একসাথে। এখন তারা কলেজে পড়ে। দুজন দুজনকে মনের অজান্তে কখন ভালোবেসে ফেলেছে কেউ জানেনা। তারা একই বাড়িতেই থাকে। তবুও কখনো পরিবারের কাউকে বুঝতে দেয়নি যে তারা একে অপরকে ভালবাসে। একদিন সোহান এবং রুপা সন্ধ্যায় পুকুর পাড়ে বসে গল্প করছিল। এমত অবস্থায় রুপার বাবা রুপা এবং সোহানের বলা কথাগুলো শুনতে পারে।বুঝতে পারে তারা দুজন ভালবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে গেছে।
এবার রুপার বাবার ভয় হচ্ছে সোহানের বাবা অহংকারী এবং বদমেজাজি একজন মানুষ। রুপার চাচা ও রূপাকে খুবই ভালবাসে কিন্তু এই কথা শোনার পর যদি তাদের ভাই ভাই সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। অনেক কিছু ভেবে চিন্তে রুপার বাবা রুপাকে রুমে ডাকে। এবং বলে এই সম্পর্ক থেকে সরিয়ে আসতে। তার চাচা কখনোই মেনে নিবে না। রুপা তখন অনেক কান্নাকাটি করে বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। রুপার বাবার খুব ইচ্ছে করছে মেয়েকে শান্ত করতে এবং সবকিছু ঠিক করে দিতে। কিন্তু দুই ভাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে এই ভয়ে চুপ করে থাক।
রুপার চাচা বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছে রুপা তার চাচার সাথে খুব একটা কথা বলছে না এবং রুপা সোহানকেও এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। যেহেতু সবাই একই বাড়িতে থাকে তাই ব্যাপারটা রুপার চাচা মেনে নিতে পারছিল না। তখন সে রুপাকে কাছে ডাকে এবং জানার চেষ্টা করে যে কি হয়েছে? রুপাকে জিজ্ঞেস করার সাথে সাথেই রুপা কেঁদে ওঠে। তার চাচা বলে কি হয়েছে তাকে খুলে বলতে। রুপা নিজের মধ্যে কথাগুলো আর রাখতে পারিনি। তখন সে সরাসরি চাচাকে সবকিছু বলে দেয় এবং ভাবে চাচা হয়তো এবার অনেক রেগে যাবে।
কিন্তু একটু পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে রুপার চাচা হেঁসে উঠলো। এবং বলল আরে পাগলি আমি তো তোকে সেই ছোটবেলা থেকেই ছেলের বউ হিসেবে পছন্দ করে রেখেছি আর তোদের মধ্যে যে একটা সম্পর্ক আছে সেটাও আমি জানি আর ভয় পেতে হবে না খুব শিগগিরই তোদের দুহাত আমি এক করে দিব। তখন রুপার বাবার মাথার উপর থেকে অনেক বড় একটি বোঝা নেমে যায়।সোহান রুপার বাবার উপরে অনেকটা রেগে গিয়েছিল যে সে তো তার ভাই তাকে আপন মনে করে কিছু বলল না কেন?
যাইহোক সব মান-অভিমান ভয় ভেঙে গিয়ে রুপা এবং সোহান এর খুব ধুমধাম করে বিয়ে হয় এরপর তারা একই বাড়িতে খুব সুখে শান্তিতে সংসার করতে থাকে। এভাবে একটি প্রেমের শুভ পরিণয় হয়। সত্যি প্রত্যেক বাবা-মা যদি সব দিক বিচার বিশ্লেষণ করে তাদের সন্তানদের ভালোবাসার মানুষ গুলোকে মেনে নিতে তাহলে কাউকে ভালোবাসার মানুষ হারানোর কষ্ট পেতে হতো না।
যাইহোক আমার গল্প এই পর্যন্তই।আশা করছি সবার কাছে ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
সোহান এবং রুপার বাস্তব প্রেমের গল্পটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। আসলে রূপার চাচা বিষয়টি এত তাড়াতাড়ি মেনে নেবে তা রুপা কল্পনাই করতে পারেনি। যাই হোক সবাই সবকিছু মেনে নিয়ে তাদের ধুমধামে বিয়ে হলো এবং তারা খুব সুখে আছে জেনে বিষয়টি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্যে।
এটা ঠিক বলেছেন আপু রুপা ভাবতেই পারেনি সবকিছু এতো সহজেই ঠিক হয়ে যাবে।ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রুপা ও রুপার বাবা এটা কল্পনা ও করতে পারেনি যে এতো তারাতাড়ি রুপাকে সোহানের বাবা মেনে নেবে।খুব ভালো লাগলো সোহান ও রুপার পরিণেয় গল্পটি পড়ে।ছোটবেলার বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা পূরণতা পেয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পরিচিত সোহান আর রুপার শুভ পরিনয়ের ঘটনা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। প্রেমে মান অভিমান ভেঙ্গে শেষ পর্যন্ত ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছে যেনে ভালো লাগলো। প্রেমের জয় হয়েছে। সোহান আর রুপার জন্য শুভ কামনা। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার কজণ অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
অন্যের প্রেমের শুভ পরিনয় দেখতেও ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু।
আপনি আজকে একটা গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যেটা পড়ে আমার সত্যি ভালো লেগেছে। প্রত্যেকটা ভালোবাসার সম্পর্ক যদি প্রত্যেকটা বাবা-মা এভাবে মেনে নিত তাহলে খুবই ভালো হতো। রুপার বাবা সবকিছু জানার পর অনেক চিন্তিত হয়ে পড়েছিল এটার জন্য কারণ তার ভাই অনেক বেশি রাগী ছিল। আর এই জন্যই তো সোহানের কাছ থেকে দূরে থাকার জন্য বলেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তার চাচা তাকে যখন হাসিমুখে বলেছিল, তখন সবাই অনেক অবাক হওয়ারই কথা। শেষ পর্যন্ত তাদের মিল হয়েছিল এটা দেখে ভালো লেগেছে।
গল্প টি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।